August 2024

স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত বাঙালী প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে বঞ্চিত

নির্বাচনে বার বার ব্যর্থ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য উন্মাদের মত বাঙলা ভাগের জন চিৎকার করছে৷ ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের মূলতঃ কোন কেন্দ্রীয় সরকারই ভাবেনি যে খণ্ডিত ভারতের উন্নয়ন ঘটানোটা অতি প্রয়োজন৷ যতগুলি একদলীয় শাসক হয়েছে সবকটি শাসক চেয়েছে লুটেপুটে খেতে ও সারাটা জীবন নিজ নিজ দলের শাসনকে জিয়িয়ে রেখে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে৷ তবে কিছু কিছু মিলিজুলি সরকার হয়েছে কেন্দ্রে তখন কিন্তু কিছুটা কেন্দ্র সরকার সংযত ছিল৷ আর ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এই দেশকে টুকরো করে শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল৷ তারা দেশছাড়ার আগে কিছু দেশীয় নেতা ও ধনকুবেরদের সাহায্য নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার

রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ধোঁকাবাজি নয় প্রাউটিষ্টদের দাবী---অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা

আনন্দমার্গের দর্শন ভিত্তি ষান্মাসিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লী সেক্টরের প্রতিটি ডায়োসিসে৷ এই আলোচনায় আধ্যাত্মিক দর্শনের সঙ্গে সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রসঙ্গও আছে৷

বিজেপির বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো ‘আমরা বাঙালী’

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় উত্তরপূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভাপতি বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পশ্চিমবাংলার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবের মধ্যে বাংলা বিভাজনের ষড়যন্ত্র দেখতে পারছে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷ ‘আমরা বাঙালী’র বক্তব্য বিজেপি মানেই বাংলা-বাঙালী বিদ্বেষী৷ শুধু সুকান্ত মজুমদার নন, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলাগুলি সহ বিহারের কিছু জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব বাংলা ভাগেরই চক্রান্ত বলে কটাক্ষ করে নেতৃবৃন্দ৷ ৩০শে জুলাই ২০২৪,মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

পত্রিকা প্রিতিনিধি

সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে বাঙলা একদিন উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছিল সেই বাঙলাতে আজ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে৷ বাঙলার যুব সমাজের সামনে খোলা আছে দারিদ্র, বেকারী, অনাহার ও সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতা৷ একদিকে রক্তপিশাচ পুঁজিপতির দল রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করে দিন দিন স্ফীতকায় হয়ে উঠছে দুর্নীতি, কালোবাজারী ও মজুতদারিতে ছেয়ে গেছে জীবনের সর্বস্তর–অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতারা নোংরা দলীয় রাজনীতির পঙ্কিল আবর্ত্তে পতিত স্বার্থলোলুপতা, আদর্শভ্রষ্টতা ও ব্যভিচারে আজ বাঙলার নেতৃত্ব শক্তি কলুষিত ও বিপথগামী৷

পরমপুরুষই জগতের একমাত্র বন্ধু

পরমপুরুষের একটি নাম হচ্ছে ‘জগদ্বন্ধু’৷ কেন তাঁকে জগদ্বন্ধু বলা হয়? সংস্কৃত ভাষায় ‘জগৎ’ শব্দ ‘গম’ ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হয়েছে৷ ‘গম্‌’ মানে যাওয়া৷ ‘জগৎ’ মানে চলা বা যাওয়া যার স্বভাব৷ এখানে চলা বা যাওয়াটাই শব্দটার মুখ্য ভাব৷ এই বিশ্বের সব কিছুই চলছে৷ কোনো কিছুই স্থির নয়৷ এমনকি ধ্রুবতারা পর্যন্ত স্থির নয়৷ সব কিছুই ঘুরছে৷ কাজেই বিশ্বকে বলা হয় জগৎ৷ পরমপুরুষ হচ্ছেন জগতের বন্ধু৷

বাঙলার ভূুগোল-বিচিত্রা

ড্যাম, ড্যাইক, ব্যারাজ

সেচের খাল নৌ-চালনার জন্য নয়, তাতে জলও সব সময় থাকে না৷ প্রয়োজন বোধে স্লুইস্‌ গেট দিয়ে তাতে জল ছাড়া হয়৷ সেচের ছোট খালগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কানা খাল অর্থাৎ কিছুটা গিয়েই তাদের চলার পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়৷ এই সেচের খালকে ‘কুল্যা’ বলা হয়৷ নৌবহ খাল ও সেচের খালকে পৃথক ভাবে ৰোঝাবার জন্য নৌ-কুল্যা ও সেচ- কুল্যা ৰলা যেতে পারে৷

বিভাজন নয়--- সংযোজন চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২০০ পার, ৪০০ পারের উচ্চাশা হতাশায় পরিণত হওয়ার পর রাজ্য বিজেপির নেতাদের মস্তিষ্ক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, পরাজয়ের জ্বালায় কল বিগড়াইয়া গেছে৷ অহরহ প্রলাপ বকে চলেছে৷ কেউ উত্তরবঙ্গ, কেউ জঙ্গল মহল পৃথক করিতে চাহে তো কেউ মালদা মুর্শিদাবাদ নিয়ে, কেউ দার্জিলিং নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল---বুদ্ধিভ্রষ্ট নেতারা যে যার নিজের মত করে দাদাগিরি দেখানোর সীমানা নির্দ্ধারণ করতে চাইছে৷ বাঙলা ভাগের মহড়া চলছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে৷ কে জানে বিভাজনের এই লেখা রাজ্য বিজেপির বিকারগ্রস্ত নেতারা কতদূর নিয়ে যেতে চাইছেন! বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘‘সারমেয় শের স্ব-সীমানায়!

আনন্দমার্গ এক ব্যতিক্রম

সুভাষ প্রকাশ পাল

পাঁশকুড়া ব্রাডলিবার্ট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীবনমালি সামন্ত শুধু ছাত্রদরদী শিক্ষক ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন পরহিতৈষী সমাজসেবক৷ পাঁশকুড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের স্কুল, কলেজ, ক্লাব বা যে কোন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সদাহাস্যময়, মিতভাষী ও অকৃতদার বনমালিবাবুর ডাক পড়বেই৷ তাঁকে অতিথি হিসাবে পেলে সবাই খুশী হতেন৷ আনন্দমার্গের যে কোন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে আনন্দমার্গ স্কুলগুলির বার্ষিক অনুষ্ঠানে জরুরী কোনরকম কারণ না থাকলে তাঁকে অবশ্যই পাওয়ার সুযোগ হত৷ স্কুলে এলেই আনন্দমার্গ প্রকাশিত বইগুলি সংগ্রহ করতেন, নুতন কোন বই প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি পাওয়ার জন্য অর্ডার দিতেন, যখনই সম

আমার বাঙলা

একর্ষি

প্রথম-পর্ব

প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত বাংলা ও বাঙালী গ্রন্থে লিখেছেন---‘‘আমরা পৃথিবীর--পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে, সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে জনগোষ্ঠী আছে৷’’ পৃথিবীর সেই কোণটা আমার বাঙলা---বাঙালীস্তান৷ বাঙালীস্তানের কথা শোনাবো সবাইকে ডেকে ডেকে৷

কশ্মীরে ‘তাপপ্রবাহ’ ৪০ ডিগ্রি!

কাশ্মীরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ অন্যতম উষ্ণ জুলাই মাসের সাক্ষী থাকছে উপত্যকা অঞ্চল৷ পরিস্থিতি এমনই যে, সেখানে ছোটদের স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত দু’দিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কাশ্মীর প্রশাসন রবিবার যে নির্দেশিকা জারি করছে, তাতে বলা হয়েছে, তীব্র গরমের কারণে ২৯ এবং ৩০ জুলাই কাশ্মীরে ছোটদের সমস্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুরা স্কুলে যাবে না এই দু’দিন৷ তবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীদের ছুটি থাকছে না৷ সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, উভয় ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার‌্যকর হবে৷