প্রবন্ধ

অপরাজিতা বিল মনের রোগ নিরাময় করতে পারবে না

তপোময় বিশ্বাস

‘অভয়া’-র খুন ও ধর্ষণের প্রকৃত বিচারের ব্যাপারে আমিও ব্যষ্টিগতভাবে খুবই উদ্বিগ্ণ৷ আমিও চাই প্রকৃত বিচার হোক, দোষীরা শাস্তি পাক৷ তথাপি এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে তা হল অভয়া-র ধর্ষক হল সিভিক ভলেন্টিয়ার সাঞ্জায় রাই (সঞ্জয় রায় নয় মোটেই) কিছু চাটুকার মিডিয়া ‘‘সাঞ্জায় রাই’’কে সঞ্জয় রায় বানিয়ে বাঙালীদের মধ্যে গুলিয়ে দিতে চায় যে সাঞ্জায় গুটকাসেবক অবাঙালী নয়, সে বাঙালীই৷

রাজনৈতিক দ্বিচারিতা ভারতীয় কমিউনিস্টদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মনোজ দেব

স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি রাজনৈতিক দ্বিচারিতায় ভুগছে, তাদের তত্ত্বে ও কর্মে দুমুখো নীতি খুবই স্পষ্ট৷ কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তাহারে কাল মার্কস বলেছেন কমিউনিজমকে এক কথায় বললে---‘পুঁজিবাদের উচ্ছেদ’৷ ভারতের কমিউনিস্ট নেতারা সাধারণ কর্মী সমর্থকদের সামনে পুঁজিবাদ বিরোধী লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখলেও তলে তলে পুঁজিবাদকে তোষণ করে চলেছে৷ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও চেয়েছিলেন৷ তাই তৎকালীন পুঁজিপতিদের অর্থে পরিচালিত জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী লবির নেতৃত্ব সুভাষ চন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল, সুভাষচন্দ্রকে কংগ্রেস ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল৷ সমাজতন্ত

বিস্মৃত বিপ্লবী সন্তোষ মিত্র

স্নেহময় দত্ত

বাঙলা মায়ের যে সব বীর সন্তান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে অমর হয়েছেন তাঁদেরই একজন বিপ্লবী সন্তোষ কুমার মিত্র তথা সন্তোষ মিত্র, হিজলী বন্দীশালায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের গুলিতে নিহত হয়ে যিনি শহীদ হয়েছেন৷

জন্ম ১৯০০ সালের ১৫ আগষ্ট মধ্য কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে৷ ছাত্র হিসাবে ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী৷ ১৯১৫ সালে হিন্দু স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন৷ ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে৷ তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র৷ কলেজে তাঁর সহপাঠী ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু৷ ১৯২১-২২সালে এম.এ.ও এল.এল.বি পাস করেন৷

সৎনীতিবাদী মানুষের সমাজ গড়তেই পৃথিবীতে আনন্দমার্গের আগমণ

প্রভাত খাঁ

মনে রাখতে হবে সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সমাজে কিছু আদর্শবান মানুষ যাঁরা সমাজসেবী ও মানবতাবাদী মানুষ গড়ে যখন ওঠেন৷ পৃথিবীতে যে সীমিত সম্পদ আছে তাকে সুষ্ঠুভাবে সকলের মধ্যে বন্টন করে সকলের মুখে আনন্দের হাসি ফোটাতে পারে৷ তাই প্রতিটি সমাজে তেমন লোকের প্রয়োজন৷

সাংস্কৃতিক অবক্ষয় রোধ করে প্রভাত সঙ্গীত নবযুগের সূচনা করবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী মানব মনের সামূহিক অভিব্যক্তির মধ্যে যে পরিশীলিত ভাব তা–ই হ’ল তার সংস্কৃতি৷ মনুষ্যেতর জীবের চিন্তাধারা তার দেহগত সুখকে অতিক্রম করতে পারে না৷ খাওয়া, ঘুমানো ও সংখ্যাবৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোন ভাবনা তাদের মধ্যে নেই৷ মানুষের মনের অধিকতর সূক্ষ্ম ও মাধুর্যপূর্ণ অভিব্যক্তিই তাকে মনুষ্যত্বের শিরোপা পরিয়েছে৷ এটাই মানবীয় সংস্কৃতি৷ যদিও অভিব্যক্তির ধরণ ধারণ দেশ–কাল–পাত্রে কিছুটা ভিন্নতা প্রাপ্ত হয়, তাহলেও ভেতরের মূল ভাবটুকু এক৷ সাধারণভাবে একেই বলব মনুষত্ব বা মানবিকতা৷ তাই প্রাউট–প্রবক্তা বলেছেন, মানু

অপরাধের সমস্ত উৎস নিপাত যাক

তপোময় বিশ্বাস

‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফাঁসী চাই’....রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল, ডাক্তারবাবুদের কর্মবিরতি হাজারো মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু মুখে ঠেলে ফেললেও তাঁরা অনড় !

দলতান্ত্রিক শাসনের স্বেচ্ছাচারিতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নাগরিকদের তীব্র প্রতিবাদ করতেই হবে

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সেই বিশ্বকবির--- মহামানবের তীরে যে শক, হুন, দল পাঠান মোগল, এক দেহে লীন হয়েছিল সেই ভারতবর্ষকে পরবর্ত্তীকালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সমুদ্র পারের ইংরেজ ও আমেরিকা মিলিতভাবেই খণ্ড খণ্ড করে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত যুক্ত রাষ্ট্র ও পাকিস্তান তৈরী করে, আজ তারাই আবার সেই ষড়যন্ত্র করে কিছুটা রং বদলিয়ে সেই আমেরিকা ও পাকিস্তান মিলিতভাবে আওয়ামীলীগের বাংলাদেশে ইসলামীক জঙ্গী ও বি.এন.পিকে মদৎ দিয়ে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরীর দিকে এগুচ্ছে৷ অন্যদিকে ভারতযুক্ত রাষ্ট্র-এর কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বর্তমান মিলিজুলি সরকার এর প্রধান মোদিজী এগুচ্ছেন ভারত যুক্ত রাষ্ট্রে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র

সাংসদ বিধায়করা দলের উধের্ব উঠে জনগণের কল্যাণের কথা ভাবতে পারেন না

প্রবীর সরকার

লোকসভা ও বিধানসভায় যে সব প্রতিনিধি বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে গেছেন তাঁরা নিজ নিজ এলাকার অভাব---অভিযোগগুলিকে আলোচনার জন্যে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করেন না শুধু দলীয় স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দলাদলির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদপত্র ও টিভিতে সেগুলিকে ধামাচাপা দিতে হৈ চৈ করে ওয়েলে নেমে হট্টগোল করে লোকসভা ও বিধানসভার নির্দিষ্ট দিনগুলি নষ্ট করেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন৷ নির্বাচনের পর তো ভোটারদের সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনও যোগাযোগই থাকে না৷ পশ্চিমবঙ্গের কথাই যদি বলা হয় তাহলে বলতেই হয় এ রাজ্যে শাসক দল কেন্দ্রীয় সরকারের অনুগত না হওয়ায়, বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার রা