ম্যানেজমেণ্ট অর্থাৎ দেখাশোনার ভার যার ওপর ন্যস্ত তিনি ‘ম্যানেজার’, যার যথার্থ সংস্কৃত ‘অধ্যক্ষ’৷ ম্যানেজারকে কেউ কেউ ভুল করে ‘অধিকারী’ বলে থাকেন৷ না, তা হবে না৷ অধিকারী হ’ল ‘প্রোপাইটার’-এর বাংলা প্রতিশব্দ৷ তোমরা সেই অধিকারী মশাইয়ের গল্প জানো তো!
কোনও একটি যাত্রার দলের অধিকারী মশাই নীট লাভের তিন-চতুর্থাংশ নিজে নিতেন আর এক-চতুর্থাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করে দিতেন৷ কর্মচারীরা মনে মনে অসন্তুষ্ট ছিল কিন্তু কিছু বলতে করতে পারত না কারণ অধিকারী মশাই নিজে সব নাটকেই মুখ্য ভূমিকায় নাবতেন৷ আর গোটা পাঠটাই তার মুখস্থ থাকত৷ স্মারক যে তাঁকে অসুবিধায় ফেলবে তার জো-ও ছিল না৷ একবার দুর্ভাগ্যবশতঃ তাঁর পার্টের একটি অংশ তিনি ভুলে গেলেন৷ নেবেছেন তিনি রামের ভূমিকায়৷ তাঁকে উদাত্ত কণ্ঠে বলতে হবে---‘‘হনুমান, হনুমান কোথা তুমি পবন-নন্দন?’’ কিন্তু হনুমানের নামটা তাঁর কিছুতেই মনে আসছে না৷ তখন ওই ঘোরেল অধিকারী মশাই স্মারক ও কনসার্ট পার্টির দিকে তাকিয়ে আনের সুরে গেয়ে উঠলেন---‘‘লঙ্কা দহন করল যে জন তাহার নাম কী?’’
কর্মচারীরাও কম যান না৷ তাঁরাও পাল্টা গানের সুরে বললেন---‘‘ভাগের বেলায় পাই সিকি আমরা জানি কী?’’
অধিকারী মশাই তখন বিন্ধ্য পর্বতের মত মাথা নত করে গাইলেন---‘‘আজ হতে তোমার আমার সমানে সমান৷’’
সন্তুষ্ট চিত্তে কর্মচারীরা গেয়ে উঠলেন---‘‘পবনের পুত্র সেই বীর হনুমান৷’’
গীতাভিনয় সেদিন ভালই জমেছিল৷