September 2024

সাংস্কৃতিক অবক্ষয় রোধ করে প্রভাত সঙ্গীত নবযুগের সূচনা করবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী মানব মনের সামূহিক অভিব্যক্তির মধ্যে যে পরিশীলিত ভাব তা–ই হ’ল তার সংস্কৃতি৷ মনুষ্যেতর জীবের চিন্তাধারা তার দেহগত সুখকে অতিক্রম করতে পারে না৷ খাওয়া, ঘুমানো ও সংখ্যাবৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোন ভাবনা তাদের মধ্যে নেই৷ মানুষের মনের অধিকতর সূক্ষ্ম ও মাধুর্যপূর্ণ অভিব্যক্তিই তাকে মনুষ্যত্বের শিরোপা পরিয়েছে৷ এটাই মানবীয় সংস্কৃতি৷ যদিও অভিব্যক্তির ধরণ ধারণ দেশ–কাল–পাত্রে কিছুটা ভিন্নতা প্রাপ্ত হয়, তাহলেও ভেতরের মূল ভাবটুকু এক৷ সাধারণভাবে একেই বলব মনুষত্ব বা মানবিকতা৷ তাই প্রাউট–প্রবক্তা বলেছেন, মানু

সামন্ততন্ত্র ও জমিদারী প্রথা

তোমরা যারা জমির খাজনা সংক্রান্ত বিধিব্যবস্থা নিয়ে পড়াশোণা করেছ তারা জান যে ভারতে পাঠান, মোগল, প্রাক্–ৰৌদ্ধ ও ৰৌদ্ধযুগে রাজাকে খাজনা দেওয়া হত সোণার বিনিময়ে৷ দশ–বিশটা গ্রামকে একত্র করে’ এক একটা  revenue village বা মৌজা তৈরী হত আর গ্রামবাসীদের মধ্যে একজনকে ক্ষমতা দেওয়া হত খাজনা সংগ্রহের৷ এই খাজনা বা কর আদায়কারীদের সরকার কোন পয়সাকড়ি দিত না, জমি দিত যা চাষ করে’ তারা জীবিকা নির্বাহ করত৷ তারা কৃষিক্ষেত্রে রাজা ও জনসাধারণের মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী (intermediaries) রূপে কাজ করত, আর ধীরে ধীরে এরাই শক্তিশালী জমিদারে পরিণত হ’ল৷ প্রাচীনকাল থেকেই এই মধ্যস্বত্বভোগীদের অস্তিত্ব ছিল৷ এদের বলা হত জমিদার, পত্তনি

অপরাধ প্রবণতা---চরমদণ্ড সমাধান নয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

শুধু আর.জি.কর নয়, সারা দেশেই নারী নির্যাতন ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে চলেছে৷ আর.জি.কর নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে, এই আন্দোলন যে অপরাধীর মনে কোন রেখাপাত করেনি, বা তাকে সৎপথে ফিরে আসার কোন কোন প্রেরণা দেয়নি তার প্রমাণ সারা দেশে আর.জি.কর নিয়ে আন্দোলন চলাকালীন পাল্লা দিয়ে ধর্ষন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ আর.জি.কর আন্দোলন যারা করছে তাদের অনেকেরই তিলত্তমাকে নিয়ে তিলমাত্র ভাবনা চিন্তা নেই৷ তারা অনেকে অনেক জ্বালা বুকে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে ধর্ষনজনিত অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্তি দিতে নয়, তাদের লক্ষ্য রাজ্য শাসক দলের বিনাশ, তাতে যদি আর.জি.করের মত ঘটনা আরও দু-চারটে ঘটে ঘটুক৷ তাতে শূন্যের জ্বালা কিছুটা প্রশমিত হব

সৎনীতিবাদী মানুষের সমাজ গড়তেই পৃথিবীতে আনন্দমার্গের আগমণ

প্রভাত খাঁ

মনে রাখতে হবে সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সমাজে কিছু আদর্শবান মানুষ যাঁরা সমাজসেবী ও মানবতাবাদী মানুষ গড়ে যখন ওঠেন৷ পৃথিবীতে যে সীমিত সম্পদ আছে তাকে সুষ্ঠুভাবে সকলের মধ্যে বন্টন করে সকলের মুখে আনন্দের হাসি ফোটাতে পারে৷ তাই প্রতিটি সমাজে তেমন লোকের প্রয়োজন৷

বিস্মৃত বিপ্লবী সন্তোষ মিত্র

স্নেহময় দত্ত

বাঙলা মায়ের যে সব বীর সন্তান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে অমর হয়েছেন তাঁদেরই একজন বিপ্লবী সন্তোষ কুমার মিত্র তথা সন্তোষ মিত্র, হিজলী বন্দীশালায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের গুলিতে নিহত হয়ে যিনি শহীদ হয়েছেন৷

জন্ম ১৯০০ সালের ১৫ আগষ্ট মধ্য কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে৷ ছাত্র হিসাবে ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী৷ ১৯১৫ সালে হিন্দু স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন৷ ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে৷ তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র৷ কলেজে তাঁর সহপাঠী ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু৷ ১৯২১-২২সালে এম.এ.ও এল.এল.বি পাস করেন৷

‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কলকাতা জেলা সম্মেলন

১লা সেপ্ঢেম্বর’ ২০২৪,রবিবার শ্যামবাজার সমাজ ভবনে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শতাধিক সদস্য-সদস্যার উপস্থিতিতে৷ এই সম্মেলনের শুরুতেই প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন সম্মেলনের সভাপতি বিশিষ্ট প্রাউটিস্ট ভবতোষ বণিক প্রধান অতিথি জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিশেষ অতিথি তপোময় বিশ্বাস,প্রা ক্তন কলকাতা জেলা সচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব অনিতা চন্দ, সুশীল জানা, সুদীপ দাশগুপ্ত, শ্রাবণী বসাক সহ জেলার নেতৃত্ব৷ সম্ম

‘উৎকল ভবনে’ ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ প্রদর্শন

উড়িষ্যায় লাগাতার বাঙালী নির্যাতন বন্ধের দাবীতে গত ২৯শে আগস্ট ২০২৪ কলকাতার ‘উৎকল ভবনে’ স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷

খরার প্রকোপে আফ্রিকা

দেশ জুড়ে বৃষ্টির আকাল৷ ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছেন দেশের জনগণ৷ ভাঁড়ারেও টান পড়েছে৷ এই আবহে দেশের ৭০০-রও বেশি বড় পশু হত্যার সিদ্ধান্ত নিল আফ্রিকার একটি দেশ৷ কথা হচ্ছে নামিবিয়ার৷ চলতি বছরে খরার সঙ্গে জুঝছে দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশ৷ বৃষ্টির অভাবে দেশ জুড়ে চাষবাসের হাল খারাপ৷ আর সেই কারণে দেশের শস্যের ভান্ডারও শেষের পথে৷ এই পরিস্থিতিতে নামিবিয়ার জনগণের একটা বড় অংশই দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারছেন না৷ গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জও জানিয়েছে যে, নামিবিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক খাদ্য সঙ্কটের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ পুরো বিষয়টি মাথায় রেখেই এ বার দেশের জীবজন্তুদের মেরে দেশবাসীর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্