February 2018

একুশে ফেব্রুয়ারীর শপথ

  ডঃ গোবিন্দ সরকার

ভারতের বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা ও অসমের ১৯ শে মে’র শিলচরের বাংলা ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির কাছে এক স্পর্শকাতর আবেগ মথিত বিষয়৷ ঘটনাগুলির উত্থাপন ও স্মৃতি রোমান্থনে আমরা যুগগৎ স্বজন হারানোর ব্যথায় বেদনার্ত হই ও স্বজাতির মহিমাময় আত্মত্যাগে গর্ব অনুভব করি৷ এক দুটো উদ্ধৃতিতে তার প্রমাণ মেলে –

‘‘মুক্তির মন্দিরে সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান

                লেখা আছে অশ্রুজলে৷

কত  বিপ্লবী  বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দীশালার ঐ শিকলভাঙা

                তারা কি ফিরিবে আজ

                তারা কি ফিরিবে এই সুপ্রভাতে

চার প্রকারের সেবা

মানুষের করণীয় কী? জীবন একটা ব্রত৷ আমি বলেছি মানুষের জীবন একটা আদর্শের ধারাপ্রবাহ বিশেষ৷ অর্থাৎ মানব জীবন একটা ব্রত–জীবন মানেই ব্রত অস্তিত্ব মানেই ব্রত৷ ‘‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’’–মানুষ যা–ই করুক না কেন, তা করা উচিত আত্মমোক্ষের জন্যে–তার নিজের মোক্ষের জন্যে, আর করা উচিত সমগ্র বিশ্বের উন্নতির জন্যে৷ মানুষের এই দু’টো কাজ করতে হবে অর্থাৎ মানুষের ব্রত হচ্ছে এই দু’টো কাজ৷

সমাজের কল্যাণে সকল শ্রেণীর মানুষের উপযোগ গ্রহণ

সমাজের উন্নতি বা প্রগতি ব্যষ্টি–বিশেষের একক প্রচেষ্টায় হয় না, বা হতে পারে না৷ কেউ দেয় মস্তিষ্ক্, কেউ দেয় হাত, কেউ পা৷ তাই সুবিচার করতে গেলে পা–কে হীন আর মাথাই সর্বস্ব অথবা মাথাটার কোন দাম নেই–বুদ্ধিজীবী মাত্রেই শোষক, আর যারা গায়ে গতরে খেটে চলেছে তারাই সবকিছু–এই দুই প্রকার চিন্তাধারাই সমান বিপজ্জনক৷ আসল কথাটা হচ্ছে কে নিজের সামর্থ্য কতখানি কাজে লাগিয়েছে সেইটাই বিচার করে’ দেখা৷ সমুদ্র বাঁধতে গিয়ে হনুমানের পর্বত বয়ে আনা, আর কাঠবেড়ালীর নুড়ি বয়ে আনা তত্ত্বগত বিচারে তুল্যমূল্য৷ কারও আন্তরিকতাতেই আমরা সন্দেহ রাখতে পারি না, অবজ্ঞাও করতে পারি না৷ নিজের সম্পদ যে যথাযথভাবে খাটায়নি সে যদি, যে নিজের সম্

শিবজায়া পার্বতী

এবার বলতে হয় পার্বতীর কথা৷ ‘পার্বতী’ শব্দটার মানে কী? কেউ হয়তো বলবেন ‘পর্বতস্য দুহিতা’, ‘পর্বতস্য কন্যা’ ইত্যর্থে পার্বতী (ষষ্ঠী তৎপুরুষ) অর্থাৎ পাহাড়ের মেয়ে৷ এখন প্রশ্ণ হচ্ছে, পঞ্চভূতাত্মক শরীরে কোন নারী কি পাহাড়ের মেয়ে হতে পারে? কোন নদীকে বরং পাহাড়ের মেয়ে বললেও বলতে পারি৷ কোন নারীকে পাহাড়ের মেয়ে বলতে পারি কি?

মধুর উপকারিতা

আয়ুর্বেদাচার্য

মধুর বহুমুখী গুণাগুণ সম্পর্কে অধিকাংশ লোকে অবগত নন৷ সাধারণ মানুষ ভেবে থাকেন কিছু রোগ আরোগ্যেই এর প্রয়োগ হয়ে থাকে মাত্র৷ কিন্তু মধু যে একটি উত্তম আহার্য্য ও পানীয় সে বিষয়ে সবাই জ্ঞাত নন৷ আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে মধুর গুণাগুণ জানতে পেরে পাশ্চাত্ত্য দেশের বহু লোক মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষ সচেষ্ট হয়েছেন৷ অনেকে সেই দেশগুলিতে এখন গুড় চিনির ব্যবহার কমিয়ে মধুর ব্যবহার করতেও শুরু করেছেন৷ ভারতবর্ষের যোগী ও মুনি ঋষিরা অবশ্য প্রাচীন কাল থেকেই এর গুণাগুণ সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে অবগত ছিলেন৷

ফিরে এসো নেতাজী

শ্যামল গোস্বামী

হে বীর তোমারে জানাই প্রণাম আজি এ শুভ্র প্রাতে৷

নির্ভিক এক দুর্দম প্রাণ এনেছিলে করে সাথে৷৷

বনেদীয়ানার সোনার চামচ ঘৃণা করে দূরে ছঁুড়ে৷

মানুষের সাথে মিলেছ মিশেছ দেখেছ হৃদয় খুঁড়ে৷

পরাধীনতার নাগপাশে বাঁধা জননী জন্মভূমি৷

কম্বু কণ্ঠে শপথের বাণী মাতৃচরণ চুমি৷৷

স্বদেশের ভাষা স্বদেশের বেশ স্বদেশের ভাবধারা৷

লোভ–লালসার সুখের জীবনে হওনি তো পথহারা৷৷

কটূক্তি করা ওটন সাহেব শিখেছিল সহবৎ৷

বজ্রকঠিন দৃপ্ত কণ্ঠে প্রকাশিলে মতামত৷৷

মহান হওয়ার চেষ্টা ছিল না ভাল কি তা বুঝেছিলে৷

কুৎসা কাদার দুর্গম পথে নির্ভয়ে যুঝেছিলে৷৷

প্রত্যুষে

কল্যাণী ঘোষ

সূর্য ওঠার আগে

                আমি জেগে উঠি৷

কুঁড়ি থেকে ফুলগুলি

                উঠল যে ফুটি৷৷

ও চরণে মন রেখে

                তোমারে স্মরি৷

মানস–পুষ্প দিয়ে

                তোমারে বরি৷৷

‘‘রাধে বদন তুলে.......’’

সেকালে কোলকাতায় বসবাসকারী উৎকলবাসীদের মধ্যে গুড়ুকী তামাকের ব্যাপক প্রচলন ছিল৷ স্থানীয় লোকেদের সে তামাকের রসক্ষোধ ছিল না৷ যে দু’একজন লোকের তার রসক্ষোধ হয়েছিল তাঁরা গোপনে ওড়িষ্যাবাসীদের কাছে গিয়ে গুড়ুক সেবন করে আসতেন৷ সাধারণতঃ ওড়িষ্যাবাসীরা মানুষ হিসেবে খুব ভাল হয়৷ কেউ কিছু চাইলে তারা না দিয়ে থাকতে পারে না৷ তারাও তাই গুড়ুক–আকাঙক্ষী লোকেদের গুড়ুকী দানে তৃপ্ত করত৷ লোকে বলে, কোনো অজানা–শাস্ত্রে নাকি আছে ঃ

‘‘তাম্রকূটং মহদ্দ্র ব্যং শ্রদ্ধয়া দীয়তে যদি৷

অশ্বমেধসমপূণ্যং টানে টানে ভবিষ্যতি’’৷

নৈতিকতা

দাদাঠাকুর

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা জেনেছ যে মানব জীবনের লক্ষ্য হ’ল ঈশ্বরকে উপলব্ধির দ্বারা আনন্দ লাভ করা৷ কিন্তু আমাদের মনের কামনা–বাসনা, লোভ–লালসা আমাদের ঈশ্বরের দিকে না নিয়ে গিয়ে আপাত সুখের জন্যে জড় ভোগের দিকে নিয়ে যায়৷ মনের এই কামনা বাসনাকে বাধা দিয়ে ভোগমুখী মনকে ঈশ্বরমুখী করা দরকার৷ তার জন্যে চাই কিছু বিধি–নিষেধ৷ যেমন, একটা চারা গাছকে গোরু–ছাগল থেকে রক্ষা করে বড় করে তুলতে গেলে তার চারপাশে বেড়া দেবার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি সাধকের সাধনার পথে এগিয়ে চলার জন্যে যে প্রাথমিক বেড়া বা অনুশাসনের প্রয়োজন তার নাম নীতিবাদ বা নৈতিকতা৷

উন্নয়নের দৃষ্টিতে ৭৪টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৬২ নম্বরে

ওয়ার্ল্ড ইনক্লুসিভ্ ডেভেলপমেণ্টের এবছরের রিপোর্ট বিশ্বের ৭৪টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সার্বিক উন্নয়ন সূচকের মাপকাঠিতে ভারতের স্থান ৬২ নম্বরে৷ এ বিষয়ে ভারত থেকে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা, বাঙলাদেশ আর নেপাল৷