কুলাল শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে-শিল্পগত বা ভাবগত বা আদর্শগত ব্যাপারে যাঁর বৈদগ্দ্যিক স্বাতন্ত্র রয়েছে ও যিনি তদ্ অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলেছেন..............
ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে যে উদগ্র কুলাল চেতনা এখানকার জনমতকে আলোড়িত, আন্দোলিত ও প্রমথিত করেছিল সেটা ছিল রাজনৈতিক জগতে সুভাষ বোসের কৌলালিক ভূমিকা৷ যাঁরা বিচার-বিমর্শে নিরপেক্ষ হয়ে থাকতে ভালবাসেন তাঁদের আজ জিনিসটা অনুধাবন করার দিন এসেছে৷
সেকালের ভারতের নেতৃবর্গের প্রতি তিলমাত্র অশ্রদ্ধা না জানিয়েই বলতে পারি, তাঁদের মধ্যে সমাজচেতনা ও বৈপ্লবিক চেতনার অভাব তো ছিলই, কোনো দৃঢ়নিবদ্ধ অর্থনৈতিক চেতনা বা সংরচনাগত কুলালত্বও ছিলনা৷ তাঁরা চেয়েছিলেন, বিভিন্নভাবে জনমত গড়ে তুলে ব্রিটিশকে তিক্ত বিরক্ত করে তাদের হাত থেকে স্বাধীনতা রূপী ফসলটি আলতভাবে কাস্তে চালিয়েই তুলে নিয়ে মরাই-জাত করে নেওয়া৷ এতে সাপও মরবে না, লাঠিও ভাঙবে না৷
সুভাষ বোসের কুলালত্ব ভিন্ন ধর্মী৷ তিনি চেয়েছিলেন অবস্থার সুযোগ নিয়ে, আরও স্পষ্ট বাংলায় ঝোপ বুঝে কোপ মেরে প্রতিপক্ষকে বিবশ করে স্বাধীনতা হাসিল করা৷ এখানেই ছিল তাঁর তৎকালীন নেতৃত্বের সঙ্গে কুলালত্বগত বিরোধ বা বৈষম্য৷ --- শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার