লাউ একটি নির্দোষ সবজি৷ স্নায়ুতন্তু ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্দ্রন্ত্ব্ব্জন্দ্বব্দগ্গ, স্নায়ুকোষ ত্ত্বন্দ্বব্জ্লন্দ্ব ন্তুন্দ্বপ্তপ্তব্দগ্গ, লিবার ও কিডনীর পক্ষে এটি শুভ ফলপ্রদ৷ স্মৃতিশক্তি ৰৃদ্ধিতেও লাউ সাহায্য করে৷ অর্শ, যৌন অক্ষমতা ও ক্লীবতা, সুপ্তিস্খলন রোগে লাউয়ের তরকারী পথ্য ও ঔষধ৷ লাউ কথঞ্চিত পরিমাণে চর্ম রোগকেও প্রতিরোধ করে৷
লাউয়ের খোলা (লাউ বাকলা–কচি অবস্থায়) মুখে লালা এনে খাদ্য হজমে সাহায্য করে৷ লাউয়ের খোলা যকৃতের পক্ষে খুবই ভাল৷ লাউয়ের ৰীজের তৈলও চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷
তিক্ত স্বাদযুক্ত লাউ খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয় না, ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ এর ৰীজের তৈল মাথার খুসকী রোগের উত্তম ঔষধ৷ এই লাউয়ের খোলা বায়েস/বাইস হিসেবে একতারায় ব্যবহূত হয়৷ লাউয়ের পায়েস ছাড়াও দধি সহযোগে লাউয়ের ‘রায়তা’ একটি উত্তম ভোজ্য৷
কলমী শাক স্নায়ুকে সুস্থ রাখে
জলের কলমী সাত্ত্বিক৷ এটি একাধারে পেটকে ঠাণ্ডা রাখে, স্নায়ুকে সুস্থ রাখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে৷ সাধারণতঃ অল্প তেলে রান্না করে মাঝে মাঝে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷৷ তবে ডাঙ্গার কলমী বা নালিতা শাক সর্বথা পরিত্যাজ্য৷
ডাঙ্গার কলমী মানসিক উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকারক কারণ সে তামসিক৷ জলের কলমীকেই কলম্বী বলা হবে–ডাঙ্গার কলমীকে নয়৷ ডাঙ্গার কলমীকে বলা হয় নালিতা শাক (নালিকা শাক নয়–নালিতা শাক বা নালতে শাক)৷
অন্যান্য রোগে কলমী
কলমী শাক, লাউ, ছাঁচি কুমড়ো সুপ্তিস্খলন ও যৌন অক্ষমতা তথা ক্লীবতা রোগে অত্যন্ত সুপথ্য৷ ‘‘কলমী শাকের ডগা ছেঁচে প্রত্যহ প্রত্যুষে এক ছটাক মাত্রায় পান করলে সিফিলিস বা উপদংশ রোগের ৰীজ বিনষ্ট হয়৷’’
বর্ষাকালে কলমী শাক খাওয়া উচিত নয় কেন
বর্ষাকালে লোকে কলমী শাক খায় না৷ বর্ষাকালে কলমী শাকের পাতায় ও ডাঁটায় এক ধরনের কীট জন্মায়৷ লোককে যুক্তি দিয়ে ৰোঝালেও অনেক সময় তারা মানতে–ৰুঝতে চায় না৷ তাই ভয় দেখিয়ে ৰলা হয় সোজা রথের দিন থেকে উল্টো রথের দিন পর্যন্ত জগন্নাথের জ্বর হয়৷ তিনি কলমী পাতায় শুয়ে থাকেন৷ তাই ওই সময় কলমী শাক খেতে নেই–খেলে পাপ হয়৷