February 2022

২১শে ফেব্রুয়ারী ও সমাজ আন্দোলন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙলা ও বাঙালীর গর্ব, বাঙলা ও বাঙালীর গৌরব৷ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ওপার বাঙলার বিশেষ করে ছাত্র, যুবসমাজ সমস্ত প্রকারের সংকীর্ণতার ঊধের্ব উঠে মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ভালবাসার টানে যেভাবে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের মত উত্তাল হয়ে উঠেছিল ও সমস্ত গোঁড়া ধর্মমত ও সাম্প্রদায়িকতার সমস্ত প্রাচীরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, ইতিহাসে তার তুলনা নেই৷ যুবজাগরণ সম্পর্কে কাজী নজরুল বলেছিলেন---

‘এই যৌবন জলতরঙ্গ রুধিবে কি দিয়া বালির বাঁধ

কে রোধিবে এই জোয়ারের জল গগনে যখন উঠেছে চাঁদ৷’

যথার্থই সমস্ত ডগমার বাঁধ সেদিন বালির বাঁধের মতই প্রবল তরঙ্গাঘাতে নিশ্চিহ্ণ হয়ে গিয়েছিল৷

২১শে ফেব্রুয়ারীর ডাক

‘২১শে ফেব্রুয়ারী’ বাক্যাংশটি উচ্চারিত হলেই শরীরের প্রতিটি শিরা-ধমনীতে তপ্ত-শোণিত স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে, প্রতিটি অণু-পরমাণুতে এক অদ্ভুত অনুরণন ধবনিত হয়, সমগ্র দেহে এক তীব্র কম্পনের অনুভূতি জাগে৷ একদিকে মানব অস্তিত্বের প্রতি শিরা-উপশিরায়, স্নায়ূতন্ত্রের প্রতিটি কোষে কোষে প্রচণ্ড যন্ত্রণা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয় অন্যদিকে এক অনাস্বাদিত গর্বে বুক ভরে যায়৷ ১৯৫২ সালের এই দিনটিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাঙালী রাষ্ট্র বাঙলাদেশ) ডাকা (ঢাকা) শহরে উর্দু ভাষার ধবজাধারীদের আগ্ণেয়াস্ত্রের গুলিতে পাঁচটি তাজা প্রাণ (রফিক, বরকত, জববার, সালাউদ্দিন, আতায়ূর রহমান) বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত ত

পুঁজিবাদী শোষণ রুখতে প্রাউটিষ্টদের আহ্বান

প্রভাত খাঁ

এই পৃথিবী গ্রহে ত্রিভুজাকৃতি ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব অপরিসীম৷ বিশ্বের বুকে ভারতের অধ্যাত্মবাদ মানুষের ঐশী চেতনার বিকাশের যেমন পথ নির্দেশনা দিচ্ছে ঠিক তার সাথে সাথে অমৃতের সন্তানদের ভূমা–সম্প্রীতির গভীর আগ্রহ জাগিয়ে ‘‘মহামিলনের সাগরতীরে’’ এই আগমনের আহ্বান জানাচ্ছে৷ এই মহা সত্যটি যদি ভারতবাসীগণ বিস্মৃত হয় তা হলে তার চেয়ে বেদনার ও দুঃখের আর কি থাকতে পারে৷ আজ ভারত সে কথা ভুলে গেছে বলেই জগৎ সভায় প্রতি পদে পদে অবহেলিত ও লাঞ্ছিত হয়ে কালাতিপাত করছে৷

গোড্ডায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা ডিটের তেলোলিয়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুশীলা দেবীর বাসগৃহে তিনঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে স্থানীয় মার্গী দাদা দিদিরা সুশীলা দেবীর বাসগৃহে সমবেত হয়েছিলেন৷ সকলের মিলিত কীর্ত্তনের সুরমুর্চ্ছনায় এক স্বর্গীয় আনন্দঘন পরিবেশ তৈরী হয়েছিল৷ আচার্য সুধাময়ানন্দ অবধূত জানান---কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা শেষে উপস্থিত মার্গীদের নিয়ে গোড্ডায় আসন্ন ধর্ম সম্মেলন বিষয়ে  আলোচনা হয়৷

চোপড়ায় এ্যামার্টের ত্রাণ

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ডিটের চোপড়ার ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে  আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিমের পরিচালনায় স্থানীয় দোলুয়া মেলায় বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ মেলা উপলক্ষ্যে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিল৷ এ্যামার্টের উদ্যোগে সকলে খুশী হয়৷

বেগুসরাইতে আনন্দমার্গের প্রচার

বিহারের বেগুসরাই ভুক্তির বারুইনি ব্লকে আনন্দমার্গের দর্শন ও আদর্শের প্রচার করা হয় গত ১৫,১৬,১৭ই ফেব্রুয়ারী৷ বর্তমান বিশ্বে সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য ও  ধর্মের নামে ব্যভিচার সামাজিক পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে৷ অর্থনৈতিক দুর্দশা, জাত-পাতের বিভেদ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে জর্জরিত সমাজ৷ এই অবস্থায় আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শনই সমাজকে রক্ষা করতে পারে৷

লিচুরও ইতিকথা আছে

লিচু ভারতে এসেছিল সম্ভবতঃ বৌদ্ধযুগে৷ ভারত ও চীন উভয়েরই দেশজ ফল হচ্ছে অংশুফলম৷ ফলটির অনেক নামের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে অংশুফল্৷ এই আঁশফল গাছের পাতা দেখতে লিচু পাতার মত নয়–কিছুটা গোলাকার.......লিচুর চেয়ে একট ছোটও৷ গাছ কিন্তু লিচু গাছের চেয়ে অনেক বড় হয়.....বট, পাকুড়, অশ্বত্থের মত হয়ে যায় বীজ লিচুর চেয়ে কিছুটা ছোট কিছুটা চ্যাপ্ঢা হয়৷ ফল মিষ্টি হলেও তাতে উৎকট ঝাঁঝ ও গন্ধ থাকে৷ ছোটরা ভালবেসে খেলেও বড়রা পছন্দ করেন না৷ এই আঁশফল বাংলার একটি সাবেকি ফল–ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়৷ চীন এই আঁশফল নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করে তৈরী করেছিল লিচু৷ বর্তমান পৃথিবীতে চীনের লিচুই সবচেয়ে বড় আকারের, অধিক রসযুক্ত ও সুস্বাদু৷ চী

সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগারোগ্য Music therapy

(সঙ্গীতের আবাজ) কাণের মধ্যে দিয়ে স্নায়ুকোষে brain পৌঁছায়৷ সেখান থেকে এই তরঙ্গ vibration শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও বিশেষ চক্রকে প্রাণবন্ত activise করে দেয় (এর ফলে রোগ দূরীকরণে সহায়তা হয়)৷ প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে নিম্নলিখিত রোগগুলির উপশম হয় ঃ–

একুশের আলো

শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন

একুশের আলোটা নিভিয়ো না বন্ধু

একুশের উত্তাপটা নাও

শোষণ জারীর কায়দাটা রুখতে

ভাষায় হামলা থামাও৷

একুশের প্রতিবাদ ভুলো না বন্ধু

একুশের প্রাণটা ধরো

হীনতার দিন নয় আজ

মাতৃমন্ত্রে জয়ধ্বনি করো৷

একুশের রক্তমাখা পঞ্চ পুষ্পাঞ্জলি

মাতৃবেদীমূলে

ঊনিশের দশটি আত্মাহুতি

লুটাবে কেন অবহেলে?

বলো বন্ধু বলতে তোমায় হবে

বাঙালী জনগোষ্ঠী খণ্ডিত হয়ে রবে?

বাঙালী জনগোষ্ঠী কেন ঝাড়খণ্ডী হবে?

বাঙালী জনগোষ্ঠী কেন অসমে মার খাবে?

এপার ওপার বার বার বাঙলা ভাগ হবে

অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে