আনন্দনগরে কম্বল বিতরণ
৬ই জানুয়ারী’২৪ আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ, উমানিবাস,আনন্দনগর প্রাঙ্গণে আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলিফ টীম (মহিলা) পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করা হয়৷
৬ই জানুয়ারী’২৪ আনন্দমার্গ মহিলা কলেজ, উমানিবাস,আনন্দনগর প্রাঙ্গণে আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলিফ টীম (মহিলা) পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করা হয়৷
ধর্মগুরু তথা সমাজগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর পশ্চিমরাঢ়ের বন্ধ্যা-পতিত-ট্যাড়-জমিকে অর্থকরী করে তুলতে আনন্দনগরে বহুমুখী পরিকল্পনা দিয়েছেন, যাতে করে স্থানীয় মানুষ আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ নিঃশব্দে ও নিরলসভাবে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে সেই কাজ করে চলেছে৷ আনন্দমার্গ ফার্ম ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বড়মালকা গ্রামে আসামের বঙ্গাইগাঁও জেলা নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিক শ্রী নকুল সাহার আর্থিক সহায়তায় ও প্রত্যক্ষ-তত্ত্বাবধানে পাঁচ হাজার কাজু বাদামের চারাগাছ রোপন করা হয় ও প্রতি বছর সংবৃদ্ধি করা হচ্ছে৷ এই বছর থেকে কাজু গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু হয়৷
২৬ শে জানুয়ারী’২৪ আনন্দনগরে আনন্দমার্গ হাইস্কুল, ডিমডিহা,শ্যামপুর ও অন্যান্য প্রাইমারী স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবস জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পালন করা হয়৷
২৬শে জানুয়ারী’২৪ আনন্দনগরের বড়মেট্যালা আনন্দমার্গ আশ্রমে বাৎসরিক তিন ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্ত্তন, নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷ উমানিবাস আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুলেও প্রজাতন্ত্র দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়৷
আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় আনন্দমার্গ আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন ৩রা জানুয়ারী,২৪ আনন্দমূর্ত্তিজীর বরাভয় আশীর্বাদ মুদ্রার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সুসম্পন্ন হয়৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ভারতের প্রায় সব রাজ্য থেকে ভক্ত আনন্দমার্গীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনদিনের সম্মেলনের বৈশিষ্ট্য ছিল--- ৭২ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্র্ত্তন৷ ৭২ঘণ্টা প্রাক-সমাপ্তি কীর্র্ত্তন পূর্বে কীর্র্ত্তন পরিক্রমা করা হয়৷ প্রতিদিন দু’বেলা মিলিত গুরুসকাস, পাঞ্চজন্য, কীর্র্ত্তন সহযোগে প্রভাত ফেরী, ঈশ্বর প্রণিধান প্রত্যেক আধ্যাত্মিক সাধক নিয়মিত অংশগ্রহণ৷ মার্গগুরু প্রতিনিধি আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত দাদা কর্তৃক দু’বেলা আধ্যাত্মিক ধর্মীয় প্রবচন৷ সহস্রাধিক দুঃস্থ মানুষদের কম্বল ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷ ১লা জানুয়ারী’২৪ উপস্থিত সর্ব সাধারণ ও মার্গীদের জন্যে মধ্যাহ্ণ ভোজনের আয়োজন করা হয়৷ আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের জন্যে প্রতিদিন দু’বেলা সস্তা ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়৷ তিন জোড়া বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গে বৈপ্লবিক বিবাহ বলতে বুঝায় যেখানে কোন জাতপাত, তথাকথিত ধর্ম, দেশ-বিদেশের বিচার করা হয় না, কোন রকমের পণ থাকে না অর্থাৎ তথাকথিত সবধরনের কু-সংস্কার মুক্ত৷ ধর্ম মহা সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিরাট মেলা বসে যেখানে সবধরনের রকমের মাদকদ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ৷ বিভিন্ন ধর্মের জনসাধারণ উপস্থিত হন ও বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচা-কেনা হয়ে থাকে৷ দেশ-বিদেশের মানুষ একত্রিত হন ও নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান হয়৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রভাত-সঙ্গীত ও নব্য-মানবতাবাদ আধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে৷
বাঙ্গালী বাহিনীর ও বাঙালি নারী বাহিনীর সদস্যরা একত্রে শোভাযাত্রা সহকারে উলুবেড়িয়ার বি,টি কলেজে উপস্থিত হয়ে বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা পরম শ্রদ্ধেয় মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে অভিবাদন জানান--- অমিয় পাত্র সহ বাঙ্গালী বাহিনীর সদস্যরা৷ ওখানে বক্তব্য রাখেন সুব্রত সাহা এবং চল চল চল গান গেয়ে চল গানটি গেয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়৷
২৭শে জানুয়ারী’২৪ হুগলী জেলার চন্দননগরের শুভানুধ্যায়ী ও উত্তর ২৪পরগনার শ্যামনগরের শ্রী ভোলানাথ রায়ের সহায়তায় আনন্দনগর শিশু সদনের (চিলড্রেন্স হোম) ছেলেদের বিছানার চাদর ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়৷
এতদিন সেহানা পাড়ায় তাল নেই৷ একথা জানালেন স্থানীয় সমাজ সেবী পঙ্কজ বিশ্বাস, তিনি সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের ও সভাপতি বাড়ী -নহাটায় সেহানা পাড়া৷ ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে যে, এলাকার মানুষ একটি সরকারী হাসপাতালের দাবীতে আন্দোলন করছেন৷ এই ব্যাপারে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সরকারীভাবে বিভিন্ন স্থানে জানানো হয়েছে৷ জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, আমরা এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি হাসপাতালের জন্য৷ অন্য একজন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্যা প্রমিলা সর্দার জানালেন, হাসপাতাল না থাকলে অসুস্থ মানুষদের সমস্যায় পড়তে হয়৷ আমি নিজে জেলাপরিষদ ও জেলা শাসককে জানিয়েছি নহাটার একটি সরকারী হাসপাতালের জন্য৷
সমাজসেবী দুলাল সরকার ও ফটিক বিশ্বাস জানালেন যে, হাসপাতালের বিশেষ প্রয়োজন৷ কোন পেসেন্ট অসুস্থ হলে আমাদের বনগাঁয় নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য৷ নহাটাতে একটি সরকারী হাসপাতাল হলে ১০-২০ টি গ্রামের মানুষেরা উপকৃত হবে৷ চৌবেড়িয়া ১ নং পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অর্চনা বিশ্বাস জানালেন---নহাটায় একটি সরকারী হাসপাতালের প্রয়োজন৷
স্থানীয় সমাজসেবী চন্দ্রনাথ সরকার জানালেন--- স্থানীয় মানুষের সুবিধার্থে নহাটায় একটি সরকারী হাসপাতালের বিশেষ প্রয়োজন৷
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার যদুবেড়িয়া শিবাজী সঙ্ঘ ক্লাব প্রাঙ্গণে জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৪৬তম শুভ পদার্পন দিবস উৎযাপন করা হয়৷ প্রথমে উক্ত অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন অমিয় পাত্র মহাদয়, প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন সুপ্রিয়া ভৌমিক মহাদয়া, এরপর সাধনা শেষে স্বাধ্যায় পাঠ করেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ প্রথমে উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি বরণ ও বাবার প্রতিকৃতিতে মাল্যার্পন৷ অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত তিনি জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বহু মুখী দর্শনের উপর আলোকপাত করেন৷ এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় রাওয়া শিল্পী৷ তারপর ১৯৭৯ সালে বাবা যে উলুবেড়িয়ায় পদধূলি দিয়ে ছিলেন ঐ দিনের সম্পর্কে আলোচনা করেন বকুল রায়৷ অতঃপর উক্ত অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শঙ্কর সরকার৷ বক্তব্য রাখেন তপন ভৌমিক৷ তিনি তার বক্তব্যে বাবার দর্শনের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷ এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় রাওয়া শিল্পী৷ অতঃপর বক্তব্য রাখেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ তার বক্তব্যে আগামী দিনে কীভাবে সমাজে মানুষ,পশু পাখি, গাছ পালা, প্রত্যেকের কীভাবে উপকারে আসবে তার বর্ণনা দেন৷ তারপর দুঃস্থ মানুষদের কে শীত বস্ত্র প্রদান করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অমিয় পাত্র৷ সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অভিনন্দন জানিয়ে এবং দ্বিপ্রাহরিক আহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার বিশিষ্ট মার্গীগণ৷ অবধূতিকা আনন্দ কিশলয়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা, মহাব্রত ব্রহ্মচারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেন যদুবেড়িয়া শিবাজী সংঘ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ৷
আমরা বাঙ্গালী হাওড়া জেলার পক্ষ থেকে বাগনান ষ্টেশনে মহান দেশপ্রেমিক, বাঙলা মায়ের দামাল ছেলে, জলন্ত ধূমকেতু, উল্কার অনলশিখা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে মাল্যর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ বক্তব্য রাখেন ভারতী কুন্ডু, অমিয় পাত্র, সুব্রত সাহা প্রমূখ৷