April 2021

মুখোশের আড়ালে মুখ---বাঙালী সাবধান

এইচ.এন. মাহাত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজী বাঙলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন৷ মতুয়া ভোটারদের মন জয় করতে মতুয়াদের তীর্থস্থান উড়াকান্দী যাওয়ার পথে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’’ ধবনি দিয়ে বাংলাদেশের  মন জয় করে গর্ববোধ করলেন৷ তবে কি তিনিও ‘‘বাংলাদেশী’’!

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল ‘‘সোনার বাঙলা’’ গড়বার লক্ষ্যে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার মধ্যে  অন্যতম --- রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মহিলাদের গণপরিবহনে (অবশ্যই সরকারী) বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে৷ খুবই আকর্ষণীয় ও লোভনীয় টোপ৷ মহিলা ভোটারদের মন জয় করার জন্য  এমন ধরণের প্রতিশ্রুতি যে ভোটে প্রভাব ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে কী এমন প্রকল্প চালু আছে--- এ প্রশ্ণ সকলের মনেই দেখা দিয়েছে তাহলে বিজেপি দল কী পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের জন্যই এমন ধরনের টোপ দিল?

নিরপেক্ষভাবে অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন কমিশন

প্রভাত খাঁ

পদে পদে সংবিধানকে ক্ষুদ্র স্বার্থে অস্বীকার করে যদি জনপ্রতিনিধিরা ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে সংখ্যা গরিষ্টার অধিকার ফলিয়ে দেশ শাসন করার মিথ্যা অহংকার দেখায় সেটা জনগণ কি  মানতে পারেন আর সহ্য করতে পারেন? তাই এককালে জাতীয় দলগুলি ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতল তলে বিলীন হয়েই চলেছে৷ আর নোতুন শূন্যস্থানপূরণ করছে ধান্দাবাজরা৷ সেটা যে উন্নতর হবে সেটা বলা চলে না৷ সেটা ধান্দাবাজদের সঙ্কীর্ণতায় খারাপ হতেই পারে৷ তখন জনগণকেই সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে৷ তাতে তাদেরই কষ্টটা বেশী৷ আজ এদেশে যাঁরা শাসনে অধিষ্ঠিত তারা তো সেই নোতুন বোতলে পুরাতন বস্তু বিশেষ৷ হয়ত সেটা আরও দূষিত!

ভারতের গণতন্ত্রের প্রহসন

কৃষ্ণমোহন দেব

(পূর্বে প্রকাশিতেরে পর)

শাসকের সংখ্যা

স্বাভাবিক রূপ(সমাজের কল্যাণে শাসন)

বিকৃত রূপ-শাসকের কল্যাণে শাসন

একজনের হাতে

রাজতন্ত্র

স্বৈরতন্ত্র

কয়েকজনের হাতে

অভিজাত তন্ত্র

ধনিক তন্ত্র

বহুজনের হাতে

নিয়মতন্ত্র

গণতন্ত্র

বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই গণতান্ত্রিক অর্থনীতির সার্থক রূপ

প্রবীর সরকার

দেশ পরিচালনা করা যদি সহজ হতো তাহলে কথাই ছিল না৷ সুগৃহকর্তা বা কর্ত্রী যদি না হয় তাহলে সে গৃহের কল্যাণ ও উন্নতি হয় না৷ ঠিক তেমনই রাষ্ট্রের প্রধান যদি সুশাসক না হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কখনোই উন্নতি করতে পারে না৷ আজ মনে পড়ে সেই অতীতের সুলতানী যুগের কথা৷ ভারত সম্রাট নাসিরুদ্দীনের বেগম রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেন তখন সম্রাটকে বেগম একজন দাসী রাখার প্রার্থনা জানান৷ তিনি কোরাণ নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাই তাঁর পক্ষে দাসী রাখা সম্ভব নয় বলে বেগমকে জানান৷ আর রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ প্রজাদের৷ সেই অর্থ অযথা ব্যয় কারর অধিকার তাঁর নেই৷ এই বোধ যদি শাসকদের না থাকে তাহলে তো তাঁরা ধার করেই শাসন পরিচা

পশ্চিম বাঙলার নাগরিকগণ নির্বাচনে বাঙলার গৌরবময় রাজ্যের কথাভেবে মতামত  দান করুণ

নিরপেক্ষ

আজ দেখা যাচ্ছে আগের মতো ভারতের রাজনৈতিক জগতে দেশসেবক নেই৷ তাঁরা জনসংযোগ করতেন ও জনগণকে সম্মান দিতেন৷ তাঁরা ছিলেন জনসেবক৷ আজ যারা রাজনীতিতে এসেছে তারা অধিকাংশই ধান্দাবাজ আর ধনী৷ এরা রাজনীতিতে এসে ছল-বল-কৌশলে দলে ঢুকে এম.এল.এ ও এমপি হয়ে গুছিয়ে নিয়ে ঠিক  নির্বাচনের প্রাককালে দলছুট হয়ে দলভাঙ্গাভাঙ্গী করে নিজেদের আখের গুছোয়৷ আর এই প্রবণতাটা বেড়েছে এ রাজ্যে কারণ দিল্লির বিজেপি সরকার এই সমস্যা সংকূল পশ্চিম বাংলাকে কব্জা করে বাঙলার কৃষ্টি সংসৃকতি ও বাঙলার রাজনৈতিক সচেতনতাকে চিরকালের মতো ধবংস করতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশেষ সাম্প্রদায়িকতাকে আমদানী করে বাঙলা৷ নিজস্ব বাঙালীয়ত্বটাকেই শেষ করে দিতে চায় বাংলা

বাইখোয়া নবনির্মিত আনন্দমার্গ সুকল ভবনে উদ্বোধন

আগরতলা ঃ গত ২৮শে মার্চ দক্ষিণ ত্রিপুরার বাইখোয়া আনন্দমার্গ সুকলের নবনির্মিত ভবনের  গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী৷ ওই দিন সকাল থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিভিন্নপ্রান্তে মার্গী ভাইবোনরা সুকল ভবনে সমবেত হতে থাকেন৷ এরপর প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত সাধনার পর গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানটি  শুভ সূচনা করা হয়৷ অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন আচার্য দীপ্তেশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দশুদ্ধচিতা আচার্যা ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷

বাঙলা মঞ্চের প্রতিবাদ

বাঙলা মঞ্চ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, যে কায়দায় গত ২৭শে মার্চ জঙ্গলমহল অঞ্চলের নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে, মাঝরাতে, ৪০ জন  এন.আই. এ পুলিশ ছত্রধর মাহাতকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে আনে কলকাতায়, তা কার্যত অপহরণ ও আইনি ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার শুধু নয়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ নতুন ঝোঁকের এ কুৎসিত ভয়ঙ্কর নিদর্শন বলে মঞ্চ মনে করে৷

বসন্ত উৎসব পালন করল সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন

বসন্তের সেরা উৎসব দোল৷ প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন গত ২৬শে মার্চ নিজস্ব অডিটোরিয়ামে বসন্ত উৎসব পালন করল৷ ‘আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে৷ ওগো আমার প্রিয়, তোমার রঙিন উত্তরীয়, পরো, পরো,..’ নামাঙ্কিত এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রাধাকৃষ্ণের বন্দনা দিয়ে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বসন্ত উৎসবের ওপর বক্তব্য রাখেন সংঘটনের সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য্য৷ তিনি বলেন, বাঙালীর প্রিয় উৎসব দোল ও গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব ভোট৷ এই দুই উৎসবেই সবার রঙ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাক, এটাই আমাদের ইচ্ছে৷