সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৬ ই সেপ্ঢেম্বর, কাঁথি:- কাঁথির কুমারপুর এলাকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রত্নগর্ভা মাতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী প্রয়াত বঙ্কিম বেরা মহাশয়ের সহধর্মিনী শ্রীমতি জ্যোৎস্না বেরা গত ১২ই সেপ্ঢেম্বর সকালে প্রয়াত হন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর৷ ওই দিন আনন্দমার্গ চর্যাচর্য রীতিমতে তাঁর মরদেহ সৎকার করা হয় খড়্গচণ্ডী মহাশ্মশানে৷
আজ তাঁর নিজ বাসভবনে কাঁথি ইউনিটের সকলমার্গী ভাইবোন ও পরিবারের সদস্য- সদস্যা, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে শ্রদ্ধানুষ্ঠান ও স্মরণসভা আয়োজন করা হয়৷ প্রথমে প্রভাত সংগীত লভি যদি পুনঃ মানব জনম, করে যাবো আমি তোমারই কাজ ’-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়৷ তারপর মানব মুক্তির মহামন্ত্র ’বাবা নাম কেবলম’ কীর্তন, সমাজ মন্ত্র, মিলিত সাধনা ,গুরু পূজা,চরম নির্দেশ ,স্বাধ্যায় পাঠ, শ্রাদ্ধ বিষয়ে আধ্যাত্মিক আলোচনা ,শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও স্মরণসভা করা হয়৷ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন কাঁথি ও তমলুক ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য এবং মৃতার প্রতি স্মৃতিচারণা করেন উপস্থিত কাঁথি ইউনিট সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ মহাশয়,কার্যকরী সম্পাদক বিদ্যাসাগর মাহাতো, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, মৃতার কন্যা তপতী সামন্ত ,জামাতা অজিত সামন্ত ,আত্মীয় দীনেশ প্রধান ও অন্যান্য উপস্থিত প্রতিবেশী ,আত্মীয় -স্বজন ,বন্ধু-বান্ধব৷ প্রত্যেকেই তাঁকে রত্নগর্ভা মাতা হিসেবে উল্লেখ করেন কারণ তিনি তাঁর সুযোগ্য সন্তানকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বক্ষণের সন্ন্যাসী রূপে উৎসর্গ করেছিলেন৷ তাঁর দ্বিতীয় পুত্র আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আধ্যাত্মিক প্রচার ও সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন৷ উল্লেখ্য তিনি জীবদ্দশাতেই তাঁর তিন পুত্র সন্তানকে হারান৷ বর্তমানে তিনি রেখে গেলেন তার কন্যা,জামাতা,পুত্রবধূ ,নাতি, নাতনিপরিবারের অন্যান্য সহ অসংখ্য প্রিয়জন৷ তাঁর জীবদ্দশাতে বহু সন্ন্যাসী -সন্ন্যাসিনী তাঁর আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন মানুষের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা, তাঁর পরম স্নেহপরায়ণতা এবং কর্তব্য পরায়নতা ও আনন্দমার্গের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিয়ে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণা করেন৷ তিনি ছিলেন এক সত্যিকারের মহীয়সী নারী৷ স্মৃতিচারণায় উঠে আসে পরম পুরুষ শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তিজীর সাথে তাঁর সম্মুখ সাক্ষাতের বিভিন্ন কাহিনী যা এক কথায় লোমহর্ষক৷ অনুষ্ঠানের শেষে সকলেই জোৎস্না দেবীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ও মাইক্রোমেটামজল সেবন করেন৷