অনন্য প্রাউট (দ্বিতীয়)

লেখক
জিজ্ঞাসু

প্রাউটের  ভিত্তি  হল বিশ্বরূপী মানুষ  বা নব্যমানবতার  মানুষ৷  যে অনুভব  করে, অসহায় পশু পাখি কীট পতঙ্গ  বাঁচতে  চায়,  বিকশিত হতে চায়, তারা একটা শিশুর মতই  মানুষের  ওপর নির্ভরশীল৷  তারাও  ভালোবাসা সুরক্ষা পেতে চায়৷ তাই একজন  প্রাউটিষ্টের বিশাল  সামাজিক  দায়িত্ব  থেকে যাচ্ছে৷ প্রতি প্রাণীন ও অপ্রাণীন  সত্তার  অণুপরমাণুর  মধ্যে  যে অখন্ড অদ্বৈত চেতনা আছে,  সেটা বুঝে  সে তার সর্বচিন্তা-বাক্য-কর্ম, সর্ববস্তু ও সর্বশক্তি দিয়ে সব প্রাণীর সাথেই উচিত ব্যবহার করবে৷ যম-নিয়মে প্রতিক্ষণ পরিশোধিত হয়েই প্রাউটিষ্ট  হতে হবে৷  এ যুগের  মানুষের  সৌভাগ্য, অসত্য, অন্যায় অবিচার  অজ্ঞানতার  অন্ধকারে পথহারা  দিশেহারা  হতাশাগ্রস্ত  অবস্থায় সে প্রাউটের  আলোতে জীবন  জগৎ সমাজ  বা মানব ধর্মের  নোতুন  দিগন্ত  নোতুন পথ খুঁজে পেয়েছে৷ বাইরের নানান বৈচিত্র্য , নানা ভাষা রূপ-রঙ-শব্দ-গন্ধ বা সব কিছুতে থাকা এত বৈপরীত্য---এত বিভিন্নতার  মধ্যেও প্রাউট-চিন্তায়  সমাধান  হল , এই মহাবিশ্বের  অণু-পরমাণু থেকে  মহা গ্যালাক্সি  সবাই দৃশ্য  বা অদৃশ্য ভাবে,  সবাই  সবকিছুর  সাথে সম্যকভাবে যুক্ত৷ এই বিজ্ঞান  চেতনায়  একজন প্রাউটিষ্ট  নিজেকে  গড়ে তুলবে৷ চলমান  প্রতিক্ষণে  রূপান্তরিত হওয়ার  স্রোতে  বহমান  সর্ব বস্তু  শক্তি  প্রাণ আমি তুমি সবাই, বিনা শর্তে  ভেসে চলেছি  অন্ধকার  থেকে আলোকের দিকে৷ এই বোধে  এসে আনন্দ  হচ্ছে, এই মহাবিশ্বে একটি মাত্র  বস্তু আছে৷ সবকিছু  নিয়ে, সব বৈপরীত্য নিয়ে, আছে  এক অনন্ত  বস্তু, শক্তি,  চেতনার ছন্দময় অভিযাত্রা৷ সে যাত্রায় প্রাউটিষ্টরাই  নোতুন  এক মহা  ঐশ্বর্যের  মানবিক  পৃথিবীর  সন্ধান দেবে৷ সর্ব দারিদ্র্যমুক্ত ঋদ্ধি সিদ্ধি সমৃৃদ্ধি গতি-নিপুণতার  সমাজ  ব্যবস্থা মানুষকে উপহার দেবে৷ (চলবে)