December 2024

মহাপ্রয়াণ দিবস স্মরণে

যদিও পরমপুরুষ কালের পরিধির বাইরে তবুও তিনি যদি কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ হন, তখন আমরা নোতুন কিছু পাই কি? পরমপুরুষ দেশ বা পাত্রেরও বাইরে কিন্তু এদের সংস্পর্শে তিনি যদি এসে গেলেন তাহলে কী হতে পারে?

প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনাই সমাজের সামনে একমাত্র পথ

প্রবীর সরকার

সব বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে৷ বিশেষ করে ভারতে লোকসংখ্যার চাপ আছে৷ দীর্ঘ ৭৭ বছরে আমরা কর্ম সংস্থান বাড়াতে পারিনি৷ শুধু তাই নয় নানা কারণে বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে৷ তাই যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা তা হ’ল কোন পরিবারে যদি কর্মক্ষম ব্যষ্টির অধিকাংশ বেকার থাকে তাহলে সে পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রয়ক্ষমতা বাড়তে পারে না৷ আর জিনিসের দাম যাই হোক না কেন যদি পরিবারের সবাই কাজ পায় ও রোজগার করে তা হলে অবশ্যই পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে৷ আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেটা না হলে চলে না সেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির যথোপযুক্ত উৎপাদন ও দেশের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত বন্টনের ব্যবস্থা থাকলে তবেই

মহাপ্রয়াণ দিবসের শপথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২১শে অক্টোবর৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর তিনি স্থূল শরীর ত্যাগ করেছিলেন৷ তাই স্থূল দেহগত বিচারে এটা তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবস৷ কিন্তু সূক্ষ্ম বিচারে তথা আধ্যাত্মিক বিচারে তাঁর মহাপ্রয়াণের প্রশ্ণই ওঠে না৷ আধ্যাত্মিক বিচারে তিনি শাশ্বত চৈতন্য সত্তা–পরম আনন্দঘন সত্তা৷ তা তাঁর ভক্ত সাধকেরা সর্বদাই অনুভব করেন–মনকে আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নীত করে’৷ তাঁরা অনুভব করেন, তিনি সবার অন্তর্লোকে সদা আনন্দমূর্ত্তিরূপে বিরাজিত৷

তিলজলা আশ্রমে পরমারাধ্য মার্গগুরুর মহাপ্রয়াণ উদ্‌যাপন দিবস উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা

প্রভাত খাঁ

এই জগৎ সংসার এর সৃষ্টিকর্তা হলেন পরপুরুষ৷ যিনি সৃষ্ট জগতের সকলেরই স্রষ্টা৷ এই কথাটি এই জগতের সকল মননশীল মানুষের সর্বদা স্মরণে রাখা ও তার সৃষ্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করাটাই হ’ল পবিত্র কর্তব্য কর্ম৷ এই প্রপঞ্চময় জগতে অতি সোজা কথাটি অধিকাংশ মানুষ ভুলে গিয়ে আত্ম-অহঙ্কারে এমন সব কাজ করে, যা মারাত্মক ধবংসাত্মক হয়ে ওঠে ও তাতে মহান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটাই অস্বীকৃত হয়৷ তাতে চরম ধংস নেমে আসে এই ধরার বুকে৷ তখনই সেই মহান শক্তির স্রষ্টা মানুষের রূপে নেমে আসেন সৃষ্টিকে রক্ষা করতে মহাসম্ভূতি রূপে এই ধরার বুকে৷

এই শোষন ও সামাজিক অবক্ষয় রুখতে প্রাউটের বাস্তবায়ন প্রয়োজন

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের মূলতঃ সূত্রপাত হয়েছিল সিপাই বিদ্রোহ থেকে৷ এছাড়াও ছোটোখাটো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তার আগে হলেও সাংঘাতিকভাবে জনমানসে তা দানা বাঁধেনি৷ তাই তাকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে ধরা হোতো না, যেমন চুয়ার বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, রানী রাসমণির নদীর মাছ ধরা নিয়ে জল কর বিদ্রোহ ইত্যাদি৷ ১৮৫৭ সালে সিপাই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিলো কলকাতার ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে লাহোর সেনা ছাউনি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সেনা ছাউনিতে৷ ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী সেনাদল ব্রিটিশ সেনাদের উপর একই সময়ে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করে৷ এর ফল স্বরূপ পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর সেনা হতাহত হয়৷ এর মূল প্রেরণা ছিলেন একজন অর্দ

তোমার আসা যাওয়া

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

আমার এই দীন দুয়ারে

          তোমার নিত্য আসা-যাওয়া

তবু কেন অশ্রু-ধারে

          আকুল-ব্যাকুল পথ চাওয়া৷

বুঝিনা যে তোমার মরম

          বিশ্বজুড়ে অপার লীলা

তোমার ভাবে বিভোর এ মন

          দিবানিশি সারা বেলা৷৷

হূদরোগ ও স্ট্রোক ঃ মহিলারা কতটুকু নিরাপদ

এন এন এস

সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হূদরোগ ও স্ট্রোক৷ আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হূদরোগ ও স্ট্রোকজনিত মৃত্যু হার মহিলাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় বেশি ও তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মাহিলাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হূদরোগ ও স্ট্রোক বহুল আলোচিত স্তন ক্যান্সারের তুলনায় আটগুণ বেশি৷ তাই বিশ্ব হার্ট দিবস ২০১১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ঃ হূদরোগ, স্ট্রোক ও নারী৷ হূৎপিন্ড ও মস্তিষ্কের রক্তনালীতে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা বা এথেরোক্লোরোসিসই করোনারি হূদরোগ ও স্ট্রোকের জন্যে দায়ী৷ রক্তপ্রবাহের এই প্রতিবন্ধকতা যখন গুরুতর ও জটিল আকার ধারণ করে তখন দেখা দেয় হার্ট্যাটাক ও স্ট্রোক৷ এ প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে রক্তের

শুভ বিজয়া

কৌশিক খাটুয়া

আজি বিজয়ার পুণ্য শুভ লগনে,

একতার সুর বহিছে পবনে গগনে৷

 দূর কেহ নয় পর কেহ নয়

 সকলেই আমার আত্মীয়,

 সবার মাঝে লুকিয়ে যিনি

 তিনি আমার ধ্যানের ধ্যেয়৷

ছোটোদের স্নেহ, বড়োদের প্রীতি,

 প্রণামে করি স্মরন,

শ্রীচরণে মোর প্রণাম নিবেদনে

গুরুকে স্মরিয়া জগৎ বরণ৷

ব্যাপ্তির শিক্ষা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

দেখবো ঘুরে জগতটাকে

শিখবো সব হেকে ডেকে

চরণ চিহ্ণ এঁকে যাবো

এই করেছি পণ,

যতই বাধা আসুক পথে

চলবো অনুক্ষণ৷

আসছে মানুষ যাচ্ছে ফিরে

হচ্ছে দেখা ক্ষণিক তরে

নিচ্ছে প্রীতি পরাণ ভরে

তুলি, মধু রণন...

যতই বাধা আসুক পথে

চলবো অনুক্ষণ৷

দুঃখ বেদন যাহা থাকুক

শীত উত্তাপ যতই লাগুক

খাবার দাবার যাহা জুটুক

লক্ষ্যে সদা মন,

যতই বাধা আসুক পথে

লড়বো অনুক্ষণ৷

প্রিয়জনে কাছে পাওয়া

মধুতাণে হচ্ছে নাওয়া,

সবার সুখে সুখী হওয়া

এইতো জীবন,

লক্ষ্মী যখন আসবে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কোজাগরী পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ্মীপূজা৷ লক্ষ্মীপূজার ইতিহাস খুব বেশি প্রাচীন নয়৷ দ্বাদশ শতকের পর থেকেই লক্ষ্মীপূজার প্রচলন ঘটে! তার আগে শুধু কোজাগরী পূর্ণিমা পালিত হত৷