প্রবন্ধ

স্বাধীনতার ৭৪ বছরে অর্থনৈতিক শোষণ গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৪ বছর  পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নি

রাজ্য প্রশাসনে রাজ্যপালের ভূমিকা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

রাজ্যশাসন বিভাগে শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদ নয়, রাজ্যপালের  ভূমিকাও আছে৷ রাজ্যপাল নিয়মতান্ত্রিক শাসনকর্র্ত৷ তাঁকে দায়িত্বশীল মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ মেনেই শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়৷ কেন্দ্রে এরই প্রতিচ্ছবি দেখা যায়৷ রাষ্ট্রপতিকেও কেন্দ্রের মন্ত্রী মণ্ডলীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়৷ তবে পার্থক্য একটু আছে৷ সংবিধানে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার  সুষ্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে তা নেই৷

বাঙালী আর কত কাল ঘুমিয়ে থাকবে?

এইচ.এন.মাহাতো

ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বিশ্বের জাঠ ও পঞ্জাবিদের জাতীয়তা বোধ দেখে আমি ব্যষ্টিগতভাবে গর্ববোধ করছি৷ এর পিছনে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ধারণাটি হলো ভারতের  স্বাধীনতায় বাঙালীর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি পঞ্জাবিদের অবদানও কম নয়, অন্যদিকে ভারতের স্বাধীনতায় রাজনৈতিকভাবে বিভাজন হয়েছিল এই দুটি রাজ্য৷ ভারত ভাগের  বলি হওয়া পঞ্জাবিদের পূর্নবাসন হয়েছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তরখণ্ডের একটি লাগোয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে৷ এরফলে তাদের  ভাষা সংস্কৃতি ও জাত্যভিমান রক্ষা করতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল  হতে হয়নি৷ অন্যদিকে অর্থনৈতিক পূর্ণবাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কোন খামতি ছি

নিপীড়িত মানবতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রযুবদের

তপোময় বিশ্বাসআই

আই এফ এল ওয়েলথ হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিষ্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর অতিমারি করোনায় লকডাউনের পরে ঘন্টা কোটি কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু নামী কোম্পানিগুলির৷ এই সময়কালে ভারতের  বড় বড় পুঁজিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েই চলেছে৷

বাংলা ভাষা আন্দোলনে মানভূম-জননী-লাবণ্যপ্রভা

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

স্বাধীনোত্তর ভারত৷ ১৯৫৬ সাল৷ ২০শে এপ্রিল পুরুলিয়া জেলার পুঞ্ঝা থানান্তর্গত পাকবিড়রা গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল ৩০০কিলোমিটার ব্যাপী এক বিশাল শোভাযাত্রা৷ এতে যোগ দিয়েছিলেন ১০ মহিলাসহ ১০০৫ জন পদযাত্রী৷  নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লোকসেবক সংঘের সভাপতি শ্রী অতুল চন্দ্র ঘোষ৷ ১০ মহিলাকে উৎসাহিত করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অতুলচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের সহধর্মীণী ‘শ্রীমতী লাবণ্যপ্রভা ঘোষ’৷ মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনে লাবণ্যপ্রভার অতুলনীয় যোগদান অবিস্মরণীয়৷ মানভূমের সহজ সরল মানুষ শ্রদ্ধা সহকারে  লাবণ্যপ্রভা দেবীকে মা বলে ডাকতেন৷  তাঁর মাতৃসুলভ ব্যবহার মানভূমের মানুষকে আপন করে নিয়েছিল৷ মানভূমের মানুষের সুখে দুঃখে তিনি ছিলে

সারা ভারতের সমাজগুলিকে বাঁচাতে বিকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক আন্দোলন জরুরী

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই বলি সংবিধানের নির্দ্দেশ মতাবেক ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে৷ কিন্তু এখানকার কেন্দ্রীয় শাসকগণ দেখা গেছে যে সেটাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে ছলবল কৌশলে৷ কেন্দ্রের শাসক রাজ্যের সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের অধীনে এনে শাসন ক্ষমতা কায়েম করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পদদলিত করে৷ পূর্বতন কংগ্রেস সরকার এর নজির রেখে গেছে৷ কংগ্রেসের দেখানো পথেই বর্তমান সরকার হাঁটছে৷ তাই এই শাসন ব্যবস্থায়ও দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়৷ এদের আর্থিক সংস্কার নীতিও জনগণকে পথে বসিয়েছে৷ তাছাড়া বিদেশী তাড়ানোর নামে যা কান্ড করছে সেটা মানবতাকে ও গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করে সাম্প্রদায়িকতাকে সামনে রেখে৷ ধর্ম নিরপ

নির্মল পৃথিবীর সন্ধানে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

 পৃথিবীতে কেউ কখনো বলে না,--- মনটা ভালো নেই, শরীরের জোরে কাজ করছি৷ কিন্তু একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়--- শরীরটা ভাল নেই, মনের জোরে কাজ করছি৷৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো মানুষ তার শরীরটা নিয়ে যতটা যত্নশীল, তার এক শতাংশও মনকে নিয়ে নয় শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে, শরীরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে , শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে  মানুষের সারাদিনের সিংহভাগ সময় কেটে যায়৷ কিন্তু মানুষ বোঝে না সে মন প্রধান জীব, শারীরিক চাহিদার মধ্যে দিয়ে সে মনকে তৃপ্ত করতে চায়৷ কিন্তু সীমিত শারীরিক চাহিদায় মন  তৃপ্ত হয় না৷ কারণ মানুষের মন চায় অসীম অন্তকে৷ প্রার্থিব জগতের কোন কিছুতেই যার পূর্তি সম্ভব নয়৷ তাই মানব মনের স্বাভাবিক গতি অ

আবার বাঙলা ভাগের ঘৃণ্য চক্রান্ত

একর্ষি

বাঙালীর ভাগ্যে সর্বনাশের ভয়াবহ অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে চলেছে৷ বাঙলার  ঘাড়ে আবার বাঙলা ভাগের খাঁড়া ঝুলছে! যেকোনো মূহূর্তে কোপ পড়তে পারে! দেশী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীরা নাা অছিলায় বার বার সোনার বাঙলার বুকে ছুরি চালিয়েছে, দফায় দফায় সোনার বাঙলাকে টুকরো টুকরো করেছে৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের এই বাঙলা ভাগের উদ্দেশ্য ছিল....

রাজনীতির কর্কট ব্যাধি

একর্ষি

ভারতীয় রাজনীতি জটিল কর্কটব্যাধিতে আক্রান্ত৷ তবে এর ভাব-গতিক বোঝার আগে ‘রাজনীতি’ কথাটির ‘পদ পরিচয়’ নেওয়া যাক৷ পাশ্চাত্ত্য পণ্ডিতেরা যা ই বলুননা কেন ভারতীয় জীবনদর্শন তথা  প্রাণধর্ম এবং আদর্শ মানবসমাজ ও তার দর্শন অনুসারে রাজনীতি হ’ল নীতির রাজা’৷ অর্থাৎ রাজনীতি হ’ল মানব সমাজের বা রাষ্ট্রের সেই শ্রেষ্ঠ নীতি বা অতুলনীয় দিক নির্দেশনা যা বাস্তবতায় বিশ্বস্ত, ব্যবহারিক, বৈজ্ঞানিক মনন-পোষিত ও মানুষের সার্বিক কল্যাণে (ভৌতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক) প্রয়োগভৌমিক৷ ‘রাজনীতি’ শব্দটি একটি সমাজবদ্ধ পদ৷ নীতির রাজা  রাজনীতি৷ বাংলা ব্যাকরণে তৎপুরুষ সমাসে ‘শ্রেষ্ঠ’ অর্থে ‘রাজা’ পদটি ব্যাসবাক্যের শেষেরে দিকে বসে৷ অর্থ