রমপুরুষের কৃপা ও করুণার সহিত মাইক্রোবাইটামের বিশেষ যোগ সূত্র আছে৷ আর এই বিশেষ যোগ সূত্র কোথায় তা জানতে হলে বা বুঝতে হ’লে আমাদের এই মানব দেহের চক্রগুলির অবস্থান অনুযায়ী কটি ভাগ আছে ও চক্রগুলির বৈশিষ্ট্য ও তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে৷
আমাদের এই মানব দেহে মূলাধার হতে উর্দ্ধ দিকে সহস্রার চক্র পর্যন্ত মোট নয়টি চক্র আছে৷ এদের মধ্যে মূলাধার হতে মনিপুর পর্যন্ত এই অংশটিকে বা স্তরটিকে বলে ভৌতিক স্তর বা শারিরীক স্তর Physical diamention কিন্তু মনিপুর হতে বিশুদ্ধচক্র পর্যন্ত এই স্তরটি বলা হয় শারির-মানসিক স্তর Physico Psychological Sphese নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের স্বভাব ও কার্যকারিতা অনুযায়ী এই স্তরে এরা প্রত্যক্ষভাবে প্রকৃতির দ্বারা কাজ করে৷ এই স্তর এদের কার্য করার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ৷ নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম প্রত্যক্ষভাবে গুরুচক্রে উঠতে পারে না৷ শুধুমাত্র কখনও কখনও বিরাট প্রভাবশালী ব্যষ্টির দ্বারা মানস আধ্যাত্মিক শক্তি সমগ্র যোগের সাহায্য আজ্ঞাচক্র পর্যন্ত উঠতে পারে৷ বিশুদ্ধ চক্রের উর্দ্ধে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অধিরোহনকে ‘ঋষ্টি’ বলে৷ এই ঋষ্টি’ অর্থাৎ নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের উর্দ্ধগতি মানুষের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে ও নানা অমঙ্গল বা অশুভ দিক ডেকে আনে৷ তাই আমরা নিশ্চয়ই নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের ঊধর্বগতিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব৷ এখন, শরীরের নিম্নদেশের চক্রগুলিতে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে৷ তাই দেখা যায়, কোমর, কিডনী জনন তন্ত্র প্রভৃতি অঙ্গতে এরা নানান রোগ সৃষ্টিতে দ্রুত সক্রিয় হয়৷ মনে রাখতে হবে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম কোনমতেই মানব মহিমার সর্বোচ্চচক্র গুরুচক্রকে স্পর্শ করতে পারে না৷
শুধুমাত্র পজেটিভ মাইক্রোবাইটামেরা বিশুদ্ধ চক্র হতে আজ্ঞাচক্রে স্বাধীনভাবে কাজ করে৷ আজ্ঞাচক্রকে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম স্পর্শ করতে পারে ও এরপর ওকাল্ট চক্র পর্যন্ত অর্থাৎ আজ্ঞাচক্র হতে গুরুচক্র ও সহস্রার চক্র পর্যন্ত উঠতে পারে৷ আজ্ঞাচক্র হল পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম গুরুচক্র পর্যন্ত ওঠে তবে একে বলা হয় ‘কৃপা৷ আবার আজ্ঞাচক্র থেকে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম মানব মহিমার সর্বোচ্চ বিন্দু সহস্রার চক্র পর্যন্ত উঠে পড়ে তবে একে বলা হয় করুণা৷ অতএব কৃপা ছাড়া করুনা পাওয়া সম্ভব নহে৷ মাইক্রোবাইটাম সহস্রার চক্রকে স্পর্শ করে কিন্তু সহস্রার চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ গুরুর কৃপা ও করুণা না হলে মোক্ষপ্রাপ্তি হয় না৷ তাই গুরুর কৃপা ও করুণা পাওয়াটাই শেষ কথা৷ এই কারনেই শাস্ত্রে বলা হয়েছে ---“গুরুকৃপা হি কেবলম্”৷
- Log in to post comments