প্রবন্ধ

ভারত কী শ্রীলঙ্কার পথে

ভারতের মতন খনিজ, কৃষিজ, বনজ ও নদীবহুল সম্পদশালী দেশ কি শেষে! অকর্মণ্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দূর্বুদ্ধির কবলে পড়ে অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার  পথে হাঁটতে চলেছে৷ তাই যদি হয় তবে এরজন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দায়ী হবে ও কেউই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে পার পাবে না৷

আনন্দমার্গ ও প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব

খগেনচন্দ্র দাস

গীতার ধ্যানে বলা হয়েছে ---

‘‘সর্র্বেপনিষদো গাবো দোগ্দা গোপালনন্দনঃ৷

পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্দং গিতামৃতং মহৎ৷৷’’

অর্থাৎ উপনিষদসমূহ গাভীর ন্যায় শ্রীকৃষ্ণ সেগুলো দোহন করছেন অর্জুন গোবৎস স্বরূপ আর সুধীজন অমৃতস্বরূপ গীতাদুগ্দ পান করছেন৷ আমাদের ধারণা ঠিক তদ্রুপ সমগ্র আনন্দসূত্রমের নির্যাস হচ্ছে প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব আর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তার অমৃতরস দহন করে আমাদের দিয়েছেন পান করার জন্য৷

জনগণের হাতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না এলে গণতন্ত্র ব্যর্থ

প্রভাত খাঁ

দুর্নীতি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়৷ ভারতবর্ষের কোন রাজনৈতিক দলই দুর্নীতিমুক্ত নয়৷ আজ দুর্নীতি ও নানা হল্লাবাজির আড়ালে একটা ন্যায় সঙ্গত প্রশ্ণ বারবার কোটি কোটি হতভাগ্য মানুষের সামনে আসছে তা হলো কেন মুষ্টিমেয় ধনী ব্যষ্টি যারা ভারতের মতো বিশাল দেশের অধিকাংশ সম্পদ কুক্ষিগত করে বছরের পর বছর তাদের শোষণ ও বঞ্চনা করে চলেছে, এদেরই সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছে সারা ভারতের শাসক গোষ্ঠী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা৷ তারই নির্মম পরিণতি হলো সারা ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণ লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি৷ যত কেলেঙ্কারী দেশের খনিজ, বনজ, শিল্পজ সম্পদ ও জমি নিয়ে আর সব কিছুর ভক্ষক হচ্ছে ওর

দেশের স্বাধীনতা বাঙালিকে চির বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে

দুলাল ঘোষ

ভারতের স্বাধীনতা বাঙালিদের জীবনে এক অভিশাপ হিসেবে জন্ম নিয়েছে৷ স্বাধীনতার ৭ দশক পরেও স্বাধীনচেতা প্রতিটি বাঙালি এক অজানা অশনি সংকেত-এর মেঘ দেখছে৷ বাঙালি জানেন না তার প্রকৃত বাসস্থান কোথায়?

বাঙালীস্তান প্রসঙ্গে

শ্রীরত্নেন্দু দাশ

অনেকেই বলেন চান বাঙালীস্তানের আন্দোলনকে যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না৷ এমন কথা যারা বলেন তাদের জানা উচিত বাঙালীস্তান কেন কি অন্য রাজ্যের দাবীর সাথে এর মিল রয়েছে কিনা?

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হওয়াটা কি প্রয়োজন নয়?

প্রভাত খাঁ

জনসংখ্যা বহুল ভারতের বুকে গণতন্ত্রের নামে যে শাসন চলছে সেই কোটি কোটি হত দরিদ্র নাগরিকগণ যাদের  ভোট ছল-বল-কৌশলে যে টেনে নিচ্ছে স্বার্থান্ধ দলতান্ত্রিক  নেতা ও নেত্রীগণ সেটা গত দীর্ঘ ৭৫ বছরে জানা হয়ে গেছে এদেশের নাগরিকদের৷ রাজতন্ত্র চলে একক ব্যষ্টি রাজার ইচ্ছায় আর বর্তমানের গণতন্ত্র চলে অধিকাংশ ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত দলের নিয়ন্ত্রণে সেটি যে জনগণের স্বার্থে চলে না সেটা বিশেষ ব্যষ্টি যিনি রাজনৈতিক দল ঘটন করেন তাঁর ইচ্ছানুসারে চলে৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার শাসনে নিজের স্বার্থে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারি করেন লোকসভাকে না জানিয়ে জোর করে সহি করিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকিরুদ্দীন সাহেব কে দিয়ে৷ এ

শিক্ষার বাণিজ্যকরণের সর্বত্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

প্রথমেই বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়  সবের্র্বচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি৷ তাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ৷ ভবিষ্যৎ জীবনে তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশবাসীর  কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে এই কামনাই  করি৷ ছাত্রছাত্রীদের নম্বর  দেখে বুঝতে পারছি না এরকম ঢালাও নম্বর দেওয়ার নির্দেশ কী বোর্ডের তরফে ছিল, নাকি, স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র বা তাদের মেধার কারণে  পেয়েছে’!

অর্থনৈতিক শোষণ চরমে  - প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শনই পাথেয়

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৫ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷