বাচ্চারা আনন্দ পায় না বলে স্কুলে আসে না৷

লেখক
পত্রিকা প্রিতিনিধি

এক বৃদ্ধ শিক্ষক সেদিন এলেন পড়াবার জন্য৷

---আচ্ছা লেখো তো, এক অক্ষরে ‘ডাকাত’৷

কেউ লিখতে পারলো না৷

তিনি ‘ডা’ কাত করে লিখে বললেন- এই হলো ‘ডাকাত’৷

সবাই হেসে হেসে কূটিকূটি৷

আচ্ছা এবার বলো তো কীভাবে এক অক্ষরে ‘কাতলা’ লিখবে৷

সবাই আবার অবাক৷

শিক্ষক ‘লা’ কাত করে লিখে বললেন--- এই হলো কাতলা৷

শিশুরা হাসছে তো হাসছে৷

তারপর তিনি ‘কা’ লিখে মুছে দিয়ে বললেন--- বলো এবার কী লিখলাম৷

সবাই আবারো অবাক৷

তিনি বললেন--- এবার লিখলাম কানাই৷

শিশুদের হাসির রোল উঠলো৷

এবার তিনি ছাত্রদের বললেন-- বলো তো আমি কেমন পড়ালাম৷

ছোট একটা শিশু দাঁড়িয়ে বললো--- আপনি আমাদের আজ কিছুই পড়ান-নি৷

কিছুই পড়াইনি! কি বলো!

এবার শিশুটি বোর্ডে গিয়ে একটা সূর‌্য আঁকলো৷ সূর‌্যের চারপাশে কিরণ এঁকে বললে--- আজকে রবি শুধু তার আলো ছড়িয়েছে৷

এই স্কুলটি হলো শান্তিনিকেতন

শিক্ষক টি কে জানেন?

’রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’

আর বোর্ডে যে ছাত্রটি এঁকেছিলেন, তিনি ছোট্ট ‘‘সত্যজিৎ রায়’’৷   (সংগৃহীত)