February 2022

বাঙালী বৈজ্ঞানিকের গবেষণায় কর্কটরোগে করোনা ঔষধ

ক্যান্সার নিরাময় করোনার ভূমিকা নিয়ে একদল বৈজ্ঞানিকের একটি গবেষণাপত্র ছেপেছে বিশ্বখ্যাত জার্র্নল ‘ভাইরাসেস’৷ তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু ক্যান্সার নিরাময় করোনা বাইরাসের ইতিবাচক ভূমিকা৷ এই বিজ্ঞানীদলে আছেন পূর্ব মেদিনীপুরের একজন বাঙালী বিজ্ঞানী  দেবমাল্য বাড়৷

গণতন্ত্রের আড়ালে কি হিটলারি শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

 

ভারতে কদর্য রাজনীতি ও দুর্নীতি ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছে৷  অহিংসা ও গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র সেদিনই কংগ্রেসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছিল৷ বিশেষ করে আদর্শে ও কর্তব্যে অটল সুভাষচন্দ্রের জেদী আপোষহীন মনোভাবকে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি কংগ্রেসের আপোষকামী সুবিধাবাদী নেতৃত্বের পক্ষে৷  তাই সুভাষকে কংগ্রেস থেকে উচ্ছেদ করতে স্বৈরাচারের পথই তারা বেছে নিয়েছিল৷

সময় তোমার জন্যে তপস্যারত

একটা প্রদীপ থেকে মানুষ অজস্র প্রদীপ জ্বালাতে পারে৷ ঠিক তেমনি একটা মানব–দীপ  থেকে আমরা অজস্র মানব–দীপ জ্বালাতে পারি৷ এতে কারও মহত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব বা বাহাদুরী কমে না, বরং বাড়ে৷ এটা আনন্দের কথা তো বটেই, গৌরবেরও কথা যে, ইতিহাসের যে যুগসন্ধিতে  আমরা দাঁড়িয়ে আছি ঠিক এই ধরনের যুগসন্ধি এর আগে কখনও আসে নি৷ এর আগে পৃথিবীতে কখনও এত মানুষ ভালো হবার জন্যে একত্রিত হয়নি আর সমাজের, মানবতার তথা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সেবার জন্যে এত মানুষ আগে কখনও আসেন নি৷

নববর্ষের আবেদন

শুভ নববর্ষ৷ সবাইকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই৷ ২০২১ সাল পেরিয়ে ২০২২ সালে পা দিলুম৷ আমরা কোথায় আছি? পেছনের দিকে তাকিয়ে আমরা কী দেখছি? একদিকে এক শ্রেণীর ধনিক ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর বিপুল বিলাসিতা, পাশাপাশি জনসাধারণের বৃহদংশের চরম দারিদ্র্য ও বেকারত্ব৷ দুর্নীতিতে সারা দেশ ভরে গেছে৷ গরীব মানুষের টাকা লুঠে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধির মুখোসধারী এক শ্রেণীর ভদ্র লুঠেরা৷ অথচ এঁরাই সমাজে নেতা বলে পরিচিত৷ মনে হয় মানুষ এখন তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে বিবেক বিচারবুদ্ধিহীন পশুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে৷

নব্যমানবতাবাদই মানবসমাজ ও  সৃষ্টিকে বাঁচাতে পারে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

আনন্দমার্গের সর্বাত্মক রেণেশাঁ কর্মসূচী

শ্রীরবীন্দ্রনাথ সেন

বহু লক্ষ বছরের শ্রমসাধনা ও কর্মপ্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে মানুষের আজকের এই সভ্যতা৷ মানব সভ্যতার এই ইতিহাস কেবল যে ধারাবাহিক ভাবে উন্নতির পথে এগিয়েছে তা নয়, সভ্যতা এগিয়েছে নানান উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে৷ এগিয়ে চলতে গিয়ে নূতনকে বরণ করেছে–বিদায় দিয়েছে বহু পুরাতনকে৷ এগিয়ে চলতে চলতে সে হয়ে যায় ক্লান্ত, শ্রান্ত তখন তার গতি শ্লথ, অগ্রগতি রুদ্ধ৷ আবার সে যেন জেগে ওঠে, নূতন উদ্যমে এগিয়ে চলে, নূতন ভঙ্গীতে নূতন পথে৷ এই যে পরিবর্তন একে বলা যায়, পুনর্জাগরণ বা ‘রেণেশাঁ’৷ এই পুনর্জাগরণ আনতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে৷ আনন্দমার্গের প্রবক্তা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই সর্বাত্মক রেণেশাঁর কথা বলে গেছেন তাঁর বিভিন্ন প

বাঙালীস্তান কেন প্রয়োজন?

হরিগোপাল দেবনাথ

‘বাঙালীস্তান’ নাম-বাচক শব্দটির মধ্যেই জুড়ে রয়েছে ‘বাঙালী’ নামের জনগোষ্ঠী-বোধার্থক, জাতিবাচক তথা সভ্যতাজ্ঞাপক বা সংস্কৃতি-দ্যোতক শব্দটি৷ আর, তা-ই, বোধ হয়, সংকীর্ণচেতা ও সংকীর্ণমনা ব্যষ্টিবর্গের মনে স্বভাবতঃই উসখুস লাগার মত অবস্থার উদ্ভব ঘটতেও দেখা যেতে পারে যে, সাম্প্রদায়িকতার  উসকানি দেওয়া হচ্ছে অথবা ইন্ধন  যোগানো হচ্ছে৷ আবার যারা বর্তমানে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই খণ্ডিত ভারতবর্ষকে গণপ্রজাতন্ত্রী, ধর্ম-নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ‘এক দেশ, এক জাতি, এক প্রাণ’ রূপে দেখতে চাইছেন  বলে ফলাও করে প্রচার-মাধ্যমে মনের আঙিনা খোলসা করে জনমানসে--- মহান ভারত, উদার নৈতিক ভারত,  বন্যা ব

জাতির নামে বজ্জাতি

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতের পর )

কৃষ্ণের জন্মের মোটামুটি ৩০০ বছর পর, আনুমানিক ১২০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এলেন এক ধর্মগুরু--- জেরোষ্টার৷ আর তাঁর ঈশ্বর ভাবনাকে বলা হয় জরোথ্রুসের ধর্মমত৷ জন্ম তাঁর উত্তর-পূর্ব পারস্য (বর্তমান ইরাণে)৷ পশ্চিমী পণ্ডিতেরা দাবী  করেন যে তিনিই নাকি পৃথিবীর আদি ধর্মগুরু, তাহলে ঐতিহাসিক পুরুষ শিব ও কৃষ্ণ গেলেন কোথায়? এসব ইয়ূরোপীয়দের প্রাচীনত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারের কারসাজি৷ যাইহোক, জোরোষ্টারের সমসাময়িক কালটা সম্বন্ধে কয়েকটা কথা ভাববার আছে৷ যথা

ক) এটা শিবের সময়ের সাড়ে তিন থেকে চার হাজার বছর পরের ঘটনা৷

যোয়ান Carum capticum Benth), গাঁদাল পাতা

পরিচয় ঃ যদিও ভাবারূঢ়ার্থে গন্ধপত্র, গন্ধপত্রী, গন্ধপত্রা তিনই এক........তিনেরই মানে যার পাতায় গন্ধ আছে, কিন্তু যোগারূঢ়ার্থে তারা পৃথক৷ মেথী (মধুগন্ধী বা মেথিকা) বা যোয়ান (যমানী বা যমানিকা যা থেকে হিন্দীতে জমাইন) সুগন্ধী পত্রের জন্যে প্রাচীনকাল থেকে আদৃত৷ পাকস্থলীতে যম অর্থাৎ সংযম অর্থাৎ control  আনে বলেই একে যমানী বা যমানিকা বলা হয়৷ যমানি>যঞাঁই>যোয়ান৷ হিন্দীতে ‘জ’ দিয়ে লিখতে হবে৷ বাংলায় লিখতে হবে ‘য’–দিয়ে৷  অনেকে বলেন নাম যমানী বা যমানিকা কিনা, তাই যমকে দূরে ঠেকিয়ে রাখে৷ যোয়ান একটি শীতের রবি ফসল৷ এর জন্যে আলাদা করে জমি নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে৷ আবার আলুর খেতে রন্ধ