December 2024

ঔপনিবেশিক ঃ উপ-নি-বিশ্‌+ঘঞ্‌= উপনিবেশ৷ ‘উপনিবেশ’ মানে হচ্ছে যা মূল বাসস্থান নয় অথবা যা স্থায়ী বাসস্থান নয় কিন্তু নূতন ঘরদোর করে নেওয়া হয়েছে ও জীবিকার ব্যবস্থা করে নেওয়া হয়েছে৷ নূতন গ্রাম শহরের পত্তন হয়েছে৷ কতকটা এই ‘উপনিবেশ’ অর্থে প্রাচীনকালে ‘পত্তনম্‌’ শব্দের ব্যবহার হত৷ ‘পত্তনম্‌’ থেকেই ‘পটনা’ শব্দ এসেছিল৷ ‘পত্তনম্‌’ ইংরেজীতে establishment) অর্থেও চলে৷ ‘উপনিবেশ’ শব্দের উত্তর ‘ঠক্‌’ (ষ্ণিক্‌) প্রত্যয় করে ‘ঔপনিবেশিক’ শব্দ পাচ্ছি যার মানে উপনিবেশ সংক্রান্ত (something concerning colonisation)৷

নারীর প্রতি অবিচার ঃ ভাষা ব্যবহারে

এই দশ লাখ বৎসরের মানুষের ইতিহাসে মানুষের প্রতি সুবিচার করা হয়নি৷ মানুষের একটি শ্রেণী, একটি বর্গের প্রতি বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, বেশী আদিখ্যেতা করা হয়েছে, ও তা, করতে গিয়ে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে৷ একজন মানুষ লড়াই করল, মরল, আত্মদান দিল, কাগজে বড় করে তা ছেপে দেওয়া হ’ল, আর সে মরে যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে নিয়ে তার বিধবা স্ত্রীকে কী ধরণের অসুবিধায় পড়তে হ’ল সেকথা খবরের কাগজে বড় করে ছাপানো হ’ল না অর্থাৎ একতরফা বিচার করে আসা হয়েছে৷ যদিও ব্যাকরণগত ব্যাপার, আর হঠাৎ বদলানো যায় না, তবু ‘ম্যান’ ‘প্প্ত্রু’ এই কমন জেণ্ডারের মধ্যে ‘ম্যান’, আর ‘ওম্যান

স্নিগ্ধতা আনা ও ৰুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ৰিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্কতা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷

ধর্মের পথ

মানুষের সামনে দুটি পথ–একটি শ্রেয়ের পথ, অন্যটি প্রেয়ের পথ৷ প্রেয়ের পথে মানুষ পায় ক্ষণিক সুখ, আর শেষে দুঃখ৷ আর শ্রেয়ের পথে চললে তাতে সাময়িক দূঃখ–ক্লেশ এলেও শেষপর্যন্ত সেই পথেই মানুষের ৰৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হয়৷ মানুষ যখন প্রেয়ের পথ ধরে তখন সে যুক্তির দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সেন্টিমেন্টের (ভাবপ্রবণতার) বশে চলে আর যখন শ্রেয়ের পথ নেয়,তখনও যুক্তির দ্বারা নয়, কল্যাণৰোধের ভাবনার দ্বারা প্রেষিত হয়ে চলে৷ ভাবে, এই যে পথে আমি চলেছি, কাজ করছি, এটা কল্যাণের পথ– মঙ্গলের পথ৷ এই পথেই জনসেবা–জনকল্যাণ সর্বাধিক হবে৷

ইতিহাস কেমন হওয়া উচিত

কাল ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু ৰলেছিলুম৷ ৰলেছিলুম, কৰে কোন্‌ রাজা এসেছিলো, কৰে কোন্‌ রাজা কোন দেশ আক্রমণ করেছিলো, কৰে কোনরাজা তার প্রজাদের ওপর অত্যাচার করেছিলো, কৰে কোন রাজা মারা গেলো--আজ কালকার ইতিহাসে সাধারণতঃ এই সব কথাই লেখা থাকে৷ সাধারণ মানুষের এসব জেনে লাভটা কী? এইজন্যে এই ধরণের ইতিহাস পড়তে তাদের মোটেই ভালো লাগে না৷ ইতিহাস হৰে সমগ্র মানব জীবনের ইতিহাস৷

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যালট পেপারে স্থান পেল বাংলা ভাষা৷ মোট ৬০টি নির্র্বচন কেন্দ্রের ব্যালটে বাংলা ভাষা থাকবে৷ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এশিয়ার চারটি ভাষা স্থান পেয়েছে৷ বাংলা ছাড়াও থাকছে কোরিয়ান, চিনা ও স্প্যানিশ ভাষা৷

শান্তির বার্তা

মার্কিন মসনদে ফিরে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ চারবছর আগের পরাজয়ের গ্লানি মুছে দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি৷ দুবারই আমেরিকায় প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন ট্রাম্প৷ প্রথমবার ২০১৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন এবারেও তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের মহিলা প্রার্থী কমলা হ্যারিস৷ দ্বিতীয় বার হেরে আবার ফিরে আসার ক্ষেত্রে ট্রাম্প দ্বিতীয়৷ এর আগে গ্লোভার ক্লেভল্যাণ্ড ১৮৮৫ সালে ও ১৮৯৩ সালে দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ মাঝে ১৮৮৯ সালে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন৷ দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্পের ঘোষনা করেন--- যুদ্ধ বন্ধ করে পৃথিবীতে

ধনকুবেরদের ঋন মুকুব---আয় বাড়াতে মধ্যবিত্তের ঘাড়ে করের বোঝা দেশবাসীর মাথায় ঋণের চাপ

প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য দেশকে বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করা৷ আপাতত ভারত ৫লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে এলো বলে প্রধানমন্ত্রীর পারিসদবর্গের প্রচার তুঙ্গে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই ঘোষনা করেছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা এখনই সম্ভব নয়৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে দারিদ্রতায়, ক্ষুধাসূচকে প্রতিবেশী দেশগুলির থেকেও ভারতের অবস্থা খারাপ৷ হাত উপুড় করে ধনকুবেরদের ঋণ মুকুব করে চলেছে সরকার৷ এদিকে দেশবাসীর ঘাড়ে ঋণের বোঝা৷ যা এই আর্থিক বছরের শেষে ১৮০ কোটি লক্ষ টাকা পার হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান অর্থদপ্তরের৷ যা মোদি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা৷

পুঁজিপতি শোষকের চতুর পরিকল্পনায় দুর্নীতির ঘূর্ণিপাকে ভারতের রাজনীতি

চারবছর পর আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ জয় নিশ্চিত হতেই তিনি ঘোষণা করেন---যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনব৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---২০১৪ সালে আমরাও শুণেছিলাম ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ গত দশ বছরে সেই আচ্ছা দিন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি৷ ট্রাম্প বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে৷ শান্তির আশায় এখুনি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই৷

কলকাতার কপালে বরাদ্দ ৪০কোটি টাকা

১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন খাতে বছরের পর বছর রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র নানা অজুহাতে৷ বিরোধীরা যতই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিন্দা করুক কেন্দ্রীয় সরকারেই বিভিন্ন দফতর রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে৷ এবার কলকাতা পুরসভার ‘অম্রুত’ প্রকল্পে সফলতার জন্য পুরসভাকে ৪০ কোটি টাকা উৎসাহ ভাতা দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ মূলত পানীয় জল সরবরাহ ও নিকাশির কাজে সফলতার বিভাগেই ২০ কোটি করে টাকা দেওয়া হয়৷ পুরসভার পক্ষ থেকে জানান হয় বিভিন্ন রাস্তায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে, মাটির নীচের নিকাশি নালার পলি তুলতে ইত্যাদি মোট ১১টি প্রকল্পের কাজ হবে এই টাকায়৷ পুরসভার এক শীর্ষ কর্র্ত জানান---পুরসভার বিভিন্