October 2019

ভারতীয় অনুধর্ব-১৬ ফুটবলের রক্ষণের স্তম্ভ বাংলার অণীশ মজুমদার

অনুর্ধ - ১৬ ভারতীয় ফুটবল দলের স্তম্ভ, বাংলার  অনীশ মজুমদার৷ প্রবল আর্থিক সঙ্কটও অনীশের মা অণিমা মজুমদারকে দমাতে পারেন নি৷ এছাড়া সবথেকে বড় তাঁদের জীবনে দুর্র্ভেগের কারণ অনীশের বাবার কিডনির সমস্যার কারনে তিনি অর্থনৈতিকভাবে কোনপ্রকারেই সংসারে অর্থের যোগান দিতে পারেন না৷ একমাত্র ভরসা অনীশের মা অণিমা দেবী৷ তিনি বহুকষ্টের সম্মুখীন হয়ে তার দুই ছেলে অনীশ ও মনীষকে  পালন করার দিক থেকে পিছনে ফিরে তাকান নি৷ প্রথম তিনি তার ছোট ছেলে অনীশকে  ব্যাণ্ডেল বাণীচক্র ক্লাবে  অশ্বিনী বরাটের কাছে৷ যাঁর কোচিংয়ে উত্থান ---সুরজিৎ সেনগুপ্ত, স্বরূপ দাস, তনুময় বসু প্রভৃতি একাধিক ফুটবল তারকার৷ বাবার অসুস্থতার কারণে অনীশ

মনে পড়ে !

পথিক বর

২৪শে সেপ্ঢেম্বর ১৯৩২ সাল, রাত্রি ১১টা৷ চারিদিক নিস্তব্ধ, নিঃঝুম৷ শুধু চট্টগ্রাম শহরে পাহাড়তলী ইনষ্টিটিউট নামের ইয়ূরোপিয়ন ক্লাবে মত্ত একদল ইয়ূরোপীয়নের নাচগান আর কোলাহলের শব্দ রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেদ করে ভেসে আসছে৷

পরাধীনতারজ্বালা, জালিয়ান- ওয়ালাবাগের ক্ষত বুকে নিয়ে জনা দশেক তরুণ চুপি চুপি রাতের অন্ধকারে ক্লাবের সামনে এসে পৌঁছালো৷ নিরপরাধ দেশবাসীর রক্তে যারা দেশমাতৃকার কোল ভিজিয়েছে আজ তাদের জবাব দেবার সময় আসন্ন৷ বাঙালী শুধু মার খেতে জানে না, মার দিতেও জানে৷ প্রহরীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে ক্লাব ঘরে প্রবেশ করল তরুণের দল৷

ছাত্র যুবসমাজ কে প্রাউটের  আদর্শে  উদ্বুদ্ধ  করতে  পূর্ব  উত্তরপূর্বাঞ্চলের  রাজ্যগুলিতে ব্যাপক প্রচার

নূতন  প্রজন্মকে বিশেষ করে ছাত্রযুব সমাজকে  প্রাউটের  আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে ত্রিপুরা, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি  রাজ্যে জেলায় জেলায়  প্রাউট প্রশিক্ষণ  শিবির ও আলোচনা  চক্রের আয়োজন  করছে প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের কর্তৃপক্ষ৷ প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে  প্রাউটের বিকেন্দ্রীত অর্থনীতি, স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক  অঞ্চল প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোচনা  হয়৷ এগুলি ছাড়াও প্রশিক্ষণ শিবিরের একটি  প্রধান  আলোচ্য বিষয় সদবিপ্র নেতৃত্ব৷

বিদ্যাসাগরের  জন্মদিনে ‘আমরা বাঙালী’র দাবী

গত ২৬শে সেপ্ঢেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মদিবসে শ্যামবাজার মেট্রো ষ্টেশনের সামনে ‘আমরা বাঙালী’ বিদ্যাসাগর স্মরণে একটি সভা করে৷ সভায়  বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখতে  গিয়ে বলেন--- বিদ্যাসাগরের শহর  থেকেই  বাংলা হারিয়ে যাচ্ছে৷ হিন্দি আগ্রাসনে বাংলার নাভিশ্বাস  উঠেছে৷ কলকাতা শহরকেই আজ অবাঙালীয়া গ্রাস করে নিয়েছে৷ বাঙলাদেশী অনুপ্রবেশের গল্প ফেঁদে দলে দলে  অবাঙালীরা পশ্চিম বাঙলায় অনুপ্রবেশ করছে৷ রাজ্য সরকার মুখে  বাংলা প্রেম দেখালেও হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে  অবাঙালী তোষণ করে চলেছে৷ এন.আর.সি নিয়ে কেন্দ্রের ও অসম সরকারের ভূমিকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ‘আমরা বাঙালী’ নেতৃবৃন্দ৷ সভায় বক্ত

বিষণ্ণ্ ভাবনা---অনির্বাণ এষণা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

(এক)

শীতের আমেজ আর অরুণ আলোর স্নিগ্দতায় ভরা আনন্দনগরের সকাল এক অদ্ভূত মনোরম, মনোমুগ্দকর৷ ধর্মমহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে বহু ভক্ত একসঙ্গে সমবেত হয়েছিল৷ ভজন, কীর্ত্তন, কর্মচঞ্চলতায় বেশ ক’দিন কাটল৷ এখন ধর্মসম্মেলন শেষ৷ সব কোলাহল কর্ম চঞ্চলতা থেমে গেছে৷ ভক্তরা ফিরে গেছে ভারাক্রান্ত মনে আবার আসার আশা নিয়ে৷ মুখর আনন্দনগর এখন মৌন তাপস৷ আনন্দনগর ছাড়ার সময় হ’ল৷ থাকা-না-থাকার অদ্ভূত এক অনুভূতিতে মন আচ্ছন্ন৷

প্রগতির আধার

এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে আজ থেকে প্রায় দশ লাখ বছর আগে৷ তখন থেকেই মানুষের মনে সুখপ্রাপ্তির এষণা ছিল, আজও আছে, সর্বদা থাকবে৷ এই সুখপ্রাপ্তির এষণার দ্বারা অর্থাৎ একটা মানসিক অভীপ্সার দ্বারা–যার পূর্ত্তির জন্যে মানুষ চেষ্টাশীল হয়–প্রেষিত হয়ে সুদূর অতীতে ধর্ম জীবনে পদার্পণ করেছিল৷ এই এষণা কেবল মানুষের মধ্যেই রয়েছে, জন্তু–জানোয়ারের মধ্যে নেই ৷  তবে হ্যাঁ, যে সব জন্তু–জানোয়ার মানুষের সংস্পর্শে বাস করে, মানুষের সঙ্গে যাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে তাদের মধ্যেও অল্প পরিমাণে এই এষণা রয়েছে৷ কিন্তু স্ফুটতরভাবে রয়েছে কেবল মানুষের মধ্যে৷ এই এষণা মানুষের মধ্যে রয়েছে বলেই তার নাম মানুষ৷ ‘মানুষ’ শব্দের

বাঙলার কয়েকটি অঞ্চলের উন্নয়ন সম্পর্কে কিছু বক্তব্য

সমতট

প্রাচীন বাঙলা পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল– রাঢ়, সমতট, বঙ্গ, বরেন্দ্র ও মিথিলা.  মিথিলা বর্তমানে বিহারের অঙ্গভূত।

বঙ্গোপসাগরের বিশাল উপকূল এলাকা যাতে কোনো পাহাড়–পর্বত নেই কিন্তু যা পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর বালুযুক্ত দোয়াঁশ মাটি দিয়ে তৈরী, ও যার মধ্যে অজস্র জলাশয়, যা খাল–বিল আর শাখানদীতে সমৃদ্ধ, সংস্কৃতে সেই অঞ্চলকে বলে ‘সমতট’, কথ্য বাংলায় বলে ‘বাগড়ী’। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদ আর সমৃদ্ধ কৃষিসম্পদে পূর্ণ। এইজন্যে সমতটকে বলা হত ‘‘সোণার বাঙলা’’, যে কারণে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন– ‘‘সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং মাতরম্’’।

আলোর পাশে অন্ধকার

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহালয়া থেকে শারদোৎসবের সূচনা হয়ে গেল৷ শারদোৎসব বাঙালী সমাজের সবচেয়ে বড় উৎসব৷ উৎসব কথাটির অর্থ হ’ল যার মাধ্যমে সবাই প্রাত্যহিক একঘেয়েমি কাটিয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে যেন নবজন্ম লাভ করে৷ শারদোৎসব সেদিক থেকে বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব অবশ্যই৷ সারা পৃথিবীর যেখানে বাঙালী থাকে সেখানেই শারদোৎসবের ব্যবস্থা৷ বাঙালীর শারদোৎসবের প্রধান মাধ্যম বর্তমানে দুর্গাপূজো৷ মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠ থেকেই উৎসবের সূচনা হয়ে যায়৷ দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিশাল বিশাল কোটি কোটি টাকার বাজেটের প্যাণ্ডেল সবার চোখ ধঁধিয়ে দেয়৷ পূজোটাই অপ্রধান হয়ে যায়, প্রধান হয়ে যায় প্যাণ্ডেল আর অন্যান্য আড়ম্বর৷ হুজুগে বাঙালী মাতোয়ারা হয়ে ওঠে দুর্গাপূজ

পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য ভূমি করে তুলতে প্রাউটের আহ্বান

প্রভাত খাঁ

মানুষ নিছক উদর সর্বস্ব জীব বিশেষ নয়৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম প্রাণী৷ কারণ একমাত্র মানুষই পারে এই বিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে৷ তার সূক্ষ্মতম মানসিক বিকাশের মাধ্যমে৷ অন্য কোন প্রাণীর সেই সামর্থ নেই৷ তবে সঞ্চর ও প্রতিসঞ্চর ধারার মাধ্যমে যে সৃষ্টি প্রবাহ চলে তার প্রথম ও শেষ কথা হ’ল--- আমরা যথা হতে আসি তথায় ফিরিয়া যাই৷ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম সত্তা থেকে সঞ্চর ধারার স্থূল থেকে স্থূলতম সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি চলেছে৷ সেই এক কোষি প্রাণী থেকে আরম্ভ করে এর অগ্রগতি, তাই জীবজন্তু, গাছপালা থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে এই মানুষের সৃষ্টি৷ মানুষ মন প্রধান জীব হিসেবে নিজেকে জানতে চায়৷ আর সেই জানার আকাঙ্খাতে সেই

দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে দু’চার কথা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

প্রতি বছর দুর্গাপূজা ও কালী পূজা নিয়ে বাঙালীরা মেতে ওঠে৷ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু এই দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে আমার মনে কিছু প্রশ্ণ জেগেছে৷