September 2023

শিক্ষা বিস্তারে আনন্দমার্গ

২০০১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসঙ্গী পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত একটি আনন্দমার্গ স্কুলে বিকেল থেকেই পুরস্কার বিতরণী ও সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে৷ সবশেষে ছিল ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি নাটিকা---‘‘ধর্মের জয়’’ একটি ছোট্ট মেয়ে কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করছিল৷ তার মিষ্টি-মধুর হাসি, আধো আধো কথা, মিটিমিটি চাহনি, দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা ইত্যাদি এতখানি নয়নাভিরাম ছিল যে দর্শকরা অভিভূত হয়ে অনন্যচিত্তে তা উপভোগ করছিলেন৷ কারও কারও মনে হয়েছিল---পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ সত্যসত্যই কিছুক্ষণের জন্য মর্তভূমিতে এসে হাজির হয়েছেন৷ বয়স্কলোকেরা ভক্তি গদ গদ চিত্তে মুহুর্মুহু প্রণাম জানাতে শুরু করেছিলেন৷ একসময়

আনন্দমার্গের শুভসূচনা

শ্রাবণী পূর্ণিমা আনন্দমার্গের ইতিহাসে একটি মহত্ত্বপূর্ণ দিন৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থাপনা হয় ১৯৫৫ সালে বিহারের মুঙ্গের জেলার রেলওয়ে শহর জামালপুরে৷ সংঘ প্রবর্তক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তার প্রস্তুতি শুরু করেন ১৯৩৯ সালের এই শুভদিনে৷ তিনি তখন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র৷ কলকাতার গঙ্গাতীরে কাশীমিত্র ঘাটে সন্ধ্যায় সেই সময়ের কুখ্যাত কালি ডাকাত তথা কালিচরণ বন্দোপাধ্যায়কে আধ্যাত্মিক দীক্ষার মাধ্যমে তাঁর (কালিচরণ) জীবনের আমূল পরিবর্তন করেন৷ পরবর্তীকালে যিনি কালিকানন্দ অবধূত নামে পরিচিত হন৷ ছাত্র শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ধরাপৃষ্টে প্রথম আধ্যাত্মিক দীক্ষার বীজ বপনের মাধ্যমে আধ্যাত্ম

আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৫ই ও ৬ই আগষ্ট,২৩ আনন্দনগর সংলগ্ণ ডামরুঘুটু গ্রামে স্থানীয় ইয়ূনিটের উদ্যোগে ২৪ঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, নারায়ণ সেবার পর কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত,আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত,আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ ব্রতীশা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ সূমিতা আচার্যা প্রমুখ৷ পরিশেষে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দশরথ টুডু সাঁওতালী ভাষায় ব্যাখ্যা করেন কীর্ত্তন মহিমা৷ সাঁওতাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ডামরুঘুটু গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই আনন্দমার্গের আদর্শ ও জীবনধারা অনুসরন করে চলেন৷

লামডিঙে মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

গত ২১শে আগষ্ট,২০২৩ লামডিঙের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বাপ্পাদিত্য ধর ও খুসবু ধরের নবজাতক পুত্রের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠান হয়৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মহিমার উপর বক্তব্য রাখেন বাবুল ধর৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সিদ্ধিনাথানন্দ অবধূত৷ তিনি শিশুর  নাম রাখেন বৈদিক ধর৷ আচার্য জগদীশানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান রত্না দে সহ ৫০ জন মার্গী ভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া ধরপরিবারের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীও  প্রায় ৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন৷ লামডিঙ থেকে সংবাদ পাঠান বিনয় কুমার দেব৷

ভলেন্টিয়ার সোশ্যাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৫ই আগষ্ট ঋষি অরবিন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হাওড়া জেলার রাণীহাটি আনন্দমার্গ স্কুলে একটি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় ভিএসএসের পরিচালনায়৷ শিবিরে ৩১জন স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিয়েছিলেন৷ এই উপলক্ষ্যে নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

পূর্বমেদিনীপুরে মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৮ই আগষ্ট পূর্বমেদিনীপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গ শ্রী অশ্বিনী ভুইঞা পরলোক গমন করেন৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বৎসর৷ তিনি পূর্বমেদিনীপুর ভি.এস.এস ভুক্তিপ্রধান লক্ষ্মন বেরার শ্বশুর হন৷ ২০শে আগষ্ট রবিবার  তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় প্রথায় সম্পন্ন হয়৷ উপস্থিত ছিলেন, কন্যা-জামাতা আত্মীয় স্বজন ও মার্গীভাই-বোনেরা৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য প্রাণাধীশানন্দ অবধূত৷

হাওড়ায় মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত২৭শে আগষ্ট হাওড়া জেলার  উদংগ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত মুরারী কাঁড়ার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিতে সম্পন্ন হয় স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও শ্রী কাঁড়ায়ের আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে৷ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন মহাব্রত দেব ও ভদ্রেশ্বর অধিকারী৷ শ্রী কাঁড়ারের স্মৃতিচারণা করেন পুত্র-কন্যা ও জেলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী লক্ষ্মীকান্ত হাজরা, ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণ

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ১৯৮৩ সালের শুরুতেই মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দনগরে তাঁর বাসভবন ‘মধুকর্ণিকা’ দিয়ে প্রথমে বৃক্ষরোপণ প্রকল্প শুরু করেন৷ পরে আনন্দনগরে অবস্থিত প্রত্যেকটি প্রোজেক্ট দিতে শুরু করেন৷ ১৯৮৬ সালের সেপ্ঢেম্বর থেকে আনন্দনগরে কিছু কিছু বিভিন্ন প্রোজেক্ট দিতে শুরু করেন৷ ১৯৮৮ সালের জানুয়ারী থেকে বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে আনন্দনগরে ক্রমাগতভাবে ১৯৯০ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আনন্দনগরে নিজে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্পের মাষ্টার প্ল্যান দিয়েছেন৷ তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃক্ষরোপণ অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ সংবর্দ্ধন কানন, অভয়ারণ্য (সেঞ্চুয়ারী), দেশী-বিদেশী, ফল-ফুলের বাগান, দেশী-ব

হাওড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৭শে আগষ্ট,২৩ হাওড়া মৌড়ীগ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্যামাপদ মণ্ডল ও বিজলী মণ্ডলের কন্যা তাপসী সাহা ও বরুণ সাহার কন্যা ঐশী সাহার একবৎসর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে বাসগৃহে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর শিশুকে আশীর্বাদ করেন ও মুখে অন্ন তুলে দেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত ও শিশুর পিতা-মাতা, উপস্থিত সকলেই শিশুকে আশীর্বাদ করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ কীর্ত্তন, সঙ্গীত পরিবেশন ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা আচার্যা,ব্রহ্মচারিনী গুণাতীতা আচার্যা, প্রশান্ত শীল, মহাব্রত দেব, গুণাতীতা দত্ত, অমিয় পাত্

হাওড়ায় সেমিনার

গত ৬ই আগষ্ট জগৎবল্লভপুর ব্লক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় হাঁটাল গ্রামে৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন মহাব্রত দেব, অবধূতিকা আনন্দকিশলয়া আচার্যা ও ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

গত১৪ই আগষ্ট উলুবেড়িয়া আনন্দমার্গ স্কুলে উলুবেড়িয়া ডিট স্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন মহাব্রত দেব৷ প্রাউট তত্ত্বের উপর মনজ্ঞ আলোচনা করেন শ্রী বকুল রায়৷