প্রবন্ধ

জগৎ কল্যাণে আধ্যাত্মিক সাধনার বিশেষ গুরুত্ব আছে

প্রভাত খাঁ

জন্মের প্রথম থেকেই সবাই শুনে আসছি যে সংগ্রামই জীবন৷ তাই এই সংগ্রাম হলো ঘরে বাহিরে৷ শরীরের মধ্য দিয়ে দৈহীক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনটি ক্ষেত্রেই মানুষকে  সচেতন হতে হবে৷ শুধু তাই নয় আমরা যে স্থানে বাস করছি তার পরিবেশকেও এমনভাবে পরিষ্কার  ও পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে যাতে আমরা  নানা রোগের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হই৷ তাই  সংগ্রামই জীবন এই মহাবাক্য হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শরীরের মধ্যদিয়েই আমরা আমাদের সার্বিক বিকাশ ঘটাই তাই শরীরের মাধ্যমে সবকিছু  জাগতিক কাজ করার জন্য বলা হয় ‘‘শরীর মাধ্যমদ্বৈত মন্দির সাধনম্ স্থান, আহার, শুদ্ধ অর্থাৎ খাদ্যগ্রহণ করতে হয়৷ তা না হলে শরীর নষ্ট হয়ে যাবে৷ বর্ত

কোভিড পরবর্তী  অর্থনীতি ঃ দর্শন ও দিশা

সুকুমার সরকার

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ‘নোতুন পৃথিবী ’পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম, ‘‘ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব কি মহানন্দার দিকে ধাবিত  হচ্ছে?’’ কেন জানি না, প্রাকৃতিক  দুর্দৈবিপাকে সমগ্র  বিশ্ব সত্যি সত্যিই আজ এক মহামন্দার  কবলে পড়েছে৷ এই মহামন্দা শুধু অর্থনীতিতে নয়, সমগ্র সমাজ -সামাজিকতাটাকেই ভেঙে দিয়েছে৷ আর এই মহামন্দা এসেছে এমন একটি মাধ্যমকে বাহন করে, মানুষের  আজকের  বিজ্ঞান যার সামনে  দাঁড়াবার সাহস দেখাতে পারছে না৷  লুকিয়ে বাঁচাটাকেই উপায়  হিসেবে বেছে নিয়েছিল৷ কিন্তু সেটাই বা কতদিন?

‘‘তন্মাত্র ও মাইক্রোবাইটাম’’

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম ধনাত্মক কিংবা ঋনাত্মক যাই হোক না কেন এরা অত্যধিক সুক্ষ্ম সত্তা৷ তাই সবকটি তন্মাত্রের মধ্য দিয়েই এরা বাহিত হয়৷ যতগুলি তন্মাত্র আছে, তার মধ্যে শব্দ তন্মাত্র হ’ল  সব চাইতে সুক্ষ্ম তন্মাত্র৷ এই শব্দ তন্মাত্র আমাদের শ্রবণ নাড়ীতে গৃহীত ও বাহিত হয় এবং বিভিন্ন গতিশীল সত্তায় স্পন্দিত হয়৷ শব্দ-তন্মাত্রের চেয়ে স্পর্শ-তন্মাত্র বেশী সূথল, এর চাইতেও বেশী স্থূল হ’ল রূপ-তন্মাত্র ৷ এইরূপ তন্মাত্র আলোক তরঙ্গে গৃহীত ও বাহিত হয়৷ আবার রূপ তন্মাত্রের চেয়ে রস-তন্মাত্র আরো বেশী স্থূল, যা তরলের মধ্যে গৃহীত ও বাহিত হয়৷ সব চাইতে স্থূল তন্মাত্র হ’ল গন্ধ-তন্মাত্র, যা গন্ধরেণুর দ্বারা বাহিত হয়৷

জড়বাদ, পুঁজিবাদ ও ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শনের ত্রুটি - ঈশ্বরকেন্দ্রিক দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মানুষ সাধারণতঃ যে সমস্ত দর্শনকে মেনে চলে তাদের ৪শ্রেণীতে ভাগ করা যায়৷

১) জড় কেন্দ্রিক দর্শন Matter Centered Philosophy)

২) আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক দর্শন Self Centered Philosophy)

৩) ডগ্মা বা ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শন Dogma  Centered Philosophy)

৪) ঈশ্বরকেন্দ্রিক দর্শন God Centered Philosophy)

জড়কেন্দ্রিক দর্শন

 এই দর্শনের অনুসারীরা জড় ছাড়া অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার  করে না৷ এরা বলে, মন জড়েরই  গুণ, এছাড়া বেশি কিছু নয়৷ চৈতন্য বা পরমাত্মাকেও এরা মানে না৷  মাকর্সবাদ জড়কেন্দ্রিক দর্শনের উদাহরণ৷

পশ্চিমবঙ্গ কারো অবদান নয়, সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের ফল

পথিক বর

পশ্চিমবঙ্গের কিছু উঠতি নেতা শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে  জঘন্য রাজনীতি করছে তাঁরা শ্রদ্ধার নামে শ্যামাপ্রসাদকে অশ্রদ্ধা ও অসম্মান করছে৷ ইতিহাসকে বিকৃত করে প্রচার করছে, পশ্চিমবঙ্গ শ্যামাপ্রসাদের অবদান৷ বাস্তব তা নয়৷ একথা সবাই জানে, বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের৷ ১৯০৫ সালে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙলাকে ভাগ করেছিল৷ কিন্তু  বাঙালীর ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ শাসক৷ তাই সেদিন বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়৷ কিন্তু বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি৷

পরিবেশ

কণিকা দেবনাথ

পরম শ্রদ্ধেয় দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত একটি গানের মধ্যে বলেছেন--- ‘মানুষ যেন  মানুষের তরে সব কিছু করে যায়, একথাও যেন মনে  রাখে৷ পশু পাখী তার পর নয়, তরুও বাঁচিতে চায়৷’

মানুষ পশু পাখী তরুলতা,জলবায়ু মাটি সব নিয়েই আমাদের পরিবেশ৷ এই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে৷ এই সহজ সত্যটা জানা সত্ত্বেও মানুষের সীমাহীন লোভ দিন দিন পরিবেশকে বিষময় করে তুলছে৷ বিশেষ করে যন্ত্র শিল্পের  বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ দূষণও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে৷

আজ বলব শুধু বায়ু দূষণের কথা---

যোগ ও সর্বাঙ্গীন স্বাস্থ্য

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

চীন নেপালের ভারত দখলের কারণ,  সমস্যা ও সমাধান

রঞ্জিত বিশ্বাস

একদিকে মহামারি করোনা সারা পৃথিবীর মানুষের জীবন দখল করে সর্বনাশ করে চলেছে আর এই  পরিস্থিতিতেই অন্যদিকে  চীন  ও নেপাল ভারত দখলে করে নিচ্ছে৷ সম্প্রতি প্রাপ্ত  খবর অনুযায়ী, চীন  ভারতের অরুণাচল প্রদেশ লাদাখ সীমান্তে ঢুকে পড়েছে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল তাদের মানচিত্র  সংশোধন করে ভারতের তিনটি জায়গা দখল করে নিয়েছে! আরো ভয়ঙ্কর খবর, চীন নাকি এখন পর্যন্ত ভারতের  ভূখণ্ডের  এক বিশাল এলাকায় ঢুকে পড়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার  ও ভারতীয় প্রধান মিডিয়াগুলো এখনও চুপ! আর ওই দিকে নেপাল  সীমান্ত গোর্র্খ সেনা বিনা প্ররোচনায় একজন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছে ও কয়েকজন ভারতীয়দের আটক করে রেখেছে! আর রেখেছে!

ত্রিপুরায় বাঙালীর অস্তিত্ব সঙ্কট

দুলাল ঘোষ

বাঙালীদের জন্য সুখবর--- এন.আর.সির দাবি নিয়ে চলছে আন্দোলন, আমরা কিন্তু কেউ বাঙালী না৷ আমরা এখন নিজেকে  বড় কংগ্রেস, কমরেড, বিজেপি বলতে ভালোবাসি৷ বাঙালী পরিচয় দিতে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পাই৷ আমরা এখন রবীঠাকুর, বিনয়, বাদল, দীনেশ, সুকান্ত, নজরুল,নেতাজীর বংশধরের বাঙালী পরিচয় দিতে লজ্জা পাই৷ আমরা এখন লেলিনের, চের, বড় বড় নেতাদের কথায় নাচতে ভালোবাসি৷ যদি ছেলেটার, চাকরি হয়, যদি লোনটা পায়৷

‘‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো’’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

যোগ আজ সারা পৃথিবীতে বহু আলোচিত ও অনুশীলিত৷ কিন্তু যোগের তাৎপর্য, যোগ অভ্যাসের প্রভাব ও যোগের আসল লক্ষ্য এক কথায় যোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা খুব কম মানুষেরই আছে৷ আর মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে কিছু  স্বার্থপর মানুষ যোগের অপব্যবহার করছে ও যোগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ করে নিচ্ছে৷ অনেকে আবার যোগ বলতে শুধু আসন প্রাণায়ামকেই বোঝে৷ তাই যোগাসন কথাটাই বহুল প্রচলিত৷