প্রবন্ধ

সাম্রাজ্যবাদী শোষক গোষ্ঠী বাঙলাকে ধবংস করতে চায়

মনোজ দেব

‘সুদূর বৈদিক যুগ থেকেই শুরু হইয়াছে তৎকালীন অঙ্গ, বঙ্গ কলিঙ্গ ও প্রাগজ্যোতিষপুরের ওপর তথাকথিত আর‌্যদের অত্যাচার ও অবিচার৷ মহারাজা শশাঙ্কের সময় পর্যন্ত অবশ্য বাঙলা আর্যদের কাছে নতি স্বীকার করে নাই৷ কিন্তু বাঙলার চিরকালীন দুর্ভাগ্যই হইল একই সময়ে সে বীর প্রশবিনী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের স্তন্যদাত্রীও৷ মহারাজা শশাঙ্কের সময়েও এর ব্যতিক্রম হয় নাই৷ তাই আর‌্যদের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল রণনীতির দ্বারা নয়, কূটনীতির দ্বারা বাঙলাকে পরাজিত করা৷ কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাঙলা এমনকি পাঠান মোঘল যুগেও বশ্যতা স্বীকার করে নাই৷ তার প্রমাণ বারো ভূঁইয়া৷

আর.জি.কর হাসপাতালের গোড়ার কথা

আকাশ তরঙ্গ

বেলগাছিয়া থেকে দমদম৷ বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরছেন এক ডাক্তার৷ মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ৷ বেশিরভাগ রোগীই গরীব৷ পথ্য কেনারই পয়সা নেই আবার ডাক্তারের ফিস ! তাই রোগী দেখার সাথে সাথে প্রয়োজনে রোগীদের পথ্য কেনার পয়সাও দিচ্ছেন সেই ডাক্তারবাবু৷ শুনলে আশ্চর্য হবেন সেই ডাক্তারবাবু ততদিনে বিলেত ফেরৎ৷ ভাবতে অবাক লাগে আজ একজন সাধারণ এমবিবিএস ডাক্তারেরও যখন গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করায় অনীহা তখন বিলেতের ডিগ্রি নিয়েও এই ডাক্তার স্বেচ্ছায় অস্বাস্থ্যকর গ্রামকেই তাঁর কর্মস্থল বেছে নিয়েছিলেন..

‘স্বাধীনতা’ শব্দটি বাঙালীদের কাছে প্রহসন মাত্র

তপোময় বিশ্বাস

প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালী জনগোষ্ঠীর কাছে এখনো পৌঁছোয় নি৷ হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন৷ স্বাধীনতা মানে কি শুধু মাত্র ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করাতেই ক্ষান্ত থাকা? স্বাধীনতা কি জিনিস বাঙালী জনগোষ্ঠী এখনো জানেনা, আসলে জানানো হয়নি৷ চাক্ষুষ আমরা যে স্বাধীনতা দেখি আসলে সেটি শুধুই রাজনৈতিক গণতন্ত্র, সামাজিক ও সর্র্বেপরি অর্থনৈতিক গণতন্ত্র সম্পূর্ণ উপেক্ষিত৷ অধিকাংশ ভারতবাসীর কাছে সামাজিক বা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কি জিনিস, খায় নাকি মাথায় দেয়? সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন ধারনা নেই৷ ভারতবাসীকে ‘প্রজা’ থেকে নাগরিককে উত্তীর্ণ হতে হবে৷ প্রজার কাছে রাজার নির্দেশই আইন, নাগরিককে তার অধিকার বুঝে নিতে হবে৷

আর কোন দল নয়--- জাতি হিসেবে বাঙালীকে উঠে দাঁড়াতে হবে

প্রভাত খাঁ

আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনা কে কেন্দ্র করে যে নোংরা বাঙালী বিদ্বেষী আন্দোলন হচ্ছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাঙলার অতীতকে ফিরে দেখা৷

সমবায়ের গুরুত্ব ও সাফল্যের সম্ভাবনা সম্বন্ধে প্রাউটের বক্তব্য ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্যবাদ ভিত্তিক অর্থনীতি (পুঁজিবাদ) শোষণ–ব্যবস্থার নামান্তর৷ মার্কসবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ও শিল্প–উদ্যোগ বা কমিউন ব্যবস্থায় ব্যষ্টিস্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই, এসব ক্ষেত্

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্যবাদ ভিত্তিক অর্থনীতি (পুঁজিবাদ) শোষণ–ব্যবস্থার নামান্তর৷ মার্কসবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ও শিল্প–উদ্যোগ বা কমিউন ব্যবস্থায় ব্যষ্টিস্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই, এসব ক্ষেত্রে পরিচালক ও শ্রমিকের সম্পর্ক প্রভু–ভৃত্যের সম্পর্কের মত৷ উৎপাদনে শ্রমিকের কোনো উৎসাহ থাকে না, মমত্ববোধও থাকে না৷ তাতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়৷ প্রকৃতপক্ষে এও এক শোষণ–ব্যবস্থা৷ তাই এই ব্যবস্থাকে প্রকৃত জনকল্যাণমূলক বলা চলে না, আর এ ব্যবস্থা বেশি দিন টিঁকেও থাকে না৷

চাই সাংস্কৃতিক আন্দোলন

মনোজ দেব

‘‘মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনও রয়েছে৷ সকল মানুষের জীবনেই রয়েছে কতকগুলি সাধারণ ও সহজাত বৃত্তি৷ স্বভাবগত ভাবে তাদের কেউ কেউ হয়তো মানুষকে বিকাশের পথে নিয়ে যায়, কেউ বা নিয়ে যায় অবনতির দিকে৷ যে বৃত্তি মানুষকে বিকাশের পথে নিয়ে যায় তাকে আমাদের উৎসাহ প্রদান করা উচিত৷ আর যে বৃত্তি মানুষকে অবনতির পথে নিয়ে যায় তাকে নিরুৎসাহিত করা উচিত৷ এই পৃথিবীর কোথাও কোথাও মানুষকে ব্যাপক নগ্ণ চিত্র ও অশ্লীল সাহিত্যের মাধ্যমে নৈতিক অধগতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ সাধারণ প্রতিবাদের মাধ্যমে একে প্রতিহত করা যাবে না যদি না পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সক্রিয়ভাবে কিছু করি৷ যদি বা

পরির্ত্তনশীল জগতের এটাই ধর্ম, দলীয় রাজনীতিতে যা ঘটে গেল বাংলাদেশে

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুর্র্ভগ্যজনক ঘটনা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে তা হলো গত ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নিজের বাসভবনে সপরিবারে খুন হন সেখ মুজিবর রহমান৷ আর তাঁর বেঁচে থাকা কন্যা সেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে৷ এর মূল কারণ হলো সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ছাত্রদের চরম হিংসাত্মক বিদ্রোহের কারণে! বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে দেখতে হলে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তা হলো স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টির পূর্বে এই দেশটি ছিল অখণ্ড বৃহত্তর বাংলাদেশ হিসাবে৷

অমৃত–উৎসব নয়–চাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রাম

মনোজ দেব

স্বাধীনতা লাভের ৭৭ বছর অতিক্রান্ত হ’ল, এখনও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ণ ওঠে জনগণ কি সত্যই স্বাধীনতা লাভ করেছে এ প্রশ্ণ উঠেছে এই জন্যেই যে, স্বাধীনতা লাভের পর খাতায় কলমে এতগুলো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হ’ল, আবার নতুন সরকার নতুন নামে পরিকল্পনা শুরু করলো৷ গরীবী হটানোর জন্যে কত না প্রতিশ্রুতি সরকারের পক্ষ থেকে শোণানো হ’ল, কিন্তু এ সব সত্ত্বেও তো আজ দেশের কোটি কোটি মানুষ দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বলছে ভারতের সিংহভাগ সম্পদ করায়ত্ব করে রেখেছে মুষ্টিমেয় ধনিক সম্প্রদায়৷ তারাই অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক, জনগণের ভাগ্য বিধাতা৷ শাসক শুধু কলের পুতুল৷ স্বাধীনতার অমৃত কারা পান করছে

ঋষি অরবিন্দ স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা তথাকথিত ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন তথা ভারতআত্মাকে খণ্ড–বিখণ্ড করার দিন আবার অপরদিকে বাঙলার বুকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋষি অরবিন্দের আবির্ভাব দিবস৷ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে দুই তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা৷

শ্রী অরবিন্দ জড়বাদী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আই.সি.এস. চাকরি পরিত্যাগ করে বৈপ্লবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতের মুক্তি সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার এক বিরল দৃষ্টান্ত৷

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যুত্থান -- এ দুইয়ের পার্থক্য কোথায়?

সুকুমার সরকার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর চবিবশের গণ অভ্যত্থানকে আন্দোলনকারীরা সমার্থক বললেও, এ দুইয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে৷ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালিদের সঙ্গে অবাঙালি শাসক-শোষকের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান বাঙালি শাসকের সঙ্গে বাঙালি বিক্ষোভকারীদের লড়াই৷ লড়াই একজন উন্নয়নকামী সরকার প্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন বিরোধীদের লড়াই৷ চবিবশের গণ অভ্যত্থান যাঁর বিরুদ্ধে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের হোতা শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা, যিনি নিজেও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছিলেন আপোষহীন৷ তার সুফলও ফলেছে বাংলাদেশে৷ রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা, চাকরি সবেতেই গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ছাপ পড়েছে৷ অন্যদিক