ভিটামিন–বি কমপ্লেক্স কি শরীরে শক্তি জোগায়
কোনো ভিটামিন বা মিনারেলই সরাসরি শক্তি জোগায় না৷ খাদ্যে থাকা শক্তিকে ক্যালরিতে পরিমাপ করা হয়৷ খাদ্যের ভেতর কেবল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড ও ফ্যাটই ক্যালরি সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে৷ ভিটামিন বা মিনারেলে ক্যালরি বা শক্তি থাকে না৷ কোবাল্ট, কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো ভিটামিন–বিও শক্তি বের করার জন্যে জরুরি৷ তাই ভিটামিন–বিকে গৌণশক্তি সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে৷ জেনে রাখা ভালো, শরীরের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন–বি গ্রহণ করলেও তা অতিরিক্ত শক্তি বের করায় কোনো ভূমিকাই রাখতে পারে না৷
ভিটামিন–সি কি ঠাণ্ডা লাগা সারায়
ভিটামিন–সি সম্ভবতঃ ঠাণ্ডা সারায় না, কিন্তু ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গগুলোকে প্রশমিত করতে পারে৷ পরীক্ষায় দেখা গেছে ভিটামিন–সির উপস্থিতিতে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারা শ্বেতকণিকার কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়৷ এ থেকে ধারণা করা হয়, ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গের প্রচণ্ডতা কমাতে ভিটামিন–সি–এর ভূমিকা থাকতেও পারে৷ ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগে বা সঙ্গে সঙ্গেই ভিটামিন–সি গ্রহণ করলে কখনো ঠাণ্ডার প্রচণ্ডতা ও স্থায়িত্ব কমতে দেখা গেছে৷ মাঝারি মাত্রার ভিটামিন–সি গ্রহণ ইনফেকশন ও ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ কিন্তু জলে দ্রাব্য এই ভিটামিন ইনফেকশনের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে৷
সূর্যরশ্মি থেকে কি চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন–ডি পাওয়া সম্ভব
সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মানব শরীরের ত্বকে থাকা বিশেষ ধরণের কোষ ভিটামিন–ডি তৈরি করে৷ কেউ যদি সূর্যালোকে স্নান করার যথেষ্ট সময় থাকে তাহলে খাদ্যে আলাদা করে ভিটামিন–ডি গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে না৷ ত্বকে সূর্যরশ্মি পৌঁছানোর বাধা পেলে ভিটামিন–ডি তৈরি হওয়াও বাধাগ্রস্ত হবে৷
কড লিভার তেল ছাড়া ভিটামিন–ডি ফর্টিফাইড দুধই একমাত্র ভিটামিন–ডি এর নির্ভরযোগ্য উৎস৷ দুধ ও পনিরের মতো অন্যান্য দুধ জাতীয় পণ্য যেহেতু ভিটামিন–ডি ফর্টিফাইড নয়, সেহেতু এগুলো ভিটামিন–এর নির্ভরযোগ্য উৎস হিসাবে বিবেচিত হয় না৷ ভিটামিন–ডি যেহেতু শরীরে জমা থাকতে পারে তাই প্রতিদিনই ভিটামিন–ডি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই৷ বেশী ভিটামিন–ডি গ্রহণ বিষাক্ততার কারণ হতে পারে৷ তাই যদি চিকিৎসকের নির্দেশ না থাকে তাহলে পুর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০০ আই ইউ ভিটামিন–ডি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়৷ শিশুরাও ভিটামিন–ডি–র বিষাক্ততার হাত থেকে মুক্ত নয়, তাই তাদের ক্ষেত্রেও নির্দেশিত পরিমাণের বেশি ভিটামিন–ডি গ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না৷
- Log in to post comments