অবিলম্বে জলের অপচয় বন্ধ করুন

লেখক
আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ থেকে বহু বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তিনটে জিনিস অপচয় করতে বারণ করেছিলেন৷ কোন জিনিষের অপচয় তিনি পছন্দ করতেন না৷ কিন্তু বিশেষ করে তিনটি জিনিসের কথা তিনি বলেছেন, জল, জ্বালানি, বিদ্যুৎ৷ তিনি এও বলেছেন--- এমন একটা দিন আসবে যেদিন মানুষ জল খেয়ে মরবে,  না খেয়েও মরবে৷ জল এমন একটা জিনিস যার অভাবে শুধু মানুষ নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা কারো পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়৷ মানুষের সীমাহীন লোভ, প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুন্ঠন, ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষের সামনে এই বিপদ ডেকে এনেছে৷ এখন হয়তো সময় আছে, মানুষ যদি সচেতন হয় রাষ্ট্রের পরিচালক বিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বিজ্ঞানী সকলের মিলিত প্রচেষ্ঠায় রক্ষা পেতে পারে মানুষ৷ নতুবা আজ যে জল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে চেন্নাই, একদিন সমগ্র ভারত, সমগ্র পৃথিবী সেই সঙ্কটের সম্মুখীন হবে৷

ব্যাপক হারে বন-জঙ্গল ধবংস, মানুষের সীমাহীন লোভের উপকরণ জোগাড় করতে প্রকৃতির ওপর বিজ্ঞানের হামলে পড়া, শিল্পের উন্নয়নের নামে যথেচ্ছ কল-কারখানার বর্জ্যপদার্থ পৃথিবীকে করে তুলছে মনুষ্যবাসের অযোগ্য৷ মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে তার স্বার্থ-লোভ চরিতার্থ করতে গিয়েই আজ প্রকৃতির রুদ্ররোষে সম্মুখীন হয়েছে৷

এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে গেলে,মানুষকে আজ আর শুধু মানুষের কথা চিন্তা করলেই হবে না৷ প্রভাত সঙ্গীতের কথায় বলতে হয়--- ‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে, সব কিছু করে যায়, একথাও যেন মনে রাখে পশু-পাখী তার পর নয়, তরুও বাঁচিতে চায়৷’’

প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর প্রাউট তত্ত্বে যুক্তিযুক্ত ও বিজ্ঞানসম্মত পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, জল সংরক্ষণ, ভূমি সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদের যুক্তিসংগত ব্যবহারের৷ পৃথিবীর বিদগ্দ মানুষের উচিত অবিলম্বে প্রাউটিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে  মানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্যে কাজে নেবে পড়া৷