প্রাউটের ভিত্তি হল বিশ্বরূপী মানুষ বা নব্যমানবতার মানুষ৷ যে অনুভব করে, অসহায় পশু পাখি কীট পতঙ্গ বাঁচতে চায়, বিকশিত হতে চায়, তারা একটা শিশুর মতই মানুষের ওপর নির্ভরশীল৷ তারাও ভালোবাসা সুরক্ষা পেতে চায়৷ তাই একজন প্রাউটিষ্টের বিশাল সামাজিক দায়িত্ব থেকে যাচ্ছে৷ প্রতি প্রাণীন ও অপ্রাণীন সত্তার অণুপরমাণুর মধ্যে যে অখন্ড অদ্বৈত চেতনা আছে, সেটা বুঝে সে তার সর্বচিন্তা-বাক্য-কর্ম, সর্ববস্তু ও সর্বশক্তি দিয়ে সব প্রাণীর সাথেই উচিত ব্যবহার করবে৷ যম-নিয়মে প্রতিক্ষণ পরিশোধিত হয়েই প্রাউটিষ্ট হতে হবে৷ এ যুগের মানুষের সৌভাগ্য, অসত্য, অন্যায় অবিচার অজ্ঞানতার অন্ধকারে পথহারা দিশেহারা হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় সে প্রাউটের আলোতে জীবন জগৎ সমাজ বা মানব ধর্মের নোতুন দিগন্ত নোতুন পথ খুঁজে পেয়েছে৷ বাইরের নানান বৈচিত্র্য , নানা ভাষা রূপ-রঙ-শব্দ-গন্ধ বা সব কিছুতে থাকা এত বৈপরীত্য---এত বিভিন্নতার মধ্যেও প্রাউট-চিন্তায় সমাধান হল , এই মহাবিশ্বের অণু-পরমাণু থেকে মহা গ্যালাক্সি সবাই দৃশ্য বা অদৃশ্য ভাবে, সবাই সবকিছুর সাথে সম্যকভাবে যুক্ত৷ এই বিজ্ঞান চেতনায় একজন প্রাউটিষ্ট নিজেকে গড়ে তুলবে৷ চলমান প্রতিক্ষণে রূপান্তরিত হওয়ার স্রোতে বহমান সর্ব বস্তু শক্তি প্রাণ আমি তুমি সবাই, বিনা শর্তে ভেসে চলেছি অন্ধকার থেকে আলোকের দিকে৷ এই বোধে এসে আনন্দ হচ্ছে, এই মহাবিশ্বে একটি মাত্র বস্তু আছে৷ সবকিছু নিয়ে, সব বৈপরীত্য নিয়ে, আছে এক অনন্ত বস্তু, শক্তি, চেতনার ছন্দময় অভিযাত্রা৷ সে যাত্রায় প্রাউটিষ্টরাই নোতুন এক মহা ঐশ্বর্যের মানবিক পৃথিবীর সন্ধান দেবে৷ সর্ব দারিদ্র্যমুক্ত ঋদ্ধি সিদ্ধি সমৃৃদ্ধি গতি-নিপুণতার সমাজ ব্যবস্থা মানুষকে উপহার দেবে৷ (চলবে)
- Log in to post comments