আধুনিক যুগে বাঁচতে হলে সকলকে মানবতাবাদী সেই গোত্রে আশ্রয় নিতে হবে

লেখক
প্রভাত খাঁ

আজ বার বার মনে পড়ছে সেই মহান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উক্তি৷’’ ‘‘শক, হুন দল পাঠান মোগল এক দেহে হলো লীন.....এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে৷’’ তাই তো ভারতের সংবিধানে বলা হয়েছে---ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে৷’’ তাই যাঁরা এই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনে আসবেন তাঁদের  অবশ্যই উদারপন্থী হতেই হবে৷ ব্যষ্টি জীবনে তাঁরা যে ধর্মমতের বিশ্বাসী হোন না কেন! এই সত্য কথাটিকে  কেউই অস্বীকার করতে পারেন কি বিশেষ করে শাসনে  এসে? যদি সেটা হয় সেটা হবে সংবিধান বিরোধী কাজ   কি নয়? দেখা যাচ্ছে  বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সাধারণ নির্বাচনে নাকি গোঁড়া হিন্দুত্বের সেন্টিমেন্ট নিয়ে তীব্র প্রচার চালাবে! এটা ১৪২ কোটি মানুষের কাছে হয়ে দাঁড়াবে এক চিন্তার কারণ!

এটা তো অতীব সত্য কথা তাহলো এই ভারত যুক্ত রাষ্ট্রে নানা ভাষাভাষীর ও নানা ধর্মমতের মানুষ স্থায়ী বাসিন্দা ও নাগরিক৷ নাগরিকগণ তাঁদের মতো করে প্রার্থীদের বোট দেন৷ তাঁর মধ্যে যিনি বেশী সমর্থন পান তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন৷ তখন তাঁরা শাসকদলে বা বিরোধী দলে যোগ দেন৷ তাঁরাই যৌথভাবে শাসন চালিয়ে যান৷ এটাই গণতন্ত্রীদের নীতি শাসনে৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্যরূপ৷

কিন্তু এই নীতিকে শাসক দল অস্বীকার করছে জোর করে সামান্য সংখ্যাধিক্যের অজুহাতে! এটাকে কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশ বলা যায় না! তাকে বলে নোংরা দলতন্ত্রের স্বৈরাচারিতা৷ এখানে ঘটছে সেই গণতন্ত্রে অপমৃত্যু!

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ উগ্র হিন্দুত্বের ডাক দিতে নির্দেশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে যাতে ২০২৯-এ লোকসভা নির্বাচনে আবার ফিরিয়ে আনতে৷ বিরাট সাফল্য অর্জন করতে পারে তাই প্রস্তুতি পর্ব আরম্ভ হয়েছে৷  মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধান সভা বোটের প্রচারে৷ এই কাজে নেমে পড়েছে আর.এস.এস দল৷ সেই মত বিজেপির ইস্তেহার তৈরী করতে হবে৷ মোহন ভাগবত আর এস এস প্রধান আহ্বান করেছেন৷ হিন্দু ঐক্যের৷

গত লোকসভা নির্বাচনে নৈরাশ্যজনক ফল বিজেপি আরএসএস নেতাদের চিন্তায় ফেলেছে৷ তাই ২০২৯ এর দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে মাঠে নামতে চাইছে৷ সংবাদে জানা যায় বিজেপি প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫০ জনের কমিটি তৈরী করতে আপাতত লক্ষ্য মহারাষ্ট্র৷ শিবসেনার বোট যত কমানো যায় ধর্মীয় উষ্কানি দিয়ে৷ তাই ঠিক হয়েছে বিজেপি উপজাতি নেতারা ধর্মীয় সত্তার প্রচার বেশী করবে৷

বিজেপির এই উদ্দেশ্য প্রাচীন ভারতী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধবংস করবে--- যা আজ থেকে ৭৫০০ বছর আগে সদাশিব প্রবর্তন করে গেছেন৷ শিবই প্রথম মানুষের সমাজ তৈরী করে সকল মানুষকে একসূত্রে বাঁধতে চেষ্টা করে দিলেন৷ তবে শুধু মানুষই নয়৷ পশুপাখী তরুলতা সবার কল্যাণের কথা শিব ভাবতেন, তাই শিব ছিলেন প্রথম নব্যমানবতাবাদের পূজারী৷ তাই  আজ কোন জাতপাত সম্প্রদায়ের বিভেদের রাজনীতি নয়, নব্যমানবতাবাদে আশ্রয় নিয়েই মানুষও মানুষের সমাজকে রক্ষা করতে হবে৷