প্রবন্ধ

বাংলা বাঁচাও, বাঙালী বাঁচাও

একর্ষি

ভাষা-সংসৃকতি একটি জনগোষ্ঠীর প্রাণ ভোমরা৷ একে অবহেলা করা, অবজ্ঞা করা, গুরুত্বহীন করা বা মর্র্যদা না দেওয়া নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা ৷ সর্র্বেপরি মাতৃভাষাকে সরকারী বেসরকারী  সব ধরণের  কাজে ও শিক্ষায় আবশ্যিক না করা  আত্মহননের  সামিল৷ পশ্চিমবঙ্গে কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষায় বাংলা আবশ্যিক না হওয়াতেই যত বিপত্তি৷ ভা

দার্জিলিঙের বিছিন্নতাকামী শক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন

স্নেহময় দত্ত

পাহাড় জ্বলছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বাংলার ভাষার পঠন-পাঠন্ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করার পর থেকেই পাহাড়ের বিমল গুরুং এ্যান্ড কোং গর্জে ওঠেছে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে৷ শুধু বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে নয়, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে গোর্র্খল্যান্ড গড়ে তোলা৷  বাংলা ভাষায় পঠন একটা অছিলামাত্র,

জি.এস.টি ---প্রারম্ভিক ঢক্কানিনাদ ও ধোঁয়াশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৩০শে জুন মধ্যরাত্রে সংসদের সেন্ট্রাল হলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পণ্য-পরিষেবা কর বা গুডস্ এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স সংক্ষেপে জি.এস.টি-র পথ চলা শুরু হলো৷ সারা দেশে একই রকম কর ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের উদ্দেশ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্রায় সতেরো বছর আগে জি.এস.টির ভাবনা -চিন্তা শুরু হয়৷ পরবর্ত্তীকালে ২০১১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখ্যোপাধ্যায় সংসদে জি.এসটির সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন৷ এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনা,

দার্জিলিংয়ে বাঙালী বিতাড়ন ও বাঙালীদের সম্পত্তি জবরদখল

বিশেষ প্রতিবেদক

পূর্ববঙ্গের ‘শত্রুর সম্পত্তি’, পরবর্তীতে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ আইনে কীভাবে বাঙালীদের সম্পত্তি জবর দখল করে নেওয়া হয়েছে ইসলামিষ্টদের দ্বারা, আমরা জানি৷ কিন্তু দার্জিলিংয়ে কীভাবে বাঙালী বিতাড়ন ও বাঙালীদের সম্পত্তি দখল হয়েছে, তার কোনও পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিয়ান আজও লেখা হয়নি, তার একটা খণ্ড চিত্র পাচ্ছি৷

আমরা যোগ সাধনা করব কেন?

আনন্দমার্গী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

যোগের আধ্যাত্মিক দিক

আমরা মনের যে অংশ নিয়ে প্রাত্যহিক কাজকারবার করি তা কিন্তু আমাদের মনের অতি ক্ষুদ্র অংশ৷ আমাদের মনের অতি বহৎ অংশ–যেখানে রয়েছে বিপুল সম্পদ, ঐশ্বয্য–তা সাধারণতঃ আমাদের  অজ্ঞাতই থেকে যায়৷

গণ–অর্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

পশ্চিম রাঢ়ের রাজনৈতিক–সামাজিক প্রেক্ষাপট

সমীর সিংহ

(৫) বিহারের জাতীয় কংগ্রেসের নীতিই ছিল বাঙালী বিদ্বেষ৷ কংগ্রেসের নেতা রাজেন্দ্র প্রসাদের সভাপতিত্বে ‘‘বিহার কমিটি’’ তৈরী হয়েছিল৷ রাঢ়ের বাঙলা সুক্লগুলি ধ্বংস করাই ছিল এই কমিটির যেন প্রধান কাজ৷ ভদ্রলোকের মুখোশধারী শয়তানদের বাঙলার দাবীকে নস্যাৎ করার চক্রান্তও এ প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে বলা প্রয়োজন৷

আধ্যাত্মিকতা ছাড়া গতি নেই

একর্ষি

সমাজের প্রেক্ষাপটেই মানুষের  ও তার সমাজের সভ্যতার অগ্রগতি, বিবর্তন ও উদ্বর্তনা, কেননা মানুষ তো  সমাজবদ্ধ জীব৷ সমাজর্োধই যুর্থদ্ধ মানুষকে এগিয়ে চলার পাথেয় যুগিয়েছে৷ সহযোগিতা,একসঙ্গে চলার প্রেরণা, মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক নিঃশর্ত শ্রদ্ধা ভালবাসা, সর্র্বেপরি অহৈতুকী সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষকে মনুষ্যেতর  প্রাণী থেকে পৃথক করেছে, মানুষকে উন্নত থেকে উন্নতর সোপানে আরোহণে সাহায্য করেছে৷ নব নব আবিষ্কারের উদ্ভাবনের অলক্ষ্য সঞ্চালক শক্তি যেমন ব্যষ্টিমনের আনন্দের রসায়ন, তেমনি সমাজবোধ বা সামাজিক দায়বদ্ধতা৷ ওই বোধ-অনুভূতিগুলোর সন্তুলিত সামবায়িক নামই তো মনুষ্যত্ব বোধ৷ আর এর উন্মেষ, পুষ্টি ও বিস্তারে

সম্পাদকীয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনয়নে অনৈতিক প্রবণতা

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে কেন্দ্রের শাসক জোট  এনডি এ থেকে রামনাথ কোবিন্দকে মনোনীত  করা হয়েছে৷ কেন? তাঁর কোন্ গুণ দেখে? তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে দু’বার-রাজ্যসভায় বিজেপি’র সাংসদ ছিলেন---এই কারণে কি? তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন---তা-ই কি? এইসব কোনো গুণ দেখে কি? না--- তা মোটেই নয়৷ এটা বিজেপি’র নেতারাই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন৷ রামনাথ কোবিন্দকে এই পদের জন্যে মনোনীত করা হয়েছে, কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ বলে৷ বাংলায় থাকে বলে ‘নীচু জাতে’র---সিডিউল কাষ্টের মানুষ বলে৷ উদ্দেশ্য কী?

সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে

প্রবীর সরকার

দার্জিলিংয়ের গোর্খারা হ’ল নেপালের অধিবাসী৷ তারা নেপালী৷ নেপাল যেহেতু স্বাধীন রাষ্ট্র তাই তারা ‘নেপালল্যাণ্ড’ আন্দোলন করার দাবী না তুলে গোর্খাল্যাণ্ড গড়ার দাবী তুলছে দীর্ঘকাল ধরে৷ এই কাজে মদত দিয়ে আসছে বিশেষ করে কমিউনিষ্ট দল৷ কমিউনিষ্টরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক দিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই বাম শাসনকালে জ্যোতি বসুর আমলে এরা রাজ্য সরকারের মদতে সুবাস ঘিসিংকে নেতা বানিয়ে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গড়ে তোলে৷ সরকারী ভাবে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠন রুখতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করা হয় রাজভবনের সামনে৷ আমরা বাঙালীর