প্রবন্ধ

জন্মদিনে  ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

প্রভাত খাঁ

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন  এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

স্বার্থান্ধ দলছুটরাই দেশে গদ্দারী করে চলেছে তাই স্বৈরাচারিতাকে প্রতিহত করতে প্রয়োজন প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

নিরপেক্ষ

শোষণ বিরোধী আন্দোলনকে যদি আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ করা না হয় তা হলে শুধু ভারতে কেন সারা পৃথিবীর কোটি কোটি শোষিত ও নিপীড়িত হতভাগ্য জনগণ, জীবজন্তু, ও গাছপালা বাঁচবে না ঐ সব গদ্দার শোষক শ্রেণীর হাত থেকে৷ তবে একটা কথা সকল সচেতন জনগণকে স্মরণে রাখতেই হবে যে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই রয়ে গেছে সেই গদ্দারী পণা সুপ্রাচীন কাল থেকেই৷ যারা লোভী, প্রতিষ্ঠামান  যশের কাঙ্গাল তারাই অল্পবিস্তর গদ্দারই হয়৷  তারাই দলছুট হয়৷ সেই অপ্রিয় সত্য, কথাটা স্বার্থান্ধ কোন রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী সেটাকে মেনে নিতে পারেই না৷  যদি তা  না হতো তাহলে সর্বভারতীয় দলগুলো এতো অল্প সময়ে টুকরো টুকরো হলো কেন?

ভারতীয় রাজনীতির কর্কট ব্যাধি

একর্ষি

পূর্বপ্রকাশিতের পর,

শুরুতেই লক্ষ্য করা দরকার,---৪২তম সংবিধান সংশোধনে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র (সেকুলারষ্টেট্‌) হিসাবে  ঘোষণা করা হ’ল এর সরলার্থ ও বিশিষ্টার্থ হল ধর্মহীন রাষ্ট্র৷ মানে---রাষ্ট্রে কোন ধর্ম থাকবে না,এটা একটা বিকৃত মস্তিষ্কের মানবতা বিরোধী, সমাজ বিরোধী বিজ্ঞান বিরোধী উদ্ভট ভাবনা৷ যেকোন সত্ত্বাকে তার ধর্ম (প্রপার্টি) ধরে  রাখে, অর্থাৎ তার অস্তিত্বকে বজায় রাখে৷ তাহলে ধর্ম ছাড়া মানুষ! মানুষের -ধর্ম না থাকলে মানুষটাই তো থাকবে না৷ মানুষটাই যদি নাথাকল তবে কাদের জন্য সমাজ, শাসনব্যবস্থা ও সংবিধান? কিম্ভূত ব্যাপার!

শ্রাবণী পূর্ণিমা– স্থান– কাল–পাত্র নির্বাচনের তাৎপর্য

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷

মানালী ভ্রমণ

আশীষ দত্ত রায়

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

আজ বৃষ্টির দিন৷ মধ্যরাতেই তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল৷ সামনের ঘর গুলোর টিনের ছাদে তার আগমনী সঙ্গীতের তান৷

এমনিতেই রচনাকারের দূরদৃষ্টির অভাব আছে৷ পরিজন ও আত্মীয়দের এ অটল ধারণাতে সে বিশ্বাস আরো সম্পৃক্ত ও গভীর হয়েছে৷ ভোরবেলায় তা আরও নিশ্চিততা এনে দিলো যে শুধু দূর নয় নিকট দৃষ্টিরও অভাব আছে৷ স্থূল চোখে ১৫ ফুট দূরের  রাস্তাটাও অদৃশ্য৷ অবশ্য মাঝে মধ্যে  তার অবস্থান জানান দিচ্ছিলো মেঘের  অপসারণে৷ কিন্তু  নদী, গিরিশ্রেণী, তার বিভিন্ন খাত সেই যে অস্পষ্ট, অদৃশ্য হলো প্রভাত ছেড়ে বেলা বাড়তে তার সামান্য আভাসে জানা গেল তারা যথাস্থানেই আছে৷ মাঝে কেবল মেঘের আড়াল৷

বেচারামের সরকার এবার সংযত হোক!

নিরপেক্ষ

আপামর জনগণের বিশেষ করে বর্তমানে ১৮ বছরের  ঊধের্ব যাঁরা নাগরিক তাঁদের বোটদানে যাঁরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশ শাসনে আসেন তাঁদের পবিত্রতম কর্ত্তব্য হলো সারা দেশের জনগণের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে রক্ষা করা ও তাঁর সাথে সাথে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ অদ্যাবধি এদেশের বিভিন্ন দলের  নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ কী দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন? এক কথায় উত্তর হলো তাঁরা নোংরা দলবাজি করতে এসেছেন ও দলীয় স্বার্থসিদ্ধি করতেই ওস্তাদ জনগণকে ভাঁওতা দিয়ে৷ তাইতো দেখা যায় সরকারে আসীন দলীয় প্রতিনিধিরা অধিকাংশই কোটিপতি ও লক্ষপতি হয়ে জনগণের ভাগ্যবিধাতা হয়ে মগডালে বসে হাওয়া খাচ্ছেন!

সংশ্লেষণই শান্তি, বিশ্লেষণে নয়

হরিগোপাল দেবনাথ

সত্যের অনুসন্ধানকারী ও ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষমাত্রেই জানেন ও এই দৃঢ়বিশ্বাস নিয়েই জীবনধারণ করেন যে পরম-সৃষ্টিকর্র্ত এক ও অদ্বিতীয়---অর্থাৎ শিব, শ্রীকৃষ্ণ,নারায়ণ, গড, আল্লাহ, যীশু যে নামে তাঁকে ডাকি না কেন সর্বাবস্থায় তিনি এক৷ তিনি অনাদি-অনন্তম্‌ একম-এব অদ্বিতীয়ম্‌ সত্ত্বা৷ তাঁরই হুলাদিনী শক্তি গৌরী,পার্বতী, দুর্র্গ, কালী, লক্ষ্মী, শ্রীরাধা ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত, তবে মূলতই এক ও বিকল্পহীন---অর্থাৎ তিনি শিবের শিবানী, গৌরী বা পার্বতী, শ্রীকৃষ্ণের শ্রীরাধা৷ তাঁরা দুয়ে মিলেই এক--- অর্থাৎ স্বয়ং জি-ও-ডি (গড্‌)-এর জি (জেনারেটর) ও ডি (ডেষ্ট্রয়ার) দ্বৈত-ভূমিকারই  অপর এ সত্তা ও অবিনাভাবী যাঁকে কিছুতে

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্রে এক দলীয় শাসনের প্রবণতা-স্বৈরাচারিতার পরিচয়

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে বিরাট জনবহুল, নানা ভাষাভাষী ও ধর্মমতাম্বলম্বীদের্ দেশ৷ ভারত সেখানে আসমুদ্র হিমাচলে বৈচিত্র্যভরা একটি বিরাট মানব সমাজের অবস্থান৷ সেখানে অনেক গুলি  রাজ্যের সমাবেশে ১৩৫ কোটি মানুষের বাস৷ সেই মানুষগুলির বিভিন্ন ধরনের অভাব অভিযোগ রয়েছে৷ সেগুলির প্রয়োজন মেটানোর দায় রাজ্যগুলির৷ সেই রাজ্যগুলির অবশ্যই আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে ওঠা একান্ত জরুরী, যাতে সেই সেই  এলাকার স্থায়ী আঞ্চলিক মানুষগুলি অবশ্যই অন্ন, বস্ত্র শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থানের নূ্যনতম প্রয়োজনটুকুর পূর্ত্তি ঘটে৷ সেই সেই দিকগুলির পূরণের আবশ্যিকতা জরুরী৷ তাই আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির দিকে সবচেয়ে বেশী নজর দিতে হবে কেন্দ্র ও র

অর্থনীতির বেহাল দশা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

উগ্র জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে দ্বিতীয় মোদি সরকার৷ স্বদেশীয়ানায় এতটাই উন্মত্ত ছিল যে কোনোরকম বিরুদ্ধ সমালোচনা হলেই তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কোনো বিরোধী নেতা-নেত্রীকেই রেহাই দেওয়া হয়নি৷

উগ্রজাতীয়তাবাদ যেমন সংসদীয় রাজনীতিতে জয়ের হাতিয়ার, তেমনি  ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতিদেরও শোষণের যন্ত্র এই উগ্র জাতীয়তাবাদ৷ কিন্তু জনগণকে ভাত কাপড়ের যোগান দিতে একেবারেই অকর্মন্য৷ সরকারও অসহায়, কারণ বোট বৈতরণী পার হতে, জাতীয়তাবাদের জোয়ার আনতে  ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতির হাত ধরতে হয়েছে৷