সংবাদ দর্পণ

অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড সমস্যার সমাধান নয়---দায় এড়িয়ে যাচ্ছে শাসক ও সুশীল সমাজ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ধর্ষন জনিত অপরাধে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে গত ৩রা সেপ্ঢেম্বর সর্বসম্মতিতে বিধানসভায় বিল পাশ হল৷ আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এদিন বিধান সভায় দ্য অপরাজিতা উইমেন এণ্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল লজ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল পেশ করেন৷ শাসক বিরোধী সব পক্ষই এই বিলে সমর্থন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী দেশের সমস্ত ধর্ষিতা নির্যাতিতার প্রতি শোক জানিয়ে বলেন---ধর্ষনের মত নিকৃষ্ট অপরাধে কঠোরতম শাস্তির কথা বলা হয়েছে এই বিলে৷

এদিন প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন আইন-আদালতের প্রয়োজন আছে৷ যোগ্য পুলিশ প্রশাসক ও বিচার ব্যবস্থা অপরাধীদের চরম দণ্ড দিয়ে নির্যাতিতাদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে পারে৷ কিন্তু সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে পারে না৷ শ্রী খাঁ বলেন প্রাউটের দৃষ্টিতে সকল মানুষের জীবনে কতকগুলি সহজাত বৃত্তি আছে৷ কিছু বৃত্তি যেমন মানুষকে বিকাশের পথে নিয়ে যায়, আবার কিছু বৃত্তি মানুষকে নৈতিক অধোগতির দিকে ঠেলে দেয়৷ যে বৃত্তি মানুষকে অধোগতির দিকে নিয়ে যায় তাকে নিরুৎসাহিত করা উচিত৷ কিন্তু আজ ব্যাপক নগ্ণ চিত্র সিনেমা অশ্লীল সাহিত্য মানুষকে নৈতিক অধোগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷

তাছাড়া অর্থেরও একটা ব্যাপার আছে৷ অর্থের অভাব যেমন মানুষকে অধোগতির দিকে ঠেলে দেয়৷ তেমনি উপযুক্ত পথ নির্দেশনা না পেলে অর্থের প্রাচুর্য মানুষকে হীণবৃত্তির পথে নিয়ে যায়৷ মানুষকে অধোগতির দিকে বা বিকাশের দিকে নিয়ে যেতে শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির একটা ভূমিকা আছে৷ শ্রী খাঁ বলেন রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারেন না৷ ঠিক তেমনি আজও মানুষকে এই অধোগতির দিকে ঠেলে দেওয়ার পিছনে তথাকথিত সুশীল সমাজের কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের একটা ভূমিকা আছে৷ তেমনি রাষ্ট্রের শাসকও শুধুমাত্র অপরাধীর চরমদণ্ডের আইন করে দায় সারতে পারেন না৷ সমাজ আজ একদল মানুষরূপী দানবের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন---প্রাউট অপরাধীর চরমদণ্ড চায় না৷ প্রাউটেরমতে প্রতিটি অপরাধীকেই সংশোধনের সুযোগ দেওয়া দরকার৷ তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন বিচার ব্যবস্থা এতটা ত্রুটিমুক্ত নয় যে সব সময় প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্ণিত করতে পারে৷ তাই কখনও কোন নির্র্দেষ যেন সাজা না পায়৷ ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসী নিয়েও বিতর্ক আছে৷ তাই প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করায় প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে কঠোর সজাগ থাকতে হবে৷ আবার সমাজকে অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত করে উন্নত মানসিকতা গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক জগতের একটা দায়িত্ব আছে৷ সুশীল সমাজ সে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না৷

জনার্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাদপুর চক্রের অন্তর্গত জনার্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩শে আগস্ট, শুক্রবার রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত পঞ্চম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ মেঘলা দিনে জমে উঠেছিল গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ ২২জন প্রতিযোগী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এর অনুনাসিকতা গল্পটি তাদের নিজস্ব ভঙ্গীমায় উপস্থাপন করে৷ ফলাফল ঘোষণার আগে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র গৌরাঙ্গ সামন্ত ‘বানর ও কুমিরের’গল্পটি সকলের সামনে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে৷RAWA সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ মহাশয় ‘শেয়াল ও কুমিরের’ গল্প টি ছাত্র ছাত্রাদের শোনান৷ শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে গল্প টি শোনে৷ সেরা তিন জন প্রতিযোগী মৌপ্রিয়া সিং, অদ্রিজা মান্না, গৌরাঙ্গ সামন্ত সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে শংসাপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ শেষে প্রথম যে হয়েছে সেই মৌপ্রিয়া পুনরায় অনুনাসিকতা গল্পটি শুনিয়ে সকলকে আনন্দ দেয়৷

ঝাড়গ্রামের আনন্দতীর্থ আশ্রমে ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৪ঠা আগষ্ট দুপুর ১২টা হাত ৫ই আগষ্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় ঝাড়গ্রাম জেলার রামচন্দ্রপুরে আনন্দমার্গ আনন্দতীর্থ আশ্রমে৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে মেদিনীপুর ডায়োসিসের বিভিন্ন স্থান হতে ভক্ত আনন্দমার্গীগণ এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করে ডি.এস আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত ও প্রশিক্ষণ সচিব আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন শেষে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত ধর্ম,দর্শন ও কীর্ত্তন মহিমা নিয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সদাব্রত অনুষ্ঠানে ৫০০জন গ্রামবাসীকে উত্তম আহার্য্যে আপ্যায়িত করা হয়৷ যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দক্ষতার ফলে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাফল্য মণ্ডিত হয়েছিল তারা হলেন আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত, শ্রী প্রীতিনাথ মুর্মু, হীরক মাহাত, ভগীরথ মাহাত, সত্যরঞ্জন সেনাপতি ও প্রবীর পাত্র প্রমুখ৷

কেন পিছিয়ে দিতে হল সুনীতাদের ফেরার দিন?

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী সহকর্মী বুচ উইলমোর এখনই পৃথিবীতে ফিরছেন না৷ তাঁদের মহাকাশে রেখেই ফিরে আসছে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযান৷ সেপ্ঢেম্বরের শুরুতেই ওই মহাকাশযান ফিরে আসবে পৃথিবীতে৷ তাতে থাকবেন না সুনীতারা৷ আপাতত তাঁদের মহাকাশে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা৷ নাসা জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে৷ নতুন করে একটি মহাকাশযান তার জন্য পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস)৷ তত দিন সুনীতারা সেখানেই থাকবেন৷ ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ক্রিউ ড্রাগন মহাকাশযানের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে৷

নাসা জানিয়েছে, আগামী ছ’মাস আইএসএসে কাজ করবেন সুনীতা এবং বুচ৷ নাসার পরবর্তী প্রকল্পে তাঁদের যুক্ত করা হয়েছে৷ এই সময়ের মধ্যে মহাকাশে গবেষণা চালিয়ে যাবেন তাঁরা৷ সুনীতাদের এই বর্ধিত মহাকাশ যাপন নাসার কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এর থেকে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে৷ মহাকাশে দীর্ঘ দিন মানুষ থাকলে কী কী হতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথাও জানা যাবে সুনীতাদের মাধ্যমেই৷ কেন পিছিয়ে দিতে হল সুনীতাদের ফেরার দিন?

বোয়িং সংস্থার যে মহাকাশযানে সুনীতাদের ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে৷ মহাকাশচারীদের নিয়ে ফেরা সেটির পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷ সেই কারণেই শেষ মুহূর্তে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা৷ বোয়িং স্টারলাইনার সুনীতাদের ছাড়াই ফিরে আসার ফলে সংস্থার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে৷ অন্তত সাড়ে ১২ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বোয়িং, ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যা ১০৪৮ কোটি টাকা৷

বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে গত ৫ জুন মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ৷ আট দিন পরেই তাঁদের ফেরার কথা ছিল৷ কিন্তু মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে পড়েন দুই নভশ্চর৷ আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই রয়েছেন তাঁরা৷ সেই যাপন আরও দীর্ঘ হতে চলেছে৷

কাগজ সরিয়ে প্লাস্টিকের নোটে আগ্রহী পাকিস্তান

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আর্থিক সঙ্কটের ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানে এ বার নোট বদলে ফেলার ভাবনা৷ কাগজের নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান৷ তার বদলে প্লাস্টিকের নোট নিয়ে আসার ভাবনা ইসলামাবাদের৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, চলতি বছরের শেষের দিকেই এই প্লাস্টিকের নোট বাজারে নিয়ে আসতে চাইছে ইসলামাবাদ৷ নতুন ভাবে নকশা করা এই প্লাস্টিকের নোটগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

সম্প্রতি পাক সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটের ব্যাঙ্কিং ও অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটিকে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর জামিল আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন৷ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরনো কাগজের নোটগুলির বদলে প্লাস্টিকের নতুন নোট নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ ১০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ এবং ৫০০০ পাকিস্তানি রুপির নোটগুলি বদলে নতুন নকশায় বাজারে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর৷ সেনেটের ব্যাঙ্কিং ও অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘পুরনো নোটগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য বাজারে রাখা হবে৷ এর মধ্যে সেগুলিকে বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে তুলে নেওয়া হবে৷’’

প্লাস্টিকের নোট আনা হলেও পুরনো সব নোট একসঙ্গে বাজার থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে না৷ পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রথমে একটি রাশির নোট বাতিল করে দেখা হবে মানুষের মধ্যে কেমন প্রভাব পড়ছে৷ যদি মানুষ এটিকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করেন, তা হলে প্লাস্টিকের অন্য নোটগুলিকেও বাজারে পুরনো নোটের সঙ্গে বদলে ফেলা হবে৷ সেনেটের ওই বৈঠকে এক সদস্য ৫০০০ পাকিস্তানি রুপির নোট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ কারণ তাঁর মতে, অসাধু চক্র এই মোটা অঙ্কের নোটের ফয়দা তুলছে৷ যদিও এখনই ৫০০০ পাকিস্তানি রুপি পুরোপুরি বন্ধ করার পক্ষে মত নেই সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরের৷

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে পলিমার প্লাস্টিকের নোট ব্যবহার করা হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নোটগুলি জাল করা বেশ কঠিন৷ কারণ, এতে উন্নত মানের সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে৷ ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রথম পলিমার প্লাস্টিকের নোট চালু করা হয়েছিল৷

সংস্কৃত পণ্ডিতদের বাসভূমি ভাটপাড়া ভিনরাজ্যের মাফিয়াদের দখলে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাটপাড়া একটি পরিচিত জনপদ৷ একসময় কাকভোরে মানুষ জেগে উঠতো বৈদিক মন্ত্রের উচ্চারণ শুণে৷ এখন সাত সকালে মানুষের ঘুম ভাঙে বোমাগুলির আওয়াজে৷

একদা ভাটপাড়া ছিল সংস্কৃত পণ্ডিতদের বাসভূমি৷ ভট্টাচার্য পদবীধারী পণ্ডিতদের নামানুসারেই ভাটপাড়া নামটা এসেছে৷ ভট্ট (পণ্ডিত)দের বাসস্থান ভট্টপাড়া---ভাটপাড়া৷

কতকগুলি জুটমিলকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় গড়ে ওঠে বিশাল শিল্পাঞ্চল৷ শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করেই অনুপ্রবেশ ঘটে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের৷ শুরু হয় এলাকা দখলের রাজনীতি৷ বাম আমলে দীর্ঘদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ ছিল তড়িৎ তোপদার৷ ক্ষমতার হাত বদলের পর ব্যারাকপুর চলে আসে তৃণমূলের দখলে৷ সাংসদ হন দীনেশ ত্রিবেদী৷ পরবর্তী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং বিজেপির সমর্থনে প্রার্থী হয়ে দীনেশ ত্রিবেদীকে পরাজিত করে৷ পরে অবশ্য অর্জুন আবার তৃণমূলে চলে আসে৷

২০২৪-শের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুনকে তৃণমূল প্রার্থী না করায় আবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়৷ কিন্তু অর্জুন তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের কাছে পরাজিত হয়৷ স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ ভৌমিক সাংসদ হওয়ায় অর্জুন সিং-এর দাপট কিছুটা কমলেও বহিরাগত সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম কমেনি৷ তাই ভাটপাড়ার মানুষের আজও ঘুম ভাঙে গুলি বোমার আওয়াজে৷

আর.জি.কর---অপরাধের উৎস বন্ধের দাবীতে গার্লস প্রাউটিষ্টের মিছিল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে আগষ্ট কলিকাতা আর.জি.কর মেডিকেল কলেজের নির্মম অত্যাচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি ও অপরাধের উৎস বন্ধের দাবীতে গার্লস প্রাউটিষ্টের কর্মীরা শহরে পথ পরিক্রমা করেন৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্যামবাজারে পথ সভার অনুমতি না দেওয়ায় গার্লস প্রাউটিষ্টের কর্মীরা তিলজলা কার্যালয় থেকে বার হয়ে রুবি বিজন সেতু হয়ে গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ ফাড়ি প্রভৃতি এলাকায় পথ পরিক্রমা করে--- বিভিন্ন রাস্তার সংযোগ স্থলে বক্তব্য রাখেন গার্লস প্রাউটিষ্টের নেতৃবৃন্দ৷ তাঁদের দাবী ছিল আর.জি.করে বর্বরোচিত নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে ও অপরাধের উৎস অশ্লীল সিনেমা, গান ও বিজ্ঞাপনে নগ্ণ নারীদেহ প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে৷ মিছিলে নেতৃত্ব দেন গার্লস প্রাউটিষ্টের দিল্লী সেক্টরের সচিব অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা প্রমুখ৷

ভারতে ছাত্র-ছাত্রা আত্মহত্যা মহামারীর আকার নিচ্ছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২৮শে আগষ্ট অ্যানুয়াল আইসি-৩ কনফারেন্স অ্যাণ্ড এক্সপো-২০২৪তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ প্রতিবেদনের শিরনাম ছিল--- ‘ছাত্র আত্মহত্যা’ ভারতে ছড়াচ্ছে মহামারীর মতো৷ ছাত্রছাত্রাদের কাউন্সেলিং করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আইসি-৩ ইনস্টিটিউট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাইস্কুল শিক্ষক ও প্রশাসকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়৷

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে যেখানে বছরে আত্মহত্যার হার বাড়ে ২শতাংশ সেখানে ছাত্র আত্মহত্যার হার ৪ শতাংশ৷ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে গত দু’দশকে ভারতে ছাত্র আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক৷ তাও সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসে না৷ ২০২২ সালে ভারতে মোট আত্মহত্যার ৫৩ শতাংশ ছিল ছাত্র৷ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গত এক দশকে৷ শূন্য থেকে ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত জনসংখ্যা ৫৮কোটি ২০ লক্ষ থেকে কমে ৫৮কোটি ১০ লক্ষ হয়েছে৷ কিন্তু এই সময়ে ছাত্র আত্মহত্যা ৬৬৫৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০৪৪৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সবচেয়ে বেশী ছাত্র আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে৷ আত্মহত্যার এই তথ্যগুলি ন্যাশনাল ক্রাইমব্যুরো পুলিশের এফ.আই.আর থেকে সঙ্কলিত করেছে৷

দধীচি আনন্দ হিতবাদিনী আচার্যার আত্মাহুতির প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে রাঁচি রাজভবন অভিযান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৮শে আগষ্ট’২৪ সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীনি ও পেটারবার থানার দাড়িদ আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ হিতবাদিনী আচার্যার আত্মাহুতির প্ররোচনা কারীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ সহ অন্যান্য দাবী পূরণের উদ্দেশ্য ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচি রাজভবন অভিযান করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ রাঁচি রেলওয়ে ষ্টেশনের কাছে পোদ্দার ধর্মশালা থেকে অভিযান শুরু হয়ে রাঁচি শহরের বিভিন্ন রাস্তা ধরে রাজভবন পর্যন্ত যাওয়া হয়৷

আনন্দমার্গের দাবী-অবধূতিকা আনন্দ হিতবাদিনী আচার্যার আত্মাহুতির প্ররোচনাকারী ও দোষী অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ ২) প্রস্তাবিত ভারত মালা জাতীয় সড়কের জন্যে বোকারো জেলার পেটারবার থানার দাড়িদ গ্রামে অবস্থিত ‘আনন্দ শুভচেতনা’ মাষ্টার ইউনিট অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ টাকা জমির আইনগত মালিককে অবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে৷ ৩) দাড়িদ গ্রাম ও তৎসংলগ্ণ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ শিক্ষা ও জনকল্যাণের জন্যে পরিচালিত আনন্দমার্গ বিদ্যালয়ের পুনর্বাসনে বিকল্প জমি প্রদান করতে হবে৷ ৪) যতদিন উপরোক্ত তিনটি দাবি পূরণ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত দাড়িদ ‘আনন্দ শুভচেতনা মাষ্টার ইউনিট’ ও আশ্রমের অধিগ্রহণ করা যাবে না৷ ৫) দাড়িদ আনন্দ শুভচেতনা মাষ্টার ইউনিট ও আশ্রমে বসবাসকারী মহিলাদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে৷

পোর্টেবল হাসপাতালের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আকাশ থেকে নেমে এল ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল৷ প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে৷ ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে এই উচ্চতা থেকে প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে প্রথম বার সফল ভাবে নামল ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল৷ গত শনিবার সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভরত ভূষণ বাবু৷ কী ভাবে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে, তার একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন তিনি৷ দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ তাঁবুর মতো হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ট্রমা কেয়ারের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা৷ দেশীয় উপায়ে তৈরি এই ‘পোর্টেবল’ হাসপাতালগুলিকে বলা হয় আরোগ্য মৈত্রী হেল কিউব৷ এগুলির মাধ্যমে কোনও প্রত্যন্ত এলাকাতেও সহজেই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব৷ দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালগুলির সুফল মিলবে বলে আশা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভীষ্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই হেলথকিউবগুলি তৈরি করা হয়েছে৷ কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এই কিউবগুলি দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কার‌্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷ উল্লেখ্য, হেলথকিউবগুলি হল বিশ্বের প্রথম ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল যা বিমান বা হেলিকপ্ঢারে বহন করা যায়৷ এর আগে আগ্রাতেও পরীক্ষামূলক ভাবে এই আরোগ্য মৈত্রী কিউব এয়ারলিফ করা হয়েছিল৷ এক একটি পোর্টেবল হাসপাতালের ওজন প্রায় ৭২০ কেজি৷ এক বার মাটি স্পর্শ করার পর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই এই হাসপাতালের ভিতরের সামগ্রী গোছানো সম্ভব৷