সংস্কৃত ভাষায় ‘মিত্র’ শব্দের দু’টো মানে৷ শব্দটিকে যদি ক্লীবলিঙ্গে ব্যবহার করা হয় তার শব্দরূপ হৰে ‘মিত্রম্’ মিত্রে, মিত্রাাণি সেক্ষেত্রে ‘মিত্র’ শব্দের মানে হৰে, colleague, সহকর্মী বা সমকর্মী৷ আর ‘মিত্র’ শব্দটিকে যদি পুংলিঙ্গে ব্যবহার করা হয় যার শব্দরূপ হবে ‘মিত্রঃ, মিত্রৌ, মিত্রাঃ’ তখন তার মানে হৰে ‘সূর্য’৷ হেমন্ত ঋতুতে প্রাচীনকালে অনার্যদের মধ্যে শস্যবৃদ্ধির কামনায় সূর্যপূজার প্রচলন ছিল৷ ৰারান্তরে ৰলেছি, আর্যদের কাছে সূর্য ছিল পুরুষ-দেবতা আর চন্দ্র ছিল স্ত্রী-দেবতা৷ বিহার অঞ্চলে হেমন্ত ও বসন্তে যে ছট্ পূজা (কার্তিকা ছট্ ও চৈতী ছট্) হয় তা’ এই সূর্য পূজা৷ যেহেতু এই পূজাটির উৎস অনার্য-ভাবনা তাই এতে ব্রাহ্মণ-পুরোহিত ৰা সংস্কৃত মন্ত্রের প্রয়োজন হয় না৷ জাতিবিচার ও অধিকারভেদও নেই৷ সাধারণ মানুষ এই দেবতাকে ‘ছট্ মাঈ’ ও ‘ছট্টী মাঈ’ ৰলে থাকেন অর্থাৎ তাঁরা সূর্যকে স্ত্রী-দেবতা রূপেই মেনে থাকেন৷ বাঙলাতে এই হেমন্ত ঋতুতে সূর্যপূজা করা হয় একটু অন্যভাবে কিন্তু তা করা হয় প্রতি সূর্যবারে (রবিবারে)৷ এই পূজাকে কথ্য ৰাংলায় ‘ইতু’ পূজা ৰলা হয় (মিত্র> মিত্তর/মিত্তির>মিত্তি>মিতু>ইতু)৷
(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের লঘুনিরক্ত থেকে সংগৃহীত)