প্রবন্ধ

বর্ত্তমান ভারতে রাজনীতির অভিমুখ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কথায় আছে রাজনীতি মানে রাজার নীতি,  আবার অনেকে বলেন,  রাজনীতি হলো  নীতির রাজা৷  অর্থ যাই হোক,  রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত রাজ্য বা দেশের জনগণের সার্বিক  উন্নতি ও মঙ্গল সাধনে একটি সুসংবদ্ধ পদ্ধতি অবলম্বন করে শাসকবৃন্দ বা নেতৃবৃন্দ সেই রাজ্য বা দেশ পরিচালনা করবে৷  জনগণের সার্বিক উন্নতি  শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন  বা অন্ন-বস্ত্র--শিক্ষা-বাসস্থান-স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানই নয় , তাদের পরিপূর্ণ মানসিক  ও আত্মিক বিকাশের  জন্যে  সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিরও বিশেষ প্রয়োজন৷  এই রাজনীতি শব্দটির আর্থিক বা ব্যবহারিক প্রয়োগ  যেভাবেই হোক---‘‘নীতি’’ শব্দটি  তার সঙ্গে  স

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সম্পর্কে  এক আনন্দমার্গী ভক্তের নিজস্ব অনুভূতি তুমি এসেছিলে কাউকে না বলে

আচার্য তপেশ্বরানন্দ অবধূত

১৯৭০ সালে উত্তর বিহারের একজন ভাল গৃহী আচার্যের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল৷ তিনি হলেন ডঃ বিদ্যার্থীজী (আয়ুর্বেদিক ডাক্তার)৷ উনি ‘বাবা’র (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী) খুব ভক্ত৷ তিনি বাবার সম্পর্কে তাঁর এক বিস্ময়কর অনুভূতির কথা আমাকে বলেছিলেন৷ এই ঘটনাটা অনেক আগের৷ তখন তিনি নূতন মার্গী ছিলেন৷ তাঁর ধর্মপত্নী তখনও মার্গী হননি৷ তবে তিনি বিদ্যার্থীজীর সাধনাতে বাধা দিতেন না৷ উনি (ধর্মপত্নী) একবার এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হ’ন৷ প্রতিবেশীরা সবাই পরামর্শ দিলেন স্ত্রীকে বড় শহরে নিয়ে গিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে৷ তা না হলে যে কোনো সময় তাঁর মৃত্যু হতে পারে৷ বিদ্যার্থীজীর টাকা পয়সা বেশী ছিল না৷ যাই হোক স্ত্রীর

কালের কল

একর্ষি

কালের কল call) আসে সময়ের তালে তাল মিলিয়ে৷ গজ-বৃহস্পতিরা বলেন এটা বিজ্ঞানের যুগ৷ মানুষ গণতন্ত্র, সাম্য, ঐক্য, শান্তি, বাকস্বাধীনতার পূজারী, আমরা এগিয়ে চলেছি৷ অগ্রগতির নমুনা ছড়িয়ে আছে পথে ঘাটে ফুটপাতে, হোডিংএ , ব্যানারে, গাছের গুঁড়িতে, পাহাড়ের গায়ে, মাঠে-ময়দানে এমনকি আলাপচারিতায়৷ এককটি সময় ছিল যখন মানুষ ছিল শ্রুতিনির্ভর৷ শ্রুতিটাই ছিল প্রামাণ্য৷ বেদ তো মানুষ শুণে শুণেই মনে রাখত৷ তাই বেদের  আর এক নাম হয়ে গেল ‘শ্রুতি’৷  পাশাপাশি এও শোনা যায় যে শোনা কথার বা মুখের কথার মূল্য নেই৷ লিখিত নিদর্শন চাই৷  আদালতের শুনানিতে সাক্ষ্য প্রমাণ-এ লিখিত তথ্যাদির সঙ্গে বস্তুগত নমুনাই গ্রাহ্য হলেও  শ্রুতিকেও সঙ্গ

নব্য মানবতাবাদই এই মানব সমাজকে রক্ষা করবে

প্রবীর সরকার

এই পৃথিবীর বয়স কয়েক কোটি বছর৷ আর এই পৃথিবীতে মানুষেরও আবির্র্ভব প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে৷ পৃথিবী একটি গ্রহ, এই বিশ্বে এমন কত যে গ্রহ আছে তার হিসেব নেই৷  আমরা আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্যের জন্যে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছি৷ এই সূর্যের জন্যে দিন ও রাত্রি হয়, ঋতু পরিবর্ত্তন হয়৷ এটাই করুণাময় শ্রষ্ঠার অসীম কৃপা৷

প্রভাতরঞ্জনের  মননে গন্ধ পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পরম পূজ্য ‘ৰাৰা’ (শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার) ‘গন্ধ্’ ধাতুটির ১২টি অর্থ ও ব্যাখ্য করেছেন৷ কিন্তু এই ১২টি অর্থ বলেই ৰাৰা থেমে যান নি৷  অনেকের মনে হতে পারে তাঁর এই জ্ঞান-ভান্ডার স্কুল-কলেজের  অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে অথবা বিভিন্ন পুস্তক অধ্যয়ন ক’রে অর্জিত হয়েছে৷ কিন্তু যাঁরা ৰাৰার সান্নিধ্যে অনুক্ষণ রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই নিশ্চিতভাবেই জানেন যে, ৰাৰার ঘরে কোনওদিনই কোন পুস্তকই নেই৷ ঘরে তো দূরের কথা, পৃথিবীতে কোন  মহান ব্যষ্টি এধরণের  পুস্তক এখনও লেখেন  নি৷ এ সবই  জন্মার্জিত৷

রাজনীতিতে আধ্যাত্মিকতাভিত্তিক নীতিশক্তির প্রয়োজনীয়তা 

তারাপদ বিশ্বাস

ভারতবর্ষ আমাদের দেশ৷ প্রায় ১৯০ বছর ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শোষণ ও শাসনাধীন থেকে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে৷ বহু পুরানো জমিদারী, জায়গীরদারী, সামন্তপ্রথা বিলোপ করে, নতুন ভূমি–সংস্কার আইন চালু হয় রাজ্যে রাজ্যে জমির ব্যষ্টি মালিকানা স্বীকার করে, পরিবার পিছু কৃষি ও অকৃষি জমির পরিমাণের উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হয় কিন্তু মান্ধাতা আমলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আইল সরিয়ে, কর্ষকদের উৎপাদক সমবায় তৈরী করে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নততর চাষ–বাসের পরিকল্পনা বা আইন আজ পর্যন্ত দেশে তৈরী করা হয়নি জল ও মাটির পরীক্ষাগার, সেচের জন্য ভূ–গর্ভস্থ জল না তুলে প্রাকৃতিক উৎস ও বৃষ্টির জল ধরে রাখার বড় জলাশয়ের

বাঙালী-বিদ্বেষী বাম-সরকার চরম স্বৈরাচারী

হরিগোপাল দেবনাথ (ত্রিপুরা)

রাষ্ট্র বিজ্ঞানে  এরকম  আইডিয়া  প্রচলিত যে ক্ষমতা শাসক শক্তিকে দুর্বৃত্তায়নের পথে ঠেলে দেয় ৷ বস্তুত, এ মন্তব্যটি সকল জায়গায় আর সকলের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযুক্ত হবে জোর দিয়ে  বলা যায় না, কারণ নীতিবাদী আদর্শপরায়ণ ও সংযতন্দ্রিয়  হলে সেই ধরণের চলাফেরা অবশ্যই ব্যতিক্রম না হয়ে পারেন না৷  তবে আমাদের রাজ্যের তথা কথিত ‘বাম’ নামের শাসক গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যে উপরিউক্ত মন্তব্যটি শতকরা একশ ভাগই সত্যি, এর  অসংখ্য নজির এত ব্যাপকভাব ছড়িয়ে রয়েছে যে,  তা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না৷  আর তাদের দুরাচার বা দুবৃর্ত্তায়নের   তালিকা তৈরী করা এই মূহুর্তে আমার ইচ্ছাও নয়৷  এই পরিসরে আমি শুধু  এটুকু দেখবার চেষ্টা করবো য

অসমে  বাঙালীদের  ওপর নির্যাতনের ইতিহাস

সাধন পুরকায়স্থ

স্বাধীনতার  প্রাক্ মুহূর্তেই অসম থেকে বাঙালীদের  উৎখাত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল৷ যার ফলে ১৯৪৭-এর জুূন মাসে গণভোটের নাটক  করে বাঙালী অধ্যুষিত  অসমের  একটি জেলা শ্রীহট্টকে  পাকিস্তানে  ঠেলে দেওয়া  হয়েছিল৷ তার পরবর্তীকালে  লোকগণনার  প্রহসনে ১৯৫১ সালে বাঙালীদের  সংখ্যাতত্ত্বের কারচুপিতে সংখ্যালঘু বানানো হয়েছিল৷ ৫০ সাল থেকে বঙ্গাল খেদা আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷ বাঙালীদের হত্যা করা, ঘর বাড়ী জ্বালানোটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা৷ ১৯৬০ সালে একমাত্র অসমীয়া ভাষাকে সরকারী ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷  রাজ্যজুড়ে  আন্দোলন শুরু হলো৷ শিলচরে ১৯৬১-র ১৯শে মে ১১টি তাজা প্রাণ পুলিশের গুলিতে আত্মাহুতি দিয়ে শুধুমাত্র

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

‘মনোময় কোষকে নিয়ন্ত্রন করে আসন ও প্রাণায়াম৷ ‘প্রাণায়াম’ কাকে বলে?  ‘‘প্রাণান্ যময়তি য:স: প্রাণায়াম:’’ অর্থাৎ প্রাণশক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশলই প্রাণায়াম৷ প্রাণ কী? প্রাণ ,অপান, সমান, উদ্যান ,ব্যান, নাগ, কুর্ম , কৃকর, দেবদত্ত ও ধনঞ্জয়  এই দশবায়ুর সমন্বয়ে যা সৃষ্ট তাই প্রাণ৷ এই দশবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে আনার বিজ্ঞানসম্মত কৌশলই প্রাণায়াম ৷

দশবায়ু-সম্বন্ধে কিছুকথা:

                ১৷   প্রাণ বায়ু : কন্ঠ থেকে নাভি পর্যন্ত যে বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যস্ত৷