মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে ব্যবসা উঠছে নানা প্রশ্ণ
১৪৪ বছর পরে একবার মহাকুম্ভ৷ সব মানুষের জীবনে এই অমৃত লাভের সুযোগ আসবে না৷ যারা সুযোগ পাবে তাও জীবনে একবারই৷ যে দেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত অর্ধশতাংশের বেশী মানুষ এখনও কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে তথাকথিত ধর্মীয় আবেগে ছুটে চলে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে---সেই মানুষকে সুচতুর কৌশলে মহাপুণ্য সঞ্চয়ের লোভ দেখিয়ে লক্ষ কোটির ব্যবসা করার সুযোগও হয়তো ১৪৪ বছরে একবার আসে৷ তাই ব্যবসাদার ব্যবসা ফেঁদে বসেছে, মানুষ ছুটছে অমৃতের আশায় মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে মানবতাকে পদপিষ্ট করে৷
অমৃতলাভের আশায় অন্ধ আবেগে ছুটছে উদ্ভ্রান্ত মানুষ মরছে পদপিষ্ট হয়ে৷ মহাকুম্ভে অমৃতলাভের আশায় জনস্রোত নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে প্রয়াগরাজ৷ ধর্মের নামে ব্যবসায় মত্ত উত্তরপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্র সরকার সেদিকে দৃষ্টি নেই৷ সরকারের লক্ষ্য সেই সব কোটিপতিদের দিকে৷ তাদের জন্যে লাখো টাকার তাঁবু আসা যাওয়ার ভি.আই.পি ব্যবস্থা৷ আর পদপিষ্ট হয়ে যারা অকালে ঝরে গেল তাদের প্রকৃত হিসাব কি সরকারের কাছে আছে৷ যদিও সরকারী হিসেবে মহাকুম্ভের বলি ৫৫ জন৷ কিন্তু সরকারী তথ্য বিশ্বাস করে ক’জন!
যে মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে এত মানুষকে আবেগে ভাসিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল সেই মহাকুম্ভের সত্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ণ উঠছে৷ ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে৷ মানুষকে টেনে আনার আসল উদ্দেশ্য কি ব্যবসা করা! বিজেপি সাংসদ খাণ্ডেলওয়ালার দাবি ব্যবসা তিন লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের দাবী বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ আমি এ বিষয়ে অজ্ঞ তবে যাঁরা গবেষণা করেন তারাই আসল সত্য বলতে পারবেন৷ অধ্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন--- যদি ১৪৪ বছর আহে মহাকুম্ভ হয়ে থাকে তবে সাল তারিখ জানাক৷ বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার পুরোহিত কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন ১৪৪ বছর এই প্রথম এমন যোতত্ত্ব কতটা গ্রহণযোগ্য সন্দেহ আছে৷ যারা মহাযোগ তত্ত্বের প্রচার করছে তাদের কাছেও কোন প্রামান্য তথ্য নেই৷ সুকৌশলে একটা মিথ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যবসার লক্ষ্যে৷ অর্দ্ধ শতাধিক লাসের উপর দাঁড়িয়ে যোগীর সরকার সেই লক্ষ্যে সফল৷