May 2024

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে– any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জ

আমি প্রকৃতির সন্তান

কৌশিক খাটুয়া

মাথার উপর মুক্ত আকাশ

 উদারতার প্রতীক,

সকল সৃষ্টি নিকট আত্মীয়

 প্রিয়জন প্রাণাধিক৷

সূর্য কিরণে উজ্জীবিত হই

 রত থাকি কাজ-কর্মে,

স্নিগ্দ সুষমা মাধুরী ছড়ায়

 তারও কথা জাগে মর্মে৷

বিনিদ্র তারা অলক্ষে দেয়

 সঠিক পথের নির্দেশ,

ভূমিষ্ঠ হয়েছি ধরার ধূলায়

 তাই ভূবন আমার দেশ৷

ঋতুগুলি আসে মোরে ভালবেসে

 ভিন্ন তাদের মাহাত্ম,

বৈচিত্র্যময় ষড়ঋতু গুলি

 পুলকিত করে চিত্ত!

সাগর আমায় হাতছানি দেয়

 চির উচ্ছ্বল তরঙ্গে,

উদ্দীপনায় ঊর্মিমালায়

 নৃত্যের নানা বিভঙ্গে৷

পবিত্রতা অর্জন

কেয়া সরকার

মন থেকে মুছে ফেল যত অবিশ্বাস

তোমাকে যেন বিশ্বাস করি৷

মন থেকে মুছে ফেল যত সংশয়

তোমাকেই যেন বিশ্বাস করি৷৷

মনের কোণে জমে থাকা আবিলতা

সব কিছু মুছে দিয়ে শুদ্ধ করে দাও,

তোমার প্রতি ঐকান্তিক প্রেম

একবার শুধু হৃদয়েতে ধরে দাও৷

আর কিছু চাই না শুধু

তোমাকেই যেন অর্জন করি৷

নামের উৎপত্তি হালিশহর

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

অনেকের ধারণা, হালিশহরের আগের নাম ছিল হাবেলি শহর৷ ‘হাবেলিশহর’ নাম মুসলমান যুগের৷ ‘হাবেলিশহর’ নামের অপভ্রংশ হালিশহর৷ উর্দূভাষায় হাবেলী অর্থে দালান, অট্টালিকা বা প্রাসাদ বোঝায়৷ অট্টালিকা বহুল নগরী ছিল বলে ‘হালিশহর’ নাম৷

 পঃ (১)‘পা’,‘পচি’,‘পচ্‌’, ‘পক্ষ্‌’ প্রভৃতি ধাতুর উত্তর ‘ড’ করে ‘প’ শব্দ পাই৷ এই ‘প’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত তথা ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ ‘পচি’ ধাতুর অর্থ ছড়িয়ে পড়া, কোন কিছুকে চরম স্তরে পৌছে দেওয়া, রান্না করা প্রভৃতি ণিজন্তেও ঘঞন্তে ‘হজম করা’৷ যা ছড়িয়ে যায় এই অর্থে ‘পচি+ ড করে আমরা যে ‘প’ শব্দ পাচ্ছি তার ভাবারূঢ়ার্থ হচ্ছে ‘যা ছড়িয়ে পড়ে’৷ এটি যোগারুঢ়ার্থ হচ্ছে ‘বায়ু’ বা ‘ঝঞ্ঝা’৷

পো+ অন্‌ = পবন শব্দের অর্থ বায়ু৷ কিন্তু ণিজন্তে পে+ অন্‌= পাবন শব্দের অর্থ যা পবিত্র করে ও যা হজম করায়৷ যে জিনিস হজম করায় তাকে সাধু ৰাংলায় ‘পাচক’ বলে৷ উত্তর ভারতে হজমী গুলিকে তাই ‘পাচক’ ৰলা হয়৷

‘কাঁচা বেঁশো হ্যাংলামি

‘ক্রুড্’ ধাতুর একটি অর্থ ‘হ্যাংলামি করা’ বা ‘ন্যালা খ্যাপামি করা’ –কাঁচা বাঁশের মত হ্যাংলামি বা ন্যালা খ্যাপামি যা শুণলেই বোঝা যায়, দেখলেই ধরা যায় অথবা এমনও কেউ কেউ থাকে যারা ধরা পড়বার জন্যেই এই রকম হ্যাংলামি বা ন্যালাখ্যাপামি করে থাকে৷ যেমন নেম্তন্ন বাড়ীতে তোমার আরও কয়েকটা রসগোল্লা খাবার ইচ্ছে হল৷ তুমি পাশের ভদ্রলোকটির পাত দেখিয়ে বললে......ও দাদা, এদিকে, এদিকে, এঁর পাতে কয়েকটা রসগোল্লা দিন৷

প্যারিস অলিম্পিকে পদক জেতার লক্ষ্যে নামবে ভারতের আরও দুটি দল

আড়াই মাস পরেই শুরু প্যারিস অলিম্পিক্স৷ সেখানে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারতের আরও দু’টি দল৷ অ্যাথলেটিক্সে ভারতের পুরুষ ও মহিলাদের একটি করে দল অলিম্পিক্সে নামবে৷ ৪৪০০ মিটার রিলে রেসের পুরুষ ও মহিলাদের দল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে৷ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স রিলে-তে দ্বিতীয় রাউন্ডের হিটে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে দু’টি দলই৷ তার ফলে অলিম্পিক্সে সুযোগ পেয়েছে তারা৷ প্রথমে যোগ্যতা অর্জন করেছে মহিলাদের দল৷ রুপল চৌধরি, এমআর পুভাম্মা, জ্যোতিকা শ্রী ডান্ডি ও শুভা বেঙ্কটেশনের দল ৩ মিনিট ২৯.৩৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে৷ জামাইকার (৩ মিনিট ২৮.৫৪ সেকেন্ড) পরে শেষ করে তারা৷ পরে মুহম্মদ আনাস ইয়াহিয়া, মুহম্মদ আজমল, আর

৮৬টা ওয়াইড নিয়ে উঠছে প্রশ্ণ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বোলারদের নিয়ে

ম্যাচটি ছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে৷ প্রথমে ব্যাট করে বর্ধমান তোলে ছয় উইকেটে ২৩৯ রান৷ জবাবে অতিরিক্ত ১০১ রান দেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বোলাররা৷

অমর ১৯শে মে

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ২১শে ফেব্রুয়ারী এক গৌরবোজ্জ্বল বেদনাদায়ক ইতিহাস৷ মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগ রক্তদান ব্যর্থ হয়নি৷ মুখের ভাষা-মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে জন্ম নিল স্বাধীন বাংলাদেশ৷ শুধু ভাষার দাবীতে রাষ্ট্রঘটনই নয়, দ্বিজাতিতত্ত্বের দোহাই দিয়ে যে উর্দু ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা দেশ ভাগ করেছিল তাদের মুখে ঝামা ঘষে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীরা বুঝিয়ে দিয়েছিল তথাকথিত ধর্মমতের গোঁড়ামি অপেক্ষা বাঙালীর কাছে তার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির মর্যাদা অনেক বেশী৷ সেই মর্যাদা রক্ষা করতেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রসংঘের

প্রাউট প্রবক্তার আবির্ভাব তিথিতে প্রাউটিষ্টদের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার ডাক

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---দলতান্ত্রিক রাজনীতি ও ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি মানব সভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলছে৷ শ্রী খাঁ বলেন--- কমিউনিজম তথা জড়বাদ ও ব্যষ্টিকেন্দ্রিক পুঁজিবাদ কখনও মানুষের সর্বাত্মক বিকাশের সহায়ক হতে পারে না৷

এই দুয়ের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষের সমাজ ও সভ্যতা আজ বিপন্ন৷ পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ ও জড়বাদী হিংস্র রাজনীতি মানব সভ্যতা ও সমাজের এই বিপন্নতার জন্যে দায়ী৷