বিশ্ববিদ্যালয় গুলির অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন

লেখক
তপোময় বিশ্বাস 

অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে পড়ুয়াদের বেশ কিছু আন্দোলন চোখে পড়ছে৷ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়,আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই অফলাইন বাতিল করে অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা শুরু হয়েছে৷ গত ২০ মে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অফলাইন পরীক্ষার কথা সুপারিশ করার পরের দিনই শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেটের বাইরে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী৷

ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে আমার মনে হয়৷ কোভিড কারণে প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় কলেজ গুলিতে অফলাইন বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে হয়েছে৷ গত বছরের শেষার্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি চালু করা হলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এই বছরের একদম প্রথমের দিকে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ, ওমিক্রোনের বাড়বাড়ন্তে পুনরায় সেগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়৷ সংক্রমণের সংখ্যা কমলে ফেব্রুয়ারীতে পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু করা হয়৷ কলেজগুলি চালু করা হলেও যথাযথ অফলাইন পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া হয়নি৷ আধা অফলাইন আধা অনলাইন পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়ার ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে৷ ফলে সিলেবাসের বড় অংশ এখনো শেষ হয়নি৷ একটি সেমিস্টারের সিলেবাস শেষ করতে ছয়মাস সময়ের  প্রয়োজন, সেখানে দু-আড়াই মাসে অফলাইনে পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে আঘাত হানার সম্ভাবনা প্রবল৷ দীর্ঘদিনের অফলাইনে অনভ্যস্ত কিংবা প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী যারা অফলাইন পরীক্ষা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, তাদের সঠিকভাবে অফলাইনে অভ্যস্ত করে তুলবার আগে অফলাইন পরীক্ষা না নেওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ অন্যথায় সেমিস্টারের সিলেবাস শেষ করা পর্যাপ্ত সময় দিয়ে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের ন্যায় যথাযথভাবে অনলাইন পঠনপাঠনের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের অভ্যস্ত করে তুলে তারপরে অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়া হোক৷