September 2021

শিল্পগুরু সম্মান পাচ্ছেন বাঙলার শোলাশিল্পী

শিল্পগুরু সম্মান পাচ্ছেন বাঙলার শোলাশিল্পী বাঙলার শোলশিল্পের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে৷ বিশ্বের বিভিন্ন সংগ্রহ শালায় শোভা পাচ্ছে বাঙলার শোলার সুনিপুন শিল্প-কর্ম৷ বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের বনকাপাশি গ্রাম শোলা শিল্পের জন্যে খ্যাত৷ এই গ্রামের শোলা শিল্পি আশিষ মালাকার এবার শোলাশিল্পে তাঁর অবদানের জন্য  আশিষ ‘শিল্পগুরু’ সম্মান পাচ্ছেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর হস্ত শিল্পে অবদানের জন্যে বিভিন্ন শিল্পিকে এই সম্মান দিয়ে থাকে আশিষ মালাকার এর আগে শোলা শিল্পে তাঁর নৈপুণ্যের জন্যে  রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছেন৷ এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর শোলা শিল্প প্রশংসা পেয়েছেন৷ আদিত্য মালাকরও সোলা শিল্পে নিপুণতার জন্যে র

একমাত্র শোষণ বিরোধী আন্দোলনই  ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত করবে

গত ১৫ই আগষ্ট দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ এক আলোচনা সভায় বলেন---স্বাধীনতাপূর্ব দেশনেতাদের ভুলের মাশুল আজও দেশবাসীকে  দিতে হচ্ছে৷ নেহেরু থেকে নরেন্দ্র মোদি সেই ভুলের পথ ধরেই চলেছেন৷ হয়তো চলতে বাধ্য হচ্ছেন৷ রাজনৈতিক নেতারা তো পুতুলমাত্র৷ আড়াল থেকে তাদের নাচায় দেশীয় পুঁজিপতিরা৷

আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনাচক্র

শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ১৪ই আগষ্ট জাতীয় ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল  আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বুদ্ধিজীবী শাখা রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্র্সল৷ এই ওয়েবিনারে সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক গোপালচন্দ্র মিশ্র৷ শ্রী মিশ্র তাঁর আলোচনায় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর বহুমুখী প্রতিভার কথা প্রসঙ্গে বলেন--- দর্শন, সঙ্গীত, নব্যমানবতাবাদ, ভাষাবিজ্ঞান অর্থনীতি প্রভৃতিতে আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদান মৌলিক চিন্তার বিষয় যা সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব্‌ অ্যাডভান্সড স্টাডির  ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক চমনলাল গুপ্তা তাঁর ভাষণে  শিল্প,

নেতাজী মৃত্যু বিতর্ক--- কংগ্রেস বিজেপি একমঞ্চে

সুভাষচন্দ্রের ভূত কিছুতেই ছাড়ছে না কংগ্রেস আর এস এসের ঘাড় থেকে৷ ১৯৩৮ সালে কংগ্রেস সভাপতি হয়ে সুভাষচন্দ্র ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি দেশীয় পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধেও আন্দোলনের কথা বলেছিলেন৷ তিনি এও বলেছিলেন  দেশীয় পুঁজিপতিদের মদতে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷’’ এরপর সুভাষ বিরোধীতায় কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট, আর এস.এসকে একমঞ্চে দেখা গেছে৷ তারপরের ইতিহাস সুভাষচন্দ্রের দ্বিতীয় কংগ্রেস  সভাপতি নির্বাচিত হয়েও দেশীয় পুঁজিপতিদের চৌকিদার হিন্দ লবির চক্রান্তে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসে সভাপতির পদত্যাগ,দেশত্যাগ, আজাদহিন্দ  ফৌজ গঠন,ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা---সে ইতিহাসকে লুপ্ত করার চেষ্টায় ব

শ্রাবণী পূর্ণিমা– স্থান– কাল–পাত্র নির্বাচনের তাৎপর্য

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷

সাধনা কবে থেকে শুরু করা উচিত?

ৰুদ্ধিমান ব্যষ্টি শৈশব অবস্থা থেকেই ধর্মসাধনা করৰে৷ কারণ মানুষের শরীর দুর্লভ, আর তার থেকেও দুর্লভ সেই জীবন যা সাধনার দ্বারা সার্থক হয়েছে৷ সব কাজ সঠিক সময়ে করা উচিত৷ যেমন আষাঢ় মাসে ধান রোপণ করা উচিত, আর অঘ্রাণে কাটা উচিত৷ কেউ যদি অঘ্রাণে রোপণ করে তবে সমস্যা হয়ে যাৰে৷ ফসল হৰে না৷ ঠিক ওই রকম কেউ যদি ভাবে ৰৃদ্ধ বয়সে ধর্মসাধনা করৰ, তাহলে খুব ৰড় ভুল হয়ে যাৰে৷ কারণ ৰৃদ্ধাবস্থা সমস্ত মানুষের জীবনে নাও আসতে পারে৷ কালকের সূর্যোদয় তোমার জীবনে নাও আসতে পারে৷ তাই কোন কাজ কালকের জন্যে ফেলে রাখা উচিত নয়৷ যখনই কিছু ভাল কাজ করার ইচ্ছা হয় তো তখনই করে নাও৷ তৎক্ষণাৎ করে নাও৷

সভ্যতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি

আজকের আলোচনার বিষয় হ’ল, সভ্যতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি৷ মানুষের বিভিন্ন ভাবের অভিব্যক্তির সামূহিক নাম ‘কালচার’ বা ‘সংস্কৃতি’৷ শুরুতেই আমি তোমাদের ৰলে রাখছি, গোটা মানুষ জাতির সংস্কৃতি একটাই৷

নীতি ও নেতৃত্বের সংকট

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন শুধু মোদি সরকারের আমলেই বা বলি কেন স্বাধীনতার পর থেকে অর্র্থৎ সেই গান্ধী নেহেরুর আমল থেকে বর্তমানে মোদির আমল পর্যন্ত এই ৭৫ বছর ধরে দেশীয় শাসনে ভারতের ২৭ কোটি মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায় নি---এখন তারা ক্ষুধার শিকার৷ তারা প্রত্যহ রাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমোতে যায়--- ক্ষুধা নিয়ে জাগে৷

অথচ দেশের সিংহভাগ  মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের দখল করে বসে আছে৷

দেশের বিশাল এক অংশ আজ চরম দারিদ্রের শিকার৷ দেশের অধিকাংশ ছাত্র-যুবা বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরছে৷ জীবনকে সুন্দর করে বিকাশের কথা ভাববার অবসর নেই তাদের৷  ---অন্নচিন্তা চমৎকারা !

ভারতীয় রাজনীতির কর্কট ব্যাধি

একর্ষি

পূর্বপ্রকাশিতের পর,

শুরুতেই লক্ষ্য করা দরকার,---৪২তম সংবিধান সংশোধনে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র (সেকুলারষ্টেট্‌) হিসাবে  ঘোষণা করা হ’ল এর সরলার্থ ও বিশিষ্টার্থ হল ধর্মহীন রাষ্ট্র৷ মানে---রাষ্ট্রে কোন ধর্ম থাকবে না,এটা একটা বিকৃত মস্তিষ্কের মানবতা বিরোধী, সমাজ বিরোধী বিজ্ঞান বিরোধী উদ্ভট ভাবনা৷ যেকোন সত্ত্বাকে তার ধর্ম (প্রপার্টি) ধরে  রাখে, অর্থাৎ তার অস্তিত্বকে বজায় রাখে৷ তাহলে ধর্ম ছাড়া মানুষ! মানুষের -ধর্ম না থাকলে মানুষটাই তো থাকবে না৷ মানুষটাই যদি নাথাকল তবে কাদের জন্য সমাজ, শাসনব্যবস্থা ও সংবিধান? কিম্ভূত ব্যাপার!

স্বার্থান্ধ দলছুটরাই দেশে গদ্দারী করে চলেছে তাই স্বৈরাচারিতাকে প্রতিহত করতে প্রয়োজন প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

নিরপেক্ষ

শোষণ বিরোধী আন্দোলনকে যদি আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ করা না হয় তা হলে শুধু ভারতে কেন সারা পৃথিবীর কোটি কোটি শোষিত ও নিপীড়িত হতভাগ্য জনগণ, জীবজন্তু, ও গাছপালা বাঁচবে না ঐ সব গদ্দার শোষক শ্রেণীর হাত থেকে৷ তবে একটা কথা সকল সচেতন জনগণকে স্মরণে রাখতেই হবে যে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই রয়ে গেছে সেই গদ্দারী পণা সুপ্রাচীন কাল থেকেই৷ যারা লোভী, প্রতিষ্ঠামান  যশের কাঙ্গাল তারাই অল্পবিস্তর গদ্দারই হয়৷  তারাই দলছুট হয়৷ সেই অপ্রিয় সত্য, কথাটা স্বার্থান্ধ কোন রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী সেটাকে মেনে নিতে পারেই না৷  যদি তা  না হতো তাহলে সর্বভারতীয় দলগুলো এতো অল্প সময়ে টুকরো টুকরো হলো কেন?