প্রবন্ধ

ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক  বিদ্বেষ ছড়ানো ধর্মের অবমাননা

সত্যসন্ধ দেব

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ধর্মের নামে দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষ ছড়াচ্ছে৷ সাম্প্রদায়িক বিভাজন ভিত্তিক এনসিআর ও সিএএ আজ সারা দেশে অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে৷ সমাজের ঐক্য ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে৷ অথচ একতা ও সুবুদ্ধি ছাড়া কোন দেশের, কোন অঞ্চলের উন্নয়ন বা কোনরকম কল্যাণ করা সম্ভব নয়৷

আজ সারা দেশে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সমস্যা৷ সদ্য প্রকাশিত আন্তর্জাতিক স্তরের সমীক্ষায় দেখা গেছে ক্ষুধা সূচকের তালিকায় ভারতের স্থান ১১৭টি দেশের মধ্যে ১০২-এ৷ বাঙলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরাক ও কম্বোডিয়ার স্থান ভারতের ওপরে৷ কী লজ্জার ও দুঃখের ব্যাপার!

ভারতের সমাজগুলিকে  বাঁচাতে বিকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক আন্দোলন জরুরী

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই বলি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের নির্দ্দেশ মতাবেক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে৷ এখানকার কেন্দ্রীয় শাসকগণ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাকে দলীয় স্বার্থে ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ব্যবহার করে৷ছলে-বলে কৌশলে  কেন্দ্রের শাসক রাজ্যের  সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের অধীনে এনে শাসন ক্ষমতা কায়েম রাখে৷ স্বৈরাচারিতার এই নজির রেখে গেছে বিগত কংগ্রেস সরকার ইন্দিরা গান্ধীর আমলে৷ কিন্তু কংগ্রেসের পরিণতি মোটেই উজ্জ্বল ও গৌরবের নয়৷ বর্ত্তমানে যে দল শাসনে এসেছে  তাদেরও শাসন ব্যবস্থায় দেশবাসী সন্তুষ্ট নয় ৷ কারণ তাদের আর্থিক সংস্কার  জনগণকে  পথে বসিয়েছে৷ তাছাড়া বিদেশী তাড়ানোর নামে যা কান্ড করছে সেট

মনে পড়ে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার

পথিক বর

 ১৭ই ডিসেম্বর দিনটি আজ আর কেউ মনে রাখেনি৷  কিন্তু ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভারত বর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন৷ পরাধীন ভারতবর্ষে মেদিনীপুর নামটাই কাঁপন ধরাতো সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের বুকে৷ মেদিনীপুরকে  বাদ দিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে৷ সেই মেদিনীপুরে তমলুক, প্রাচীন তাম্রলিপ্ত শহরও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণোজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছিল৷ সেই ১৯০৫ সালে বঙ্গ-ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন সবেতেই পুরোভাগে তাম্রলিপ্ত শহর৷

সংগ্রামের সরণি বেয়ে.....

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর বুকে যেদিন প্রথম সৃষ্টির বীজ অঙ্কুরিত হ’ল, জেগে উঠল নবজীবনের প্রথম পল্লব---সমগ্র প্রকৃতি সেদিন ছন্দায়িত হয়েছিল নতুনের স্পন্দনে৷ নবাঙ্কুরের সম্ভাষণে আকাশের নীলিম পর্দায় ফুটে উঠেছিল বিশ্ববিধাতার নবসৃষ্টির আনন্দাপ্লুত মুখচ্ছবি৷ নবীন প্রভাতে নবারুণের রশ্মিচ্ছটায় ছিল বিনম্র প্রণিপাত,মলয় প্রবাহে যুক্ত হ’ল আরও স্নিগ্দতা, মেঘমালায় স্পন্দিত পুলকের হিল্লোল, জলধির তরঙ্গমালায় এক অনাস্বাদিত উন্মাদনা, রাতের আকাশে নীহারিকাপুঞ্জে কোটি তারকার সালোক উল্লাস৷ বিশ্বজোড়া এই আনন্দের মাঝেও ছিল দুরন্ত জীবন সংগ্রাম, জীবসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার ঐকান্তিক প্রয়াস৷

হিন্দীর আগ্রাসন দেশের সংহতি বিপন্ন করবে

মনোজ দেব

কিছুদিন আগে দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক ভাষা, এক দেশের কথা বলেছিলেন৷ দক্ষিণ ভারত সহ অহিন্দীভাষী রাজ্যগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন একটা পরিকল্পনার কথা বলেন তখন সেটা তাঁর সরকারের পরিকল্পনা বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ প্রতিবাদের চাপে পড়ে পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা বললেও রাজ্যগুলির ওপর হিন্দী চাপাবার প্রয়াস জারি আছে৷

মনের বিকাশ

সত্যসন্ধ্য দেব

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন–‘‘মানুষের মধ্যে রয়েছে দেবত্বের বীজ, তাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হ’ল বহিঃপ্রকৃতি ও অনন্তঃপ্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রমের মাধ্যমে সে অন্তর্নিহিত দেবত্বকে প্রকাশিত করা৷’’

নারী জাতি হোক নোতুন বিপ্লবের অগ্রদূত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

মাতৃজাতির নিরাপত্তা নেই রাষ্ট্রে এই কি সভ্যদেশের শাসন ব্যবস্থা

প্রভাত খাঁ

আমরা কোথায় বাস করছি ৷ এটা  কি সত্যই একটি সার্থক যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক  রাষ্ট্র না একটা  হিংস্র মগের রাজ্য? যে দেশে মাতৃ জাতির সামান্যতম সম্মানটুকু সরকার  রক্ষা করতে ব্যর্থ সেই সরকারের শাসন ক্ষমতায় থাকার কোন যোগ্যতাই নেই৷ দেশে কোন শাসন ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না৷ এ কোন বর্বরতার শাসন দেশে চলছে? উন্নাওয়ে শুধু কেন, অন্য রাজ্যগুলোতে টিভি খুল্লেই, সংবাদপত্র  পড়লেই দেখা যায় এমন কোনদিন নেই যেদিন হতভাগ্যগিনী মাতৃজাতির প্রতি এই দেশে নির্য্যাতন নিপীড়ণ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না৷ কিছু মানুষতো পশুর চেয়ে অধম৷ তারা শিশু মেয়েদের নির্যাতন  থেকে রেহাই দেয় না৷ স্বরাষ্ট্র দফতরের  কাজটা কী?

অসুবিধা তো সেই বাঙলাদেশীদের নিয়ে!

বঙ্গকন্যা অনন্যা

মূল অসুবিধা তো সেই বাঙলাদেশীদের নিয়ে, সে তো হবারই কথা৷ দেশভাগের পর থেকে বাঙলায় আসা পূর্ব পাকিস্তান বাসীরা (অধুনা বাঙলাদেশ) যদি পাঞ্জাবীদের মত প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বাসস্থান ও নিঃশর্ত নাগরিকত্ব পেয়ে যেত সকলে তাহলে তো আজকের শরণার্থী সমস্যাই থাকতো না৷ কিন্তু অদ্ভুত ভাবে বিগত বছর ধরে বাঙলার রাজনৈতিক দলগুলি বাঙলা ও বাঙালীর জন্য জোরালো দাবী করে এই অধিকার আদায়ের চেষ্টাই করেনি৷ হয়তো জাতীয় স্তরে পদের লোভে৷ বরং স্থানীয় যে দল বাঙলা ও বাঙালীর হয়ে লড়ে এসেছে তাদের সমর্থন করা তো দূর  উল্টে বিরোধিতা করেছে৷ শুধু ভোটের লোভে বহিরাগতদের প্রাধান্য দিয়ে স্থানীয় ভাষা সংস্কৃতি ও স্থানীয় ভূমিপুত্রদের অবহেলা, অবজ্ঞা করে

সিএবি-তে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে হিন্দু বাঙালীরা

শঙ্কর দাশ

সোমবার (৯ই ডিসেম্বর ২০১৯) লোকসভা ও মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সিএবি সংক্ষেপে ক্যাব পাশ হয়ে গেল ও বৃহস্পতিবার (১২ই ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে ক্যাব বিলটি আইনে পরিণত হয়ে গেল৷ এরই মধ্যে ক্যাবের বিরোধিতা করে অসম রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সরকার গুলি চালিয়ে তিনজনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে এমনই পরিস্থিতি৷ আহত কয়েকজন হাসপাতালেও মারা গেছেন৷ পশ্চিমবঙ্গও উত্তাল৷ ত্রিপুরা রাজ্যের পরিস্থিতিও তথৈবচ৷ যদিও গুলি করে হতাহত করার খবর নেই৷ তবুও ক্যাব বিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘ত্রিপুরা বন্ধ’ আর ‘রেল অবরোধ’ প্রভৃতি কারণে একজন শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অসমে বিশেষ করে অবাঙালী সম্প্রদায় ক্যা