June 2018

আনন্দমার্গের অখন্ডকীর্ত্তন  ও সমাজসেবা

ময়ূরভঞ্জ ঃ গত ১৭ই জুন  ময়ূরভঞ্জের  ঠাকুরমুন্ডা ব্লকের  গিরিধারা গ্রামে  আনন্দমার্গের  পক্ষ থেকে  অখন্ড কীর্ত্তন ও সমাজসেবার  বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়৷

অখন্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অখন্ড কীর্ত্তনের পর যথারীতি মিলিত সাধনা, ধর্মসভা ও নারায়ণসেবার  আয়োজন করা হয়৷ এর পাশাপাশি বিনাব্যয়ে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন  করা হয়  ও ডাঃ যুধিষ্ঠির মোহান্ত ও ডাঃ সুমন্ত মাহাত দুঃস্থ রোগীদের  ফ্রি চিকিৎসা করেন  ও বিনাব্যয়ে  তাদের  ওষুধপত্রও দেন৷ এইভাবে গ্রামের  শতাধিক  দুঃস্থ রোগীর সেবা করা হয়৷

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি স্মরণ  করাতে  ১০০০ মাইল  পদযাত্রা

৩ বছর ওড়িশার  রাউরকেল্লায় সেখানকার  ইস্পাত জেনারেল হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু  সে প্রতিশ্রুতি  পালিত  হয়নি৷ তাই সেই কথা  স্মরণ করিয়ে  দেওয়ার  জন্যে  রাউরকেল্লার মুক্তিকান্ত বিসওয়ালা (বয়স ৩০)  রাউরকেল্লা থেকে পায়ে  হেঁটে দিল্লি যাত্রা করেন৷ এই হাসপাতাল  ছাড়া  আরও  একটি দাবী তাঁর৷ রাউরকেল্লার ব্রাহ্মণী নদীর ওপর একটি সেতু খানিকটা তৈরী হয়ে আজও  পড়ে আছে৷ কাজ বন্ধ৷ এমতবস্থায়  তাঁর দাবী এই যে সেতুর কাজও পুরো করতে হবে৷  এটাও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির  অন্যতম৷

‘‘অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনা  পীড়িত মানবতার মুক্তির পথ’’ - আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন

আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে দেশে-বিদেশে সর্বত্র যোগ দিবস পালন করা হচ্ছে৷ আনন্দমার্গের প্রচারকগণ বিভিন্ন স্কুল, কলেজে ও বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ তৈরী করে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্যে সভাসমিতি করছেন ও যোগাসন ও যোগসাধনা শেখাচ্ছেন৷

বাংলা বানান সংস্কার

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ (৩ খণ্ড) তিনি বহু প্রচলিত অনেক বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ      ––––জ্ঞানভিক্ষু

শাক (Vegetables)

মানুষ যে সকল সহজলভ্য খাদ্য খেয়ে থাকে তার অন্যতম হচ্ছে শাক৷ শব্দটাই বলে দিচ্ছে শাক মানে তাই–ই যা শক্তি জোগায়৷ তোমরা জান অধিকাংশ শাকেই যথেষ্ট পরিমাণ লোহা থাকে যা রক্ত বুদ্ধির সহায়ক৷ কেবল শাক খেয়েও বেঁচে থাকা যায়৷ তবে শাকের পুষ্টি মূল্য আয়তনের তুলনায় কম৷ বাংলায় ‘শাক’ শব্দটি অত্যন্ত সীমিত অর্থে চলে৷ আমরা শাক বলতে বুঝি পালং শাক, নটে শাক, শুশুনি শাক প্রভৃতিকে৷ কিন্তু আসলে cereal  বা মূল ভোজ্যের পাশে যা কিছু পার্শ্বভোজ্য (রন্ধনের পদ বা রেস্তোরাঁর মেনু) আছে সবাই শাক পর্যায়ভুক্ত৷ অর্থাৎ শাক মানে যে কেবল ‘সাগ’ [হিন্দিতে] তাই নয়, সব রকমের শাক–সব্জীও শাক৷ অর্থাৎ যে বস্তু মোটামুটি বিচারে vegetable পর্যা

নেশার কবল থেকে নিজেকে ও সমাজকে মুক্ত করুন

সমাজবন্ধু

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

একটি মোমবাতির কথা

সাগরিকা বিশ্বাস

জ্বলন্ত একটি মোমবাতি,

প্রদান করে আলোক রাশি রাশি৷

বিসর্জন দিয়ে নিজের জীবনটা,

ভরিয়ে দেয় আলোর রঙিন ছটা,

প্রতি মুহূর্তে তিলে তিলে সে শেষ হয়,

অন্যকে তবু সে আলো দেয়৷

সহ্য করে অশেষ জ্বালা যন্ত্রণা,

তবুও এক ফোঁটা অশ্রু ঝরে না৷

দেখে না উঁচু নীচু ধনী গরীব

জ্বলে সে সবার উৎসবের দিনে,

নিজের প্রাণ দিয়ে ভাগিদার হয় সেই শুভক্ষণের

কাউকে বলতে পারে না তার নিজের দুঃখকষ্ট,

শত বেদনা লুকিয়ে হাসে সর্বত্র৷

ভরিয়ে দেয় আলোর জ্যোৎস্নায়

নিজেকে জ্বালিয়ে দিয়ে,

তবু সে হাসে শান্তির পতাকা উড়িয়ে৷৷

ভয় কি বা তার

বিভাংশু মাইতি

অণুতে অণুতে আছো অণুসূত

তবু পাই না তোমার দেখা,

অন্তরে নেই আছো অন্তরে

চিদাকাশে তুমি রাকা৷

অনলে অনিলে সাগরে সলিলে

আছো তুমি সর্বত্র

আছো ছায়া-সম দিবস রজনী

মনে আছো মনোমিত্র৷

জেনেও জানি না তুমিই আমার

পরম জীবন দেবতা

বুঝেও বুঝি না তোমার মহিমা

নভোনীলে লেখা বারতা৷

বিভূপদে তব করি গো আকুতি

হৃদয়েতে দাও ভকতি

জগৎ মাঝারে যেন যুঝিবারে

পাই গো অপার শকতি৷

ভয় কি বা তার

যে আছে তোমার

অভয় চরণ স্মরণে

সঁপে যে দিয়েছে সকল সত্তা

জীবনে-মরণে-মননে৷

সৃষ্টি করে’ বিশ্বটাকে

সাক্ষীগোপাল দেব

সৃষ্টি করে’ বিশ্বটাকে

     রইলে সবার অলখে

সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় খেলা

     করছ তুমি পলকে৷৷

সাজিয়ে দিলে আলোক মেলায়

     মাতছো কত রঙের খেলায়

করছো লীলা সবার সাথে

     উঠছো চিতে ঝলকে৷৷

তোমার লীলায় তুমি হারা

     নেইকো কিছুই তুমি ছাড়া

সৃষ্টি থেকেই খুঁজছো তুমি

     সৃষ্টিছাড়া তোমাকে৷৷

গঞ্জের গজার গপ্পো

‘ঠাঠ’ মানে আধার৷ এই আধার অর্থে ‘ঠাঠ’ শব্দের সঙ্গে তোমরা কেউ কেউ হয়তো পরিচিত আছ৷ পুরোহিতেরা তাঁদের নারায়ণের  সিংহাসনের যে আধারটিতে শালগ্রাম শিলা বসিয়ে রাখেন সেটিকেও ঠাঠ বলা হয়৷ তোমরা সেই ঠাঠের শালগ্রাম শিলার গল্প জানো তো? তবে শোনো, তাড়াতাড়ি শোনাচ্ছি৷