September 2023

ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও লাল কার্ডের নিয়ম চালু

পুরুষ ও মহিলাদের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আগামী মরসুম থেকে ক্রিকেটেও লাল কার্ডের নিয়ম চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ অর্থাৎ মন্থর গতির বোলিং করতে গেলে শুধু ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখতে হবে মন্থর বোলিংয়ের এটাই হল করা নিয়ম৷ ফিল্ডারকে অ্যাম্পায়ার লাল কার্ড দেখাবে৷ অর্থাৎ শেষ ওভারে ১০ জন ফিল্ডার থাকবে মাঠে৷

স্রোতের বিপরীত ভাবনা  বাঙালীকে ভাবতেই হবে

মনোজ দেব

এই মুহূর্তে ভারতীয় রাজনীতিতে দুই বিপরীতমুখী স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে৷ একটি এনডিএ অপরটি ইন্ডিয়া৷ বঙ্গ রাজনীতির প্রধান কান্ডারী মমতা বন্দোপাধ্যায় ইন্ডিয়া স্রোতে শুধু ভাসছেনই না তিনি এই স্রোতের একজন অতি উৎসাহী নেত্রীও বটে৷

বিজেপিকে দিল্লীর ক্ষমতা থেকে অবশ্যই সরানো দরকার৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লী থেকে বিজেপিকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের লাভ ক্ষতির কথা ভাবতে হবে৷ কারণ কংগ্রেস সিপিএম যে পশ্চিমবাঙলার খুব একটা শুভাকাঙ্ক্ষী নয় তা ৬৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ টের পেয়েছে৷ আমরা একটু পিছনে তাকিয়ে সে ইতিহাসটা দেখে নিই৷

জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও স্বনির্ভরতা অর্জন প্রাউটের পথেই সম্ভব

গত ২৭শে আগষ্ট কলিকাতা শ্যামবাজারে সমাজভবনে প্রাউটিষ্ট ছাত্রযুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নানা সমস্যা ও সমাধানের পথ বিষয়ে আলোচনায় আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন–প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৭ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র্য মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷

কলকাতায় মহাসমারোহে শ্রাবণী পূর্ণিমা উদ্‌যাপন

গত ৩০শে আগষ্ট কলকাতার কাশীমিত্র ঘাটে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মহাসমারোহে উদযাপিত হল শ্রাবণী পূর্ণিমা৷ শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিটি আনন্দমার্গের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন হিসাবে স্বীকৃত৷ কারণ ১৯৩৯ সালের এই তিথিতেই শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী যার লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৮ বছর বয়সে উত্তর কলকাতার বাগবাজারের কাছে কাশীমিত্র ঘাটে কালীচরণ নামে এক কুখ্যাত ডাকাতকে প্রথম দীক্ষা, দিয়ে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন৷ সে ছিল নর রক্ত পিপাসু এক নৃশংস খুনী৷ শুধুমাত্র অর্থের জন্য সে বহু মানুষকে হত্যা করেছিল৷ পরশমণির পরশে যেমন পাথরও সোনায় পরিণত হয়৷ ঠিক তেমনি সেই তরুণ প্রভাত

আনন্দময় নোতুন পৃথিবীর সন্ধানে

এটা আমরা প্রায় সবাই অনুভব করছি যে, আজ দেশের কি সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কি শিক্ষা–সংস্কৃতির জগতে, কি ধর্মমতের ক্ষেত্রে–সর্বক্ষেত্রেই একটা চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজের এক শ্রেণী চরম বিলাসিতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, জনসাধারণের সম্পদ লুটে পুটে খাচ্ছে৷ বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ৷ কী করে যে দিন গুজরান হবে তাই তারা বুঝে উঠতে পারছে না৷ ফলে সবার মনে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷

নির্ভয় হও

কখনও এই পরিস্থিতি আসতে পারে তুমি বিরাট শক্তিশালী সত্তার কাছে পৌঁছে গেছ, যাকে তুমি খুব ভয় পাও৷ এই যে শক্তিশালী সত্তা, তার শক্তি বা তার সাহস আসছে কোথা থেকে? সেও তোমার পিতার কাছে থেকেই আসছে৷ নিজের শক্তি বলে কারোর কিছু আছে কি? না, তা নেই৷ খাদ্য, হাওয়া, জল, মাটি ইত্যাদি দ্বারা পরমপিতা শক্তি প্রদান করেন৷ ধর, এক বিরাট শক্তিশালী পালোয়ান– সেটা কি তার নিজের শক্তি? না, তা নয়৷ সে শক্তি তোমার পরমপিতার৷ তাই তার থেকে তুমি ভয় কেন পাবে?

সমাজের কল্যাণে সকল শ্রেণীর মানুষের উপযোগ গ্রহণ

সমাজের উন্নতি বা প্রগতি ব্যষ্টি–বিশেষের একক প্রচেষ্টায় হয় না, বা হতে পারে না৷ কেউ দেয় মস্তিষ্ক, কেউ দেয় হাত, কেউ পা৷ তাই সুবিচার করতে গেলে পা–কে হীন আর মাথাই সর্বস্ব অথবা মাথাটার কোন দাম নেই–বুদ্ধিজীবী মাত্রেই শোষক, আর যারা গায়ে গতরে খেটে চলেছে তারাই সবকিছু–এই দুই প্রকার চিন্তাধারাই সমান বিপজ্জনক৷ আসল কথাটা হচ্ছে কে নিজের সামর্থ্য কতখানি কাজে লাগিয়েছে সেইটাই বিচার করে’ দেখা৷ সমুদ্র বাঁধতে গিয়ে হনুমানের পর্বত বয়ে আনা, আর কাঠবেড়ালীর নুড়ি বয়ে আনা তত্ত্বগত বিচারে তুল্যমূল্য৷ কারও আন্তরিকতাতেই আমরা সন্দেহ রাখতে পারি না, অবজ্ঞাও করতে পারি না৷ নিজের সম্পদ যে যথাযথভাবে খাটায়নি সে যদি, যে নিজের সম্প

আদর্শ নেতৃত্বের প্রয়োজন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বহু দলীয় গণতন্ত্রে নেতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ যদিও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলা হতে থাকে জনগণের জন্যে-জনগণের দ্বারা জনগণের সরকার৷ সার্থক গণতন্ত্র তখনই সম্ভব যখন রাষ্ট্রের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ও সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন হবে৷ ভারতবর্ষে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের একটা বড় অংশ আজও সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে শুধু অসচেতন নয়, অজ্ঞ বলা চলে৷ এই অবস্থায় ভারতীয় গণতন্ত্র দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে৷ অর্থাৎ দলের দ্বারা, দলের জন্যে, দলের সরকার৷ আবার দল নির্ভর করে ব্যষ্টি নেতৃত্বের ওপর৷ তাই ভারতীয় গণতন্ত্রে ব্যষ্টি নেতৃত্বকে অস্বীকার করা যায় না৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্

কেন্দ্র সরকার কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের  কথা ভাবুন

আমাদের হত দরিদ্র বৃহৎ ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ হতবাক হয়ে যায় যখন তাঁরা দেখেন যে এদেশের কেন্দ্র ও রাজ্য  সরকারগুলি যখন সাধারণ নির্বাচন  আসে তখন নোতুন নোতুন পরিকল্পনার জোয়ার বহিয়ে দেন৷ একটি মাত্র উদ্দেশ্য ঐসব দেশের বোটারগন যাতে তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক শোষণের কথা ভুলে বোট বাক্সে তাঁদের মূল্যবান বোটটি ঐসব দলকে দেন! এই কথাটি তাঁরা আজ যাঁরা নবীন ও প্রবীন সেটা ভালো করেই বোঝেন!

মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের আলোকে বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এই বিশ্বসৃষ্টির মূলকারণ কী? প্রাণ বা প্রাণীনতার আদি বিন্দুটি কী? এই বিশ্বের  কিংবা মহাবিশ্বের  বুকে প্রাণীনতার  আদিবিন্দুটি কী?