April 2024

দশ বছরে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজকে ছাপিয়ে গেল বণিকের হাতে রাজদণ্ড---শাসক যন্ত্রবৎ

 ২০১৪ সালে নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই নরেন্দ্র মোদি উৎফুল্ল হয়ে বলেছিলেন---‘আচ্ছে দিন আনে বালে হ্যায়’ কিন্তু কার ‘আচ্ছে দিন’ জনগণ সেদিন বুঝতে ভুল করেছিল৷ গত দশবছরে দেশে আর্থিক বৈষম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের মত হলো ভারতে আর্থিক বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ জমানার থেকেও বেশী৷ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব-প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর একটি প্রতিষ্ঠান দাবী করে ভারতে ধন বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশরাজকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে৷

আর্থিক বৈষম্য দূর করতে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে জোর দিতে হবে

প্রবণী প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে---ভারতে ধনী দরিদ্রের আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজের থেকেও বেশী৷ গত দশবছরের এই বৈষম্য বৃদ্ধি পূর্বের সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ শ্রী খাঁ বলেন মোদী সরকার ধনকুবেরদের প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষের ব্যথাবেদনা বোঝার কথা তার নয়৷ স্বাধীনতার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ দিল্লীর শাসকদের কাছ থেকে বঞ্চনার শিকার৷ মোদী রাজ কায়েম হওয়ার পর সেই বঞ্চনাতো বেড়েইছে পাশাপাশি মোদী সরকার রাজ্যের উন্নয়নের সব পথ বন্ধ করে বাঙলাকে নির্দয়ভাবে শোষণ করছে৷ এক শতাংশ মানুষের হাতে দেশের সম্পদের সিংহভাগ চলে গেছে৷ গত

আন্দামানে ধর্ম মহাসম্মেলন

গত ৩০ ও ৩১শে মার্চ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আন্দামানে পোর্টব্লেয়ার জংলিঘাটে এক ধর্ম মহাসম্মেলনের আয়োজন করেন৷ এই সম্মেলনে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছাড়াও পূর্ব ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বহু মার্গী তাই কোন ধর্মমহা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন৷ দুই দিনের এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ৪৮ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সংঘের সভাপতি ও পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার প্রত্যহ দুইবেলা আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর আলোচনার বিষয় ছিল মানব প্রজাতির প্রগতি ও মানব জীবনের পরম লক্ষ্য৷

মেঘালয়ে বাঙালী হত্যায় জড়িত খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়নকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাল ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী

মেঘালয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন৷ গত ২৭শে মার্চ ইছামতী অঞ্চলে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন সিএএ বিরোধী এক মিছিল বার করে, তারপরেই সেখানে তিনজন খুন হয়৷ আমরা বাঙালী সংঘটন এই হত্যাকাণ্ড ও মেঘালয়ে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বলা হয় মেঘালয়ের উন্নয়ন ও বিকাশে বাঙালী জনগোষ্ঠীর অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালীন অসমের ও বর্তমান মেঘালয়ের শিলং, জোয়াই, লাড্রিমবাই সব বিভিন্ন অঞ্চলের বাঙালীরাই ছিলেন আদি বাসিন্দা৷ কিন্তু ওইসব অঞ্চলেও খাসি ছাত্র সংস্থার নেতৃত্বে বাঙালীদের ওপর মর্মান্তিক অত

জীবনের মূল মন্ত্র

জীবনের গতি সর্বদা পরম লক্ষ্যের দিকে কিন্তু জড় প্রকৃতি তাকে সবসময় নিজের দিকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকে৷ নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের শক্তি যখন আর কিছুই করতে পারে না, সেই সময়ের যে অবস্থা তাকে বলে মৃত্যু৷ এমনিতে শরীর থেকে প্রাণশক্তি যখন বেরিয়ে যায়, সেই সময়ের যে পরিস্থিতি তাকে মৃত্যু বলা হয়---এটা স্বাভাবিক তথা গৌণ মৃত্যু৷ কিন্তু মানুষের আবার অকাল মৃত্যুও হয়৷ আসলে প্রকৃতির এই আসুরী শক্তির সঙ্গে সংগ্রাম করে নিজেকে চরম লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রয়াস তাকেই জীবন বলে৷ তমোগুণী বৃত্তিগুলো সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত থেকে মানুসের চরম লক্ষ্যপ্রাপ্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ যে এই আসুরী বৃত্ত

সমসমাজ তত্ত্ব

চলা জগতের ধর্ম৷ চলে চলেছে ৰলেই এই পৃথিবীর নাম ‘জগৎ’৷ ‘গম্‌’ ধাতুর উত্তর ‘ক্কিপ্‌’ প্রত্যয় করে ‘জগৎ’ শব্দ নিষ্পন্ন যার মানে হ’ল---চলা যার স্বভাব৷ ব্যষ্টিগত জীবনে যেমন চলতে হয় সমষ্টিগত তথা সামূহিক জীবনেও তেমনি চলতে হয়৷ কিন্তু এই যে চলা, এই চলার জন্যে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন আছে৷ একটা হচ্ছে চলার জন্যে একটা সম্প্রেষণ, পেছন থেকে একটা ধাক্কা৷ যখন চলাটা বন্ধ হয় তখন ধাক্কা দিয়ে ৰলতে হয়---চল চলতে হবৰে৷ দ্বিতীয়তঃ নিজে যে চলবে তার চলবৰার সামর্থ্য থাকা চাই অর্থাৎ চলার উপযুক্ত রসদ তার থাকা চাই৷ নইলে সে চলবে কী করে? আর তৃতীয় হচ্ছেঃ চলবে একটা লক্ষ্যের দিকে৷ এই তিনটে জিনিস চাই৷

গণতন্ত্রের ছিদ্রপথে ধনিকতন্ত্রের প্রবেশ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৭৫ বছর পার করেও ভারতীয় গণতন্ত্র সাবালোক হয়ে উঠলো না৷ গণতন্ত্রের প্রচলিত সংজ্ঞা অনুযায়ী শাসককে নির্বাচিত হতে হয় জনগণের দ্বারা৷ গণতন্ত্রের অর্থই জনগণের জন্যে, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৭ বছর পূর্ণ করার প্রাক মূহুর্ত্তে আর্থিক বৈষম্যের যে চিত্র সামনে এসেছে তাতে স্পষ্ট শাসক নির্বাচনে জনগণের কিছুটা গৌণ ভূমিকা থাকলেও জনগণের জন্যেও নয়, জনগণের শাসনও নয়৷

কঠিন পরিস্থিতিতে মহান বোটারদের খুবই সচেতন হয়ে মতদান করতে হবে

প্রভাত খাঁ

সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের দুরাবস্থা দেখে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি একটি কথা তা হলো এখানে কেন্দ্র সরকার যেমনটা হওয়া উচিত সেটা কিন্তু নয়৷ দেখা যাচ্ছে তার উল্টোটাই৷ যে দলগুলো অদ্যাবধি কেন্দ্রে এসেছে সব কটির ব্যবহার ও আচরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একেবারেই চরম নোংরা দলতান্ত্রিক আচরণ!

অনাহত চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থি উপগ্রন্থির উপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

মানবদেহের সবকটি চক্রে ও উহার সহিত সংশ্লিষ্ট গ্রন্থি সমূহের সঙ্গে মাইক্রোবাইটা দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক স্তরে কাজ করে৷ এই সম্পর্কে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বহু তত্ত্ব দিয়েছেন, বলাবাহুল্য ‘মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব’ সমূহের উদ্ভব বিশ্বে এই প্রথম৷

মহাপ্রাজ্ঞ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর ‘মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বে’ বলেছেন---