May 2022

চার ভাই–ই কবি

হ্যাঁ, সেই চার ভাই ছিল পণ্ডিত পিতার মূর্খ সন্তান (‘সন্তান’ শব্দটি পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ উভয় ক্ষেত্রেই  ব্যবহূত হয়৷ সম্–তন্ ঘঞ্ প্রত্যয় করে ‘সন্তান’ শব্দ ৰ্যুৎপত্তিগত ভাবে অবশ্যই পুংলিঙ্গ৷ কিন্তু ব্যবহারে উভয়লিঙ্গ৷ ‘সন্তান’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ দিতে গিয়ে অনেকে ‘সন্ততি’ শব্দটিকেও টেনে আনেন যার কোন প্রয়োজন নেই৷)

এশীয় কুস্তিতে সোনার হ্যাটট্রিক রবির

ইরানের রহমান আমৌজাদখলিলির বিরুদ্ধে ৬৫ কেজি বিভাগে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে ১-৩ হেরে রুপো পান বজরং পুনিয়া। অন্য ফাইনালে গৌরব বালিয়া ৭৯ কেজি বিভাগে শেষ পর্যন্ত ৯-৯ করেও

এশীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন ভারতীয় কুস্তিগির রবি দাহিয়া। এর আগে গত বছর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন তিনি।

শনিবার মঙ্গোলিয়ায় রবি সোনা জিতেছেন ৫৭ কেজি বিভাগে। রুপো পেয়েছেন বজরং পুনিয়া (৬৫ কেজি) ও গৌরব বালিয়া (৭৯ কেজি)। রবি প্রথম ভারতীয় কুস্তিগির, যিনি এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে রেকর্ড গড়ে তিনটি সোনা জিতলেন।

বিশ্বকাপে নামার সাত মাস আগেই জোর ঝামেলা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে যোগ্যতা অর্জন ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের সেই ম্যাচ পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাতিল করে দেওয়া হয়। ব্রাজিলের স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিযোগ করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ তথ্য দেননি। সেই কারণে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই

দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি

দেশে বেকারত্ব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমির তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে ০.২৩ শতাংশ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে দেশে৷ গত মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬০ শতাংশ৷ এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৭.৮৩ শতাংশ৷ বেকারত্বের হার সবথেকে বেশী  হরিয়ানায় ৩৪.৫ শতাংশ৷ এরপরেই আছে রাজস্থান---২৮.৮ শতাংশ৷ সি.এম.আই.ইর তথ্যানুযায়ী শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি বেশী৷ মার্চ মাসে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৮.২৮ শতাংশ৷ এপ্রিল মাসে বেড়ে হয় ৯.২২ শতাংশ৷ ওই সময়ে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব ৭.১৮ থেকে বেড়ে হয় ৭.২৯ শতাংশ৷

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বসূচকে ভারতের অধঃগতি

পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই বলে বিজেপি নেতারা চিল চিৎকার করে৷ এবার মোদির রাজত্বে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ণ তুললো ‘রিপোর্টাস উইদআউট বর্ডারস’৷ গত ৩রা মে রিপোটার্স উইদআউট বর্ডারসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫০ নম্বরে৷ গত বছর ভারতের স্থান ছিল ১৪২ নম্বরে৷ অর্থাৎ এবছর আরও আট ধাপ এগিয়ে গেলো ভারত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণে৷ প্রতিবেশী দেশ নেপালের স্থান ৭৬ নম্বরে৷ বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবসে  সংঘটনটি ভারতকে অনুরোধ করে সাংবাদিক ও অনলাইন সমালোচকদের হেনস্থা বন্ধ করা৷

শ্রদ্ধায় নত প্রতিজ্ঞায় দৃঢ় পাপীর বিনাশে অবিচল বিজনসেতুতে সপ্তদশ দধীচির স্মরণসভা

।১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল সভ্যতা ও সংস্কৃতির  পীঠস্থান কলিকাতা শহরে বালিগঞ্জ বিজনসেতু ও বন্ডেল গেটে তৎকালীন শাসকদলের ঘাতক বাহিনী আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ড যখন শাসকদল ও তার ঘাত বাহিনীর হাতে সংঘটিত হয়েছে তাই সে অপরাধ আজও বিচারহীন৷ হত্যাকাণ্ডের পরও প্রায় ৩০ বছর শাসন ক্ষমতায় ছিল বিজনসেতুর ঘাতক সিপিএম, তাই সেই ৩০ বছরে কোন বিচার আনন্দমার্গীরা পায়নে৷

পুরুলিয়ায় প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের দিল্লী সেক্টরের মুখ্যসচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জানান- আগামী ১৮ই মে থেকে ২১শে মে পুরুলিয়া শ্যাম ধর্মশালায় এক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাউটিষ্ট কর্মীদের  বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে ও বর্তমান সমস্যার সমাধানে প্রাউট তথা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষন দিতে৷

নারীজাতিকে অবদমিত করে রাখার প্রতিবাদে শিলচরে গার্লস প্রাউটিষ্টের সভা

গত ২৮শে এপ্রিল শিলচর শহরে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে অসমে নারী নির্যাতন ও নারী জাতিকে অবদমিত করে রাখার প্রতিবাদে একটি মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের কাছাড় জেলা সচিব শ্রীমতি রুবি দাশ জানান বর্তমান সমাজে নারী জাতি নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে৷ বহুক্ষেত্রেই যার কোন প্রতিকার হয় না৷ অসমের মত ছোট রাজ্যেও সরকারী তথ্য অনুযায়ী দৈনিক ১৭জন নারী নির্যাতিত হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্ট সমাজের সার্বিক কল্যাণে নারীজাতিকে সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা ও নারী নির্যাতন,নারীজাতিকে  অবদমিত করে রাখার  অপচেষ্টা রুখতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে৷

সমাজ আন্দোলনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পতন ঘটাবে

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

স্বর্গ ও নরক

মানব সভ্যতার ঊষালগ্ণ থেকে মানুষ বলে আসছে আর তাই দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে বলছে যে যদি তুমি এটা করো তবে স্বর্গ পাবে আর যদি না করো তবে নরকে যাবে৷ একটা হ’ল স্বর্গ বা বেহেস্ত (Heaven), অপরটা হ’ল নরক বা দোজখ্ (Hell)৷ এ বিষয়ে কত রঙ-বে-রঙের চিত্র দেখিয়ে সাধারণ বিশ্বাসপ্রবণ মানুষকে ৰোঝানো হয় যে নরকবাসীদের কী দুঃসহ যাতনায় না ভুগতে হয়৷ আর যারা কর্মগুণে স্বর্গে যায় তারা কী অপূর্ব আনন্দে না দিন কাটায়৷ তারা সোণার পালঙ্কে শোয়, রুপোর পালঙ্কে পা বিছিয়ে আরাম করে আর শুয়ে শুয়ে তারা চর্ব-চূষ্য-লেহ্য-পে ভোগ করে৷ গত কয়েক হাজার বছর ধরে এই ধরনের বহুতর গাল-গল্প চলে আসছে, এই ধরনের ডগমা বা ভাবজড়তা শাখা প্রশাখায় প