নীলকন্ঠ সদাশিব বহুল প্রচারিত,
ধর্ম গুরু আনন্দমূর্ত্তিজীও
নীলকন্ঠ হন, সুদৃঢ় তাঁর ব্রত৷
পাপশক্তির কু চক্রান্তের শিকারে
বন্দী হয়েছিলেন কারাগারে,
২৯শে ডিসেম্বর ১৯৭১-এর পটনায়
সিবিআইয়ের কু-নজরে৷
মিসা আইন বিরোধী পক্ষের যাকে তাকে
গ্রেফতারের পরোয়ানা জারী করে৷
সেই আইনেই বন্দী হয়েছিলেন তিনি
মিথ্যা ও বিনা বিচারে৷
তার পরে অকথ্য নির্যাতন
চলতে থাকে তাঁর উপরে,
ইতিহাসে আছে অসংখ্য সাক্ষী,
যারা সাজা পেয়েছিলেন বিনা বিচারে৷
অবশেষে অসুস্থ গুরুদেব
চিকিৎসার আর্জি জানান কারা কর্তৃপক্ষের কাছে,
সেই সুযোগেই বিষ প্রয়োগ
করেছিল দুর্বৃত্তেরা, হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল
তিয়াত্তরে ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে৷
সেই বিষাক্ত বিষ হজম করে
নীলকন্ঠের পরিচয় দেন যিনি,
বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় জর্জরিত হয়েও
ধর্ম রক্ষা করেন তিনি৷
সেই বিষপ্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের
দাবি আজও আছে অবিচল৷
তিনি ১৯৫০ দিন অনশনে কাটান জীবন,
অটুট ছিল তাঁর আত্মবল৷
পরে পাপশক্তি কংগ্রেস সরকারের হয় পরাজয়৷
আনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গই একমাত্র ধর্ম,
তাদেরই হয় শুভ বিজয়৷
ভেদাভেদহীন অধ্যাত্মপথ
আনন্দমার্গের উচ্চ দর্শন,
প্রাউট-এর প্রচার আলোর বর্তিকা দিবে,
বন্ধ করিবে সব শোষণ৷
প্রতিবাদী হও প্রতিরোধ গড়,
হোক মানবতার উন্মেষ৷
নীলকন্ঠ দিবসে ব্রত নাও সবে,
গুরুদেবকে প্রণাম জানাই,
গড়িব অধ্যাত্ম পরিবেশ৷
- Log in to post comments