April 2021

তৃতীয় দফার নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’র মনোনয়ন দাখিল

রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৯জন ও দক্ষিণবঙ্গে তিনজন ‘আমরা বাঙালী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন৷

উত্তরবঙ্গে ফালাকাটা বিমল রায় দক্ষিণবঙ্গে মেটিয়াবুরুজ সোনারপুর ও হাওড়া পাঁচলায় ‘আমরা বাঙালী’র প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন৷ পাঁচলায় অমর চ্যাটার্জী, সোনারপুর দক্ষিণ সঞ্জয় রায়, ও মেটিয়াবুরুজে প্রণতি পাল৷

 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা

রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা৷ সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই প্রায় নেই বললেই হয়৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একটা সময় ২০০-র অনেক নীচে নেমে গিয়েছিল৷ তাতেই হয়তো মানুষের আত্মতৃপ্তি দেখা দিয়েছিল৷ চিকিৎসকদের মতে এই সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরী ছিল৷ কিন্তু মানুষের আত্মতৃপ্তি ও নির্বাচনী আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠেছে৷ রাজনৈতিক দলের নেতারাও খুব একটা সচেতন বলে মনে হয় না৷ তাই করোনার গ্রাফ আবার উর্দ্ধে উঠছে৷ ক’দিন আগে ৮০০-র উর্দ্ধে উঠেছিল সেখান থেকে আবার ৬০০ এর ঘরে নেমে আসলেও মার্চের শেষ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে৷ করোনা সংক্রমণের এই ওঠ

মধ্যবিত্তের  ঘাড়ে কোপ স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমল অনেকটাই

বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয়ে প্রকল্পে সুদ অনেকটাই কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ চলতি অর্থবর্ষে শেষ দিনে সুদের হার ছাঁটাইয়ের কথা জানালো আচ্ছা দিনের সরকার৷ প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমও এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়েছে৷ এই সব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মধ্যবিত্ত মানুষ৷ তাই সুদ ছাঁটাই-এর কোপটা তাদেরই ঘাড়ে পড়ছে৷

 

স্বল্প সঞ্চয় সুদের পরিবর্তিত হার

প্রকল্প                                                    আগের সুদ                 বর্তমান সুদ

সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিম              ৭.৪                              ৬.৫

জেলায় জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র ব্যাপক প্রচার

তৃতীয় দফার ভোটে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গসহ বেশ কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করছে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী৷ কোচবিহার জেলার ৯টির মধ্যে ৮টিতেই প্রার্থী দিয়েছে আমরা বাঙালী৷ জলপাইগুড়ি চারটি আসনে ও উত্তর দিনাজপুরে কয়েকটি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে৷ এইসব কেন্দ্রে প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নেমেছে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা৷

দ্বিতীয় দফার ভোটে বুথ দখল ছাপ্পা কেন্দ্রীয় বাহিনী শিখণ্ডি

রাজ্যে জনগণ যাতে নির্বিগ্ণে ভোট দিতে পারে তার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে আট দফায় ম্যারাথন নির্বাচন, বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপুল আয়োজন৷ কিন্তু সবই ব্যর্থ নন্দীগ্রামের নির্বাচনে৷ নন্দীগ্রামে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, তৃণমূলের এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়া, জনসাধারণকে  বুথে আসতে বাধা দেওয়া,ভয় দেখানো সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষ্ক্রীয় রেখে৷ অভিযোগ নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তার অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উষ্কানীতেই এসব হয়েছে৷ বোয়ালের একটি বুথে, পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দুঘন্টা আটকে ছিলেন৷ বাইরে তখন দুইপক্ষের রনংদেহী মূর্ত্তি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোন সক্রিয় ভূমিকা নিতে

রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ধাপ্পাবাজি নয়, চাই অর্থনৈতিক গণতন্ত্র---শোষণমুক্ত সমাজ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তা একটি শোষণমূলক ব্যবস্থা৷ এই রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে৷ ধূর্ত লোভী রাজনৈতিক নেতারা পুতুল মাত্র৷ পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ে মুষ্টিমেয় শোষক পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ তাদের  অঙ্গুলী হেলনেই নেতারা নড়াচড়া করে৷ তাই স্বাধীনভাবে  জনগণের কল্যাণ করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা কোনটাই নেতা মন্ত্রীদের নেই৷ অনেকক্ষেত্রেই জনগণও স্বাধীনভাবে মত দান করতে পারে না৷  বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশেই রাজনৈতিক গণতন্ত্রের আড়ালে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পেশীশক্তি ও আর্থিক শক্তির রমরমা চলে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগেই এটা প্রমাণিত৷ সম্প্রতি আমেরিকার র

ধর্মের পথ

মানুষের সামনে দুটি পথ–একটি শ্রেয়ের পথ, অন্যটি প্রেয়ের পথ৷ প্রেয়ের পথে মানুষ পায় ক্ষণিক সুখ, আর শেষে দুঃখ৷ আর শ্রেয়ের পথে চললে তাতে সাময়িক দূুঃখ–ক্লেশ এলেও শেষপর্যন্ত সেই পথেই মানুষের ৰৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হয়৷ মানুষ যখন প্রেয়ের পথ ধরে তখন সে যুক্তির দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সেন্টিমেন্টের (ভাবপ্রবণতার) বশে চলে আর যখন শ্রেয়ের পথ নেয়,তখনও যুক্তির দ্বারা নয়, কল্যাণৰোধের ভাবনার দ্বারা প্রেষিত হয়ে চলে৷ ভাবে, এই যে পথে আমি চলেছি, কাজ করছি, এটা কল্যাণের পথ– মঙ্গলের পথ৷ এই পথেই জনসেবা–জনকল্যাণ সর্বাধিক  হবে৷

পূর্বার্দ্র তত্ত্ব

পশ্চিমবঙ্গ, ৰাঙলাদেশ, ত্রিপুরা ও অসম সমন্বিত ভারতের পূর্বাঞ্চলের এই বিশাল ভূভাগটি জলবায়ুর দিক থেকেও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ৷ সমগ্র অঞ্চলের জলবায়ুই উষ্ণ ও আর্দ্র৷ সমুদ্র কাছাকাছি বলে শীত–গ্রীষ্মও ততটা প্রখর নয়৷ তথাপি এর পশ্চিম অংশের সঙ্গে পূর্বাংশের জলবায়ু–গত কিছুটা পার্থক্য আছে৷ পশ্চিমাংশের সমভূমিতে গ্রীষ্মে ১২০ ০ফারেনহাইট পর্যন্ত উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় আবার শীতকালে উষ্ণতা ৫৫০ফারেনহাইটে নেমে আসে৷ কিন্তু পূর্বাংশে অর্থাৎ ত্রিপুরা–সমে জলবায়ু অপেক্ষাকৃত সিক্ত ও আর্দ্র৷ পশ্চিমের রাঢ় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেখানে গড়ে ৫০ –৫৫  সেখানে পূর্বাঞ্চলের অসম–মেঘালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৫০৮ ৷ উত্তরে দার্জিলিং

ভেতর থেকে পরিবর্তন চাই

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সব রাজনৈতিক নেতারাই তারস্বরে গণতন্ত্রের সুনাম করেন৷ রাজতন্ত্র, অভিজাত–তন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব নয়– এমন বোধ করি একজনও নেতা বা নেত্রী পাওয়া যাবে না৷ তবুও এ প্রশ্ণটা অত্যন্ত সঙ্গত যে– গণতন্ত্রকে কেউ কি মানে?

গণতন্ত্র মানে তো জনগণ, কারও চাপে নয়, স্বাধীন ভাবে বিচার–বিবেচনা করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে৷ আর সেই জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে৷ তবে তাকে বলা হবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের জন্যে–জনগণের সরকার৷ একেই বলে গণতন্ত্র৷

নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ - বাঙলার নববর্ষ

আমরা  পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চলছে