বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

মহাজীবনের টুকরো কথা

পরিচয় গুপ্ত

 

(১) অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের স্ত্রী প্রায়শই তাকে কাজে যাওয়ার সময় আরও পেশাদার পোশাক পরার পরামর্শ দিতেন৷ আইনস্টাইন সবসময় বলতেন, ‘আমি এটা কেন পরবো? ওখানে সবাই আমাকে চেনে৷’ কিন্তু যখন তাকে প্রথমবারের মতো একটি বড় সম্মেলনে যোগ দিতে হলো, তখন তার স্ত্রী তাকে একটু সাজতে অনুরোধ করলেন৷ এর উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আমি এটা কেন পরবো? ওখানে কেউ আমাকে চেনে না!’

আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধি ও বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

বাঙলার হাত ধরেই নতুন ভারত গড়ে উঠবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

সংবিধানের অঙ্গীকার মেনে জনগণের হাতে আর্থিক ক্ষমতা দিতে হবে

প্রাউটিষ্ট

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী দেশ শাসনের জন্যে ভারতের নিজস্ব সংবিধান প্রবর্ত্তিত হয়৷ তারপর ৭৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে৷ আজ দেশের নাগরিককে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্যে লাইনে দাঁড়াতে হয়৷ সীমাহীন অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক সংঘাতে প্রতিনিয়ত পদদলিত হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার৷ পরিতাপের বিষয় এই যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে এগুলি হয়ে চলেছে৷ অথচ শাসক দলেরই প্রধান দায়িত্ব সংবিধানের অঙ্গীকারগুলি পালন করা৷ মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা৷

ভারত যুক্তরাষ্ট্রে সরকার হবে মানবতাবাদী সাম্প্রদায়িকতা বর্জনকারী

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি দলকেই দেখা গেল তাদের একমাত্র লক্ষ্য জনসেবা নয়, ছলবল কৌশলে শাসকের গদীতে যাওয়া ও সেই গদীকে আপ্রাণ রক্ষা করা৷ তারজন্য যদি সারাদেশটাকে একেবারে গোল্লায় পাঠাতে সেটাও করতে এইসব দলতন্ত্রী সরকারগুলো পিছু পা হবে বলে মনে হয় না! যদি সেটা না হতো তা হলে সম্পদশালী সেই ভারতবর্ষটাকে বাঁচাতে মহান দেশ নেতা নেতাজীর অনুরোধ মেনে সেই নরমপন্থী কংগ্রেসের নেতারা মারাত্মক ক্ষতিকারক ভারত জননীকে রক্তাক্ত করে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিকে মেকী স্বাধীনতাটা প্রত্যাখ্যান করতো ধান্দাবাজ ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য!

সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়ের কেন্দ্রবিন্দু আনন্দনগর

প্রবীর সরকার

পশ্চিম বাঙলায় পুরুলিয়া জেলা নোতুন করে অন্তর্ভূক্তির আগে বিহারের ছোটনাগপুর ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ পুরুলিয়ার পূর্ব নাম ছিল মানভূম৷ মানভূমের সদর মহকুমা ছিল পুরুলিয়া বা পুরুল্যে৷ ১৯৫৬ সালে এই জেলা ঘটিত হয়৷ খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীর এখানে এসেছিলেন৷ এটি বজ্রভূমির অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ কুর্মি, ভূমিজ, বাউরি, কোবা, মাহালি, মুণ্ডা এই স্থানের আদিবাসী পরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী এই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এসে বাস করে৷ ধীরে ধীরে তারা এই এলাকার মানুষ হয়ে যায়৷ পুরুলিয়ায় বা পারুল্লা (পুরুল্যে) এর আদি অর্থ হ’ল পাথুরে ডাঙ্গার মধ্যে অবস্থিত গ্রাম৷ আর মুণ্ডা বা মোড়ল হ’ল গ্রামের কর্তা৷ মানস

নীতিহীন রাজনীতির সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিষ্ট শোষকরা শাসকের মাথায় চেপে বসেছে

প্রবীর সরকার

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

               ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

               বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

               নির্বাসিতা তুমি

               সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

আমার প্রাণের প্রাণ

আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত

১৯৬৩ সালের মাঝামাঝি সময়ের এক সন্ধ্যার কথা৷ পরমপূজ্য শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি যাঁকে তাঁর শিষ্যরা ৰাৰা বলে ডাকেন ---তিনি জামালপুর শহরের বাইরে একটি নির্জন মাঠে একটি কবরের ওপর বসেছিলেন৷

এই জায়গায় প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় তিনি সান্ধ্যভ্রমণে আসতেন---বেশ কিছু শিষ্যও সান্ধ্যভ্রমণে তাঁর সঙ্গী হতেন ---বাঘের কবরের ওপর বসে নানান বিষয়ে আলোচনা হত৷