প্রবন্ধ

কেন্দ্রীয় নব্য শিক্ষাব্যবস্থা-শিক্ষার দলীয়করণ ছাড়া আর কিছুই নয়

এইচ এন মাহাত

আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি শিক্ষা নাকি জাতির  মেরুদণ্ড সারাদেশে আক্ষরিক শিক্ষার হার দেখে আমাদের গর্বে বুক ভরে যায় সমাজে শিক্ষিতের সংখ্যা তত্ত্ব বিচার করলে আমরা কেন যে মনে হয় সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপে ও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অমানবিকতার সংখ্যা এত বেশী কেন এর কারণগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই শিক্ষা বা জ্ঞান শব্দের অর্থে দুইপ্রকারের উপলদ্ধি তৈরী হয় একটি পরা জ্ঞান অপরটি অপরা জ্ঞান।

শোষণমুক্ত নতুন বিশ্ব কোন পথে

মনোজ দেব

যে প্রশান্ত সরলতা জ্ঞানে সমুজ্জল,

 স্নেহে যাহা রসসিক্ত, সন্তোষে শীতল

 ছিল তাহা ভারতের তপবন তলে

 বস্তু ভারহীন মন সর্ব জলে-স্থলে

 পরিব্যাপ্ত করে দিত উদার কল্যাণ,

 জড়ে জীবে সর্বভূতে অবারিত ধ্যান

 পশিত আত্মীয় রূপে

দলতন্ত্রের চাপে গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস উঠছে

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের চরম দুর্দ্দশা দেখে সেই বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিকের কথা মনে পড়ে তিনিMischife of Party Spirit প্রবন্ধে বলে গেছেনIt is pernicious to the last degree অর্র্থৎ দলীয় প্রবণতা হলো শেষ পর্য্যন্ত অত্যন্ত ক্ষতিকারক কারণ দলীয় মতামতটা অন্য দলকে সহ্য করতে পারে না তাই ইংল্যাণ্ডে ন্যাড়া মাথার দলের সমর্থকগণ (পোপের দলের সমর্থকদের ঘৃণার চোখে দেখতো আর তাদের পোপের কুকুর অর্থাৎ পপীশ্ক্যার আর পোপের সমর্থকগণ ন্যাড়া মাথার দলের লোকদের বলতো দেশীয় কুকুর অর্থাৎ সংগ্রেল ডগ্ দলতন্ত্রের ফলে গণতন্ত্রটাই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দলবাজীটাই আজ গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা সেটাকে  গলা টিপে মারছে প্রায় সবদেশেই

স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হোক ক্লাবগুলি

বিশবদেব মুখেরজী

রাজ্যে ক্লাবের সংখ্যা ঠিক কত তা আমরা  অনেকেই হয়তো জানি না তবে খবরে প্রকাশ রাজ্য সরকার ষোলো হাজারের অধিক ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন অনুদান পায়নি এমন ক্লাব ও আরো কয়েক হাজার আছে ক্লাব অবশ্যই  একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান অনেকক্ষেত্রে এদের ভূমিকা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য সরকারের আর্থিক অনুদান দেওয়ার উদ্দেশ্য হয়তো সামাজিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানো অবশ্য বিরোধী দলের বক্তব্য ভিন্ন তবে আমার জানা অনেক ক্লাবই এই আর্থিক অনুদান পেয়ে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করেছে সরকারী  সাহায্য পেয়ে খেলাধুলার চর্র্চ বেশি করে হোক ছাত্র যুবদের মধ্যে ---এটা অবশ্যই চাই কিছু ক্লাব সাংসৃকতিক চর্র্চ করে তো  কিছু ক্লাব খেলাধুলার চ

তন্মাত্র ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্র ভৌমিক

পূর্বে প্রকাশিতের পর যে মানুষ তার মনকে উচ্চ সাধনায় রত রাখেন, তাঁর মনকে এই নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম গন্ধ-তন্মাত্র বাহিত হয়ে প্রভাবিত করতে পারে না তবে কখনও কখনও সাধনা করতে করতে যদি স্থূল বিষয়েরপ্রতি মন নিবিষ্ট হয়,  তবে গন্ধ বাহিত এই মাইক্রোবাইটাম সাধককে আক্রমন করে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এই গন্ধবাহিত মাইক্রোবাইটামদের নাম দিয়েছেন---গন্ধপিশাচ শ্রীসরকার আরও বলেছেন এই   গন্ধপিশাচ সহস্র শ্রেণী--- উপশ্রেণীতে বিভক্ত ও এরা অজস্র ছন্দে আবর্তিত হয় নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের মধ্যে যে সকল মাইক্রোবাইটাম গন্ধের দ্বারা বাহিত হয় তারাই হল গন্ধ্পিশাচ মাইক্রোবাইটাম।

শ্রাবণী পূর্ণিমার কথা

মাইতি বিভাংশু

সন্ধ্যায় নির্জনে ভ্রমণের অভ্যাস প্রভাতরঞ্জনের চিরদিনের জামালপুরে থাকাকালীনও তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাহাড়ের পাদদেশে, লেকের ধারে বা বাঘের কবরে যেতেন নির্জনে একাকী বসে কাজের চিন্তায় মগ্ণ থাকতেন কলকাতায় এসেও তাঁর এই অভ্যাসে কোনো পরিবর্তন হয়নি প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি গঙ্গার ধারে বেড়াতে যেতেন তখনকার গঙ্গার কিনারা আজকের মতো এমন জনবহুল ছিল না শান্ত ছিল, নিস্তব্ধ ছিল।

বাঙালী আর কত কাল ঘুমিয়ে থাকবে

এইচ এন মাহাত

ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বিশ্বের জাঠ ও পঞ্জাবিদের জাতীয়তা বোধ দেখে আমি ব্যষ্টিগতভাবে গর্ববোধ করছি এর পিছনে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ধারণাটি হলো ভারতের  স্বাধীনতায় বাঙালীর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি পঞ্জাবিদের অবদানও কম নয়, অন্যদিকে ভারতের স্বাধীনতায় রাজনৈতিকভাবে বিভাজন হয়েছিল এই দুটি রাজ্য ভারত ভাগের  বলি হওয়া পঞ্জাবিদের পূর্নবাসন হয়েছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তরখণ্ডের একটি লাগোয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এরফলে তাদের  ভাষা সংসৃকতি ও জাত্যভিমান রক্ষা করতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল  হতে হয়নি অন্যদিকে অর্থনৈতিক পূর্ণবাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কোন খামতি ছিলো না

বাঙলার ইতিহাসে রাখী-বন্ধন  উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য

মোহন সরকার

ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও বাঙলার ইতিহাসে  রাখী-বন্ধন উৎসব এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে  ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে  যখন বাঙ্লার গভর্ণর  জেনার্যাল  বাঙ্লাকে দুভাগে বিভক্ত  করার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন  তার বিরুদ্ধে বাঙ্লায় বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালী ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্যে সংক্লল্প গ্রহণের মাধ্যমে হিসেবে রাখীবন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন তখন হিন্দু-মুসলমান  নির্বিশেষে  সবাই পরস্পর  রাখী পরিয়ে বাঙালী ঐক্যের শপথ নিয়েছিলেন।

কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি ঃ দর্শন ও দিশা

সুকুমার সরকার

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

 আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক স্তরের বিজ্ঞান দিয়েই তার মোকাবিলা  করতে হবে আর এই জন্যই শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্বে এই বিষয়গুলির অবতারণা করেছেন অর্থনীতিতে এই বিষয়গুলি যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ তা কোভিড পরিবর্তিত পরিস্থিতি মানুষকে ভাবতে বাধ্য করেছে।