সংবাদ দর্পণ

মেদিনীপুরে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুরের রয়েল একাডেমীতে গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে৷ ২১শে আগস্ট, বুধবার মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জে অবস্থিত রয়েল একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হল গল্প বলা প্রতিযোগিতা৷ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এর ‘অনুনাসিকতা’ গল্পটি উক্ত বিদ্যালয়ের ৩২জন প্রতিযোগী সুন্দরভাবে পরিবেশন করে৷ বিচারক হিসেবে উপস্থিত পাঞ্চালী চক্রবর্তী ও গোপা বন্দোপাধ্যায় সকলের গল্প শুনে যে পাঁচজন সেরা প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করেন তারা হল- শ্রীয়াদিতা শাসমল,পৌলমী বিষই, অদ্রিজা সিনহা, আরোহী আঢ্য ও সুকল্প দেবনাথ৷ প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় সফল পাঁচ প্রতিযোগী সহ সকলের হাতে৷

বিশ্ব উষ্ণায়ণ---বিজ্ঞানীদের আশার কথা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে বাড়ছে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা৷ গত কয়েক বছরে ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চড়েছে উষ্ণতার পারদ৷ তাই মাত্র ০.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম গরমে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে নারাজ বিজ্ঞানীরা৷ বরং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিশ্ব উষ্ণায়নের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবগুলিই ভাবাচ্ছে তাঁদের৷ ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল ও সমুদ্রপৃষ্ঠে রেকর্ড তাপমাত্রার সাক্ষী পৃথিবী৷ কয়েক বছর আগের রেকর্ডের তুলনায় যা গড়ে প্রায় এক চতুর্থাংশ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি৷ তবে আপাতত খুশির খবর এই যে, একটানা রেকর্ড তাপমাত্রার দিন শেষ! কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসের তুলনায় ২০২৪ এর জুলাইতে তাপমাত্রা খানিক কম ছিল৷ যদিও দু’য়ের ফারাক মাত্র ০.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তবু এটুকুই আশার আলো দেখাচ্ছে পৃথিবীকে৷ কেন ১৩ মাস ধরে একটানা রেকর্ড তাপমাত্রা রইল পৃথিবীতে? কেনই বা হঠাৎ নামল পারদ? এক, বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নকে মাপতে আপেক্ষিক হিসাবে ১৫০ বছর আগের পৃথিবীর তাপমাত্রাকে মাপকাঠি ধরা হয়৷ তাহলে বর্তমানে উষ্ণায়নের মাপকাঠি হল ১৮৫০-১৯০০ সালের মাঝামাঝি সময়ের পৃথিবী৷ কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ওই সময় শিল্পের এত অগ্রগতি হয়নি৷ ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা ছিল কম৷ তাই বায়ুমণ্ডল ও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও কম ছিল৷ সেই তুলনায় ২০২৪ সালের জুলাই ১.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ, যার মধ্যে প্রায় ১.৩ ডিগ্রির জন্য মাঝের দশকগুলিতে শিল্পায়নের ক্ষতিকর প্রভাব দায়ী৷ দুই, এল নিনো৷ এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এক উষ্ণ সমুদ্রস্রোত৷ এর ফলে সারা পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ে, বদলায় দক্ষিণ গোলার্ধের পূবালী বায়ুর গতিপথও৷ এর উল্টো ঘটনার নাম লা নিনা৷ এই সময় পূবালী বায়ুর গতি বাড়ে, কমে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা৷ ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ যার প্রভাব পড়ে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার-সহ দক্ষিণের অন্যান্য দেশগুলিতেও৷ এল নিনো কিংবা লা নিনা আসতে পারে তিন থেকে সাত বছর অন্তর৷ আবহবিদরা বলছেন, চলতি এল নিনো চক্রটি শুরু হয়েছিল এক বছর আগে, ২০২৩ সালের শেষে তা চরমে পৌঁছয়৷ এখন শক্তি ক্ষয় হয়ে নির্বিষ সে৷ আর তাতেই না কি খানিক কমেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা!

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ ও ‘বাঙালী মহিলা সমাজ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আর.জি.করের নির্যাতিতা চিকিৎসক-পড়ুয়া ‘অভয়া’ কাণ্ডের প্রকৃত বিচার ও অবিলম্বে খুনী-ধর্ষকদের কঠোরতম শাস্তির দাবীতে কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা ও রাখী পড়িয়ে ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করে সমাজকে পাপাচার তথা দুর্নীতি মুক্ত করার শপথ নেওয়া হল ‘আমরা বাঙালী’ ও ‘বাঙালী মহিলা সমাজে’র পক্ষ থেকে৷ ১৯শে আগস্ট,২০২৪ রাখীর পূর্ণিমার দিন সোমবার কলকাতার বাগবাজারে সংগঠন গুলির তরফে এক বিক্ষোভ সভা ও রাখী বন্ধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

‘বাঙালী মহিলা সমাজে’র পক্ষে যুব নেত্রী তনিমা বৈরাগী বলেন আজ রাখী বন্ধনের দিনে আমরা আমাদের দাদা-ভাইদের রাখী পড়িয়ে এই শপথ নিচ্ছি যে, সমাজকে,দেশকে পাপাচার-শোষণ মুক্ত করতে আমরা একে ওপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বো৷ একটি বোনকেও যেন আর ‘অভয়া’র মতন নির্মমতম ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়৷ আর.জি.করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার বিভৎসতম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের তরফে কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবীতে বক্তব্য রাখেন৷ এদিন বিকেলে বারাসতে অনুষ্ঠিত ‘অভয়া’র বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সভায় ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন আমরা প্রথম থেকেই আর.জি.কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব৷ আমাদের মহিলা সংগঠন জেলায় জেলায় এমনকি ত্রিপুরা ও অসমের বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে৷ আমরা একটি কথা গোটা বাঙলার মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই ... শুধু অভয়া নয়- পার্কস্ট্রিট, হাসখালি, কামদুনি, বিগত বাম আমলের বানতলা,তারকেশ্বর,বিরাটী, অনিতা দেওয়ান সহ যত অবিচার মহিলাদের ওপর সংগঠিত হয়েছে তার বিচার চাই৷ বাম আমলের অনেক দোষীই হয়ত মারা গেছে তাও সত্যিটা সামনে আসুক৷ আর.জি.কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বেশকিছু রাজনৈতিক দল৷ তারা জনমানসকে প্রভাবিত করে ‘বাংলাদেশ মডেল’ -এ বাঙলার মসনদ দখল করতে চাইছে৷ আর সি.পি.এমের ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কোন নৈতিক অধিকার আছে কি? বিরোধীদের মা-বোন-স্ত্রীকে ক্যাডার লেলিয়ে ধর্ষণ করানোর রাজনীতি বাঙলায় প্রবেশ করিয়েছে এই মার্কবাদী কমিউনিস্ট পার্টি৷ বর্তমান শাসক দলের নেত্রীও তদন্তের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেননি৷ তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে গেছে, আমরা দাবী রাখছি অবিলম্বে তদন্ত শেষ করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে ও প্রত্যেক নারীর ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়ার যথাযথ পদক্ষেপ চাই৷ চিকিৎসার মতন মৌলিক পরিষেবা বন্ধ রাখা অমানবিক৷ প্রতিবাদ হোক, তবে দয়া করে চিকিৎসা বন্ধ করে অমানবিকতার দৃষ্টান্ত রাখবেন না প্রতিবাদীদের কাছে আমাদের এই অনুরোধ রইল৷হাসপাতাল গুলিতে দালাল রাজও বন্ধ করে প্রত্যেকে যাতে সুস্থ পরিবেশ ও সঠিক চিকিৎসা পায় সরকারকে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনেই সহজাত ভোগ বৃত্তি রয়েছে৷ আমাদের উচিত এই ভোগবৃত্তি গুলোকে উৎসাহ দিতে পারে এমন অশ্লীল সাহিত্য-শিল্প-সিনেমা-নীল ছবির মতন জিনিসকে কঠোরভাবে কড়া হাতে নিষিদ্ধ করা৷ মদ, ড্রাগস, গাজার মতন মাদককেও নিষিদ্ধ করতে হবে৷ শুধু তাই নয় স্কুলের পাঠ্যসূচীতে ছোট থেকেই েৈনতিক শিক্ষা’র ব্যবস্থা করে শিশুমনে নীতিবাদের প্রবেশ করাতে হবে৷ ধান্দাবাজ,সুবিধাবাদী উন্মাদ তথাকথিত ‘বিপ্লবী’দের জন্য আমার এই বক্তব্য নয়, যাঁরা সত্যিকারের সমাজের পরিবর্তন চান, যাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে ওই তরুণীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ন্যায্য বিচারের দাবীতে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে আমাদের বার্তা এগিয়ে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই৷ ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ বিবেকানন্দ , নেতাজী সুভাষের রচনাবলী এগুলি তৎকালীন তরুণদের মধ্যে জাগিয়ে তুলেছে দেশপ্রেম, মাতৃ ভক্তি, নারী জাতিকে মায়ের সমান মর‌্যাদা৷ আর আজকের বিপরীতধর্মী নগ্ণ যৌনতা মার্কা অশ্লীল সাহিত্য, সিনেমা ব্লু ফ্লিমের অবাধ প্রদর্শন মানুষকে কি নৈতিক অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না? সুশীল সমাজ ভাবুন৷ সমাজে নৈতিক দৃঢ়তার প্রতিষ্ঠাই সমাজকে এইসব পাপাচার ব্যাভিচার নির্যাতন মুক্ত করবে৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়,মোহন অধিকারী, জয়ন্ত দাশ, অরুপ মজুমদার৷ বাঙালী মহিলা সমাজের পক্ষে সুনন্দা সাহা, প্রণতি পাল, স্বাগতা ব্যানার্জী প্রমুখ৷

সুপ্রিম রায়---আর জি কর সারাদেশে ডাক্তারদের সুরক্ষায় ব্যর্থতা সামনে এনেছে - গোটা দেশে ডাক্তারদের সুরক্ষায় টাস্ক ফোর্স

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

আর.জি.কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় গত ২০শে আগষ্ট শুণানিতে প্রধান বিচারপতি বি.ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন--- কলকাতার একটি হাসপাতালের ঘটনা শুধু একটি ভয়ঙ্কর খুনের মামলা নয়, একটা ঘটনা সারাদেশে ডাক্তারদের সুরক্ষায় লাগাতার ব্যর্থতাকে সামনে এনে দিয়েছে৷ আর একটি মর্মান্তিক ঘটনার জন্যে আমরা অপেক্ষা করতে পারি না৷ তাই কোলকাতা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলা শুণলেও সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিচারপতিরা বিহার, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের উদাহরণ তুলে ধরেন৷ তারপরেই জাতীয় টাস্ক ফোর্স ঘটনের সিদ্ধান্ত জানান সুপ্রিম কোর্ট৷ এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় থাকবেন নৌ-সেনার মেডিকেল সার্ভিসের ডিজি৷ এছাড়া আটজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ছাড়াও থাকবেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব৷

এদিন সুপ্রিমকোর্ট আরও প্রশ্ণ তোলেন--- মৃত দেহ উদ্ধারের পর এফ.আই.আর দেরি কেন? আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হল কেন? অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর তাকে অন্য হাসপাতালে পোষ্টিং দেওয়া হল কেন?

গত ১৪ই আগষ্ট রাতে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ভূমিকা কি ছিল? ওই দিনের ঘটনার প্রতিবেদন দিতে হবে রাজ্যকে৷ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বল প্রয়োগ করা যাবে না৷ কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও নির্যাতিতার নাম, ছবি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় সুপ্রিম কোর্ট উদ্বিগ্ণ৷

কলকাতায় কাশীমিত্র ঘাটে শ্রাবণী পূর্ণিমা উদ্‌যাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে আগষ্ট কলকাতার কাশীমিত্র ঘাটে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মহাসমারোহে উদযাপিত হল শ্রাবণী পূর্ণিমা৷ শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিটি আনন্দমার্গের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন হিসাবে স্বীকৃত৷ কারণ ১৯৩৯ সালের এই তিথিতেই শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী যার লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৮ বছর বয়সে উত্তর কলকাতার বাগবাজারের কাছে কাশীমিত্র ঘাটে কালীচরণ নামে এক কুখ্যাত ডাকাতকে প্রথম দীক্ষা দিয়ে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন৷ সে ছিল নর রক্ত পিপাসু এক নৃশংস খুনী৷ শুধুমাত্র অর্থের জন্য সে বহু মানুষকে হত্যা করেছিল৷ পরশমণির পরশে যেমন পাথরও সোনায় পরিণত হয়৷ ঠিক তেমনি সেই তরুণ প্রভাতের দিব্য পরশে সাধনার গভীর অনুশীলনে কুখ্যাত ডাকাত কালীচরণ পরিণত হল সাধক কালিকানন্দে৷ শ্রাবণীপূর্ণিমা তিথিতে জগতের বুকে আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে তিনি তার নূতন ভূমিকা শুরু করলেন৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কালক্রমে জগদগুরু হিসাবে তিনি বিশ্বে বন্দিত হন৷ শ্রাবণীপূর্ণিমা তিথিতে প্রথম দীক্ষা দানের মাধ্যমে গুরু হিসাবে যে সলতে পাকানো তিনি শুরু করেছিলেন, আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ১৯৫৫সালের ৯ই জানুয়ারী শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শুভসূচনা করেন৷

এদিন কাশীমিত্র ঘাটে কলকাতা ২৪পরগণা, হাওড়া, হুগলী প্রভৃতি জেলা থেকে বহু মার্গী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষ হয়৷ এরপর শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনটি তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন সংঘের প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন--- আনন্দমূর্ত্তিজী কালীচরণকে প্রতীক হিসেবে নিয়েছেন৷ প্রত্যেক মানুষের মনেই একটা করে কালীচরণ আছে৷ প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে কিছু বৃত্তি তাকে বিকাশের পথে নিয়ে যায়, কিছু বৃত্তি তাকে অধঃপথে নিয়ে যায়, বিনাশের পথে নিয়ে যায়৷ আজকের শোসক কুল হীনরুচির অশ্লীল নগ্ণ চলচিত্র, সাহিত্য, সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাজকে অধঃপথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ আর.জি.করের সাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনাও এই অধঃপতিত বৃত্তির প্রভাব৷ কোন আন্দোলন, অপরাধীর চরম দণ্ড সমাজ থেকে এই পাপকে প্রতিহত করতে পারবে না৷ ডাকাত কালীচরণের আলোয় ফেরার পথই সমাজ থেকে পাপ প্রতিহত করতে পারে৷ শ্রাবণী পূর্ণিমা সেই দিন---মানুষকে আলোর পথে চলার প্রেরণা দেয়৷

এরপর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীত ‘শ্রাবণী পূর্ণিমার কথা আজ মনে পড়ে’--- গানটির সুরে উপস্থিত সকলে গলা মেলান৷ সর্বশেষে ভক্ত ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ এদিন আনন্দনগর সহ বিশ্বের প্রতিটি ইয়ূনিটে শ্রাবণী পূর্ণিমা উদ্‌যাপন করা হয়৷

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন ভুক্তি প্রধান সুনন্দা সাহা৷ সঞ্চালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে আমরা বাঙালী-র ডেপুটেশন বেক বাগানে বিক্ষোভ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বাংলাদেশ কাণ্ডে সরব হল ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মৌলবাদী ও উগ্রবাদী সৃষ্ট চলমান হিংসা, বিদ্বেষ, মনীষীদের মূর্তি ভাঙচুর, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংখ্যা লঘুদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ বন্ধ ও ‘হিংসা নয় শান্তি’ এই বার্তা নিয়ে ১৪আগস্ট ২০২৪ ‘আমরা বাঙালী’ দল কলকাতার ‘বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে’র মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকটে স্মারকলিপি প্রদান করে ও কলকাতার বেক বাগানে একটি পথসভা করা হয় দলের তরফে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল ‘বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে’ গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে৷

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিবিকাশ সিনহা ও তপোময় বিশ্বাস জানান, বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ সমাজ মাধ্যমে আপলোডেড ভিডিও, ছবি ও সংবাদ মাধ্যম মারফৎ বাংলাদেশের বহু হিংসাত্মক ঘটনাক্রম দেখে, জেনে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত৷ সংবাদে প্রকাশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কয়েকশো বাঙালী নারী, পুরুষ, শিশু হিংসার বলি হয়েছেন৷ একদল হিংসায় উন্মত্ত দুষৃকতি বাংলাদেশের সাধারণ নিরীহ বাঙালীদের ওপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে,সম্পদ-সম্পত্তি ধবংস করে সন্ত্রাস ও নির্যাতন-নিপীড়নের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছেন৷ এছাড়াও বিশ্ববরেণ্য মনীষী গণের মূর্তি, ছবি ভাঙচুর সহ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতেও সন্ত্রাসের কালো ছায়া নেমে এসেছে৷ এমতাবস্থায় বাংলা ও বাঙালীর কল্যাণে নিবেদিত সংবেদনশীল সংগঠন হিসেবে ‘আমরা বাঙালী’-র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সাধারণ, নিরীহ বাঙালীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করা, বিশ্ববরেণ্য মনীষীদের অবমাননা অসম্মান রোধ করা, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, মান-সম্ভ্রম, জীবন-জীবিকা, সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ সহ প্রকৃত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবী এবং বাংলাদেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দ্রুত নাগরিকদের মনকে ভয় ও আতঙ্ক-মুক্ত করার আবেদন নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করি৷ এদিনের কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব মোহনলাল অধিকারী, বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট প্রবীন আমরা বাঙালী নেতা বকুলচন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ প্রমুখ৷

রাজ্যে বন্ধ হবে বেআইনি টোটোর দাপট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ২০ থেকে ২২ লক্ষ অবৈধ টোটো রয়েছে৷ কিন্তু এর সঠিক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সরকারের হাতে নেই৷ তাই প্রথমে ‘টোটো-সুমারি’র সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ জেলা, ব্লক, পুরসভা কিংবা নির্দিষ্ট কোনও পঞ্চায়েত এলাকার কোথায় কত টোটো চলছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করবে প্রশাসন৷ টোটো মোটর ভেহিকল আইনের আওতায় না পড়লেও বিকল্প উপায়ে তা নথিভুক্তির কাজ শুরু হবে৷ তারপর সমস্ত টোটোতে বসবে ‘কিউআর কোড’৷ সেই কোড স্ক্যান করলেই টোটোর মালিকের যাবতীয় তথ্য, চলাচলের পরিধি সহ সমস্ত বিবরণ সামনে চলে আসবে৷ সেই সঙ্গে অন্যান্য গাড়ির মতো বিশেষ নম্বর সম্বলিত স্টিকারও দেওয়া হবে টোটোগুলিকে৷ শুধু তাই নয়, বাস বা অটোর যেমন নির্দিষ্ট রুট পারমিট থাকে, টোটোর ক্ষেত্রেও আগামী দিনে সেভাবেই যাতায়াতের পরিসর বেঁধে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘টোটোর জন্য রাস্তায় যানবাহনের গতি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে ভূরি ভূরি অভিযোগ আসছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সাফ নির্দেশ, রাজপথের মসৃণ গতি সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তাই আইন মেনে টোটোকে নিয়মের মধ্যে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷’ সেই সঙ্গে মন্ত্রীর আশ্বাস, এর ফলে টোটো চালকদের জীবন-জীবিকা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না৷ বরং আরও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাদের সবরকম সহায়তা করবে৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে পরিবহণমন্ত্রী, সচিব ও বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন৷ সেখানে পুলিসের তরফে অভিযোগ করা হয়, যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য কিংবা জাতীয় সড়কে যাত্রী নিয়ে ছুটছে টোটো৷ প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ শুধু তাই নয়, টোটোর দৌরাত্ম্যে যাত্রী হারাচ্ছে বাস, অটো সহ বিভিন্ন গণপরিবহণ৷ সরকারকে রোড ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রী পরিষেবা দেয় অটো, বাস ইত্যাদি৷ কিন্তু রাস্তায় চলা লক্ষ লক্ষ টোটো থেকে রাজ্য সরকারের কোনও আয় নেই৷ এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে টোটো নিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় শুরু হয়৷

অরবিন্দ স্মরণে---আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৫ আগস্ট ২০২৪ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী অগ্ণিযুগের বিপ্লবের কাণ্ডারি ঋষি অরবিন্দ ঘোষের ১৫২তম জন্মদিবসে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে শ্রদ্ধার্ঘ্যসভার আয়োজন করা হয়েছিল ‘আমরা বাঙালী’র তরফে৷ বারাসাত, ব্যারাকপুর, কলকাতা, ত্রিপুরা সহ বাঙালীস্তান জুড়ে অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন সারাদেশ জুড়ে গত ১৫আগস্ট ভারতবর্ষের (রাজনৈতিক) স্বাধীনতা দিবস মহাসমারোহে উদযাপনের ভীড়ে হারিয়ে যায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অগ্ণিযুগের আন্দোলন ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম কাণ্ডারি অগ্ণিপুরুষ ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিবস৷ এবছর সংঘটনের তরফে তাঁর ১৫২তম জন্মদিবস স্মরণে সমগ্র বাঙলা জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে শ্রদ্ধার্ঘ্য সভার আয়োজন করা হয়৷ প্রকাশ্য সভার মাধ্যমে ঋষি অরবিন্দ ঘোষের অবদান,দিকে দিকে গুপ্ত সমিতি গড়ে তরুণদের মধ্যে স্বাধীনতার আগুন সঞ্চার করে বিপ্লব সংঘটিত করা ও তৎকালীন বীর আত্মত্যাগী বিপ্লবী,স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথাও স্মরণ করে জনমানসে এক বৈপ্লবিক ভাবের সঞ্চার করা হয়৷ এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় নেতা মোহনলাল অধিকারী, প্রণতি পাল প্রমুখ

জাপানে আরও তীব্র ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

একদিন আগেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১৷ এবার আরও তীব্র ভূমিকম্প অর্থাৎ ‘মেগাকোয়েকের’ সতর্কতা জারি করল জাপানের আবহাওয়া দপ্তর৷ এই পরিস্থিতিতে চারদিনের মধ্য এশিয়া সফর বাতিল করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা৷

জাপানে ভূমিকম্পে ১৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ জাপানের দ্বীপ কিউশুর পূর্ব উপকূলের ৩০ কিলোমিটার নীচে৷ এবার আরও তীব্র ভূমিকম্পের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে৷ দেশের এমন পরিস্থিতিতে মধ্য এশিয়া সফর বাতিল করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী৷ ইতিমধ্যেই টোকিও ও পশ্চিম ওসাকার মধ্যে ধীরগতিতে চালানো হচ্ছে বুলেট ট্রেনগুলি৷ প্রশাসনের তরফে মানুষজনকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে৷ দেশজুড়ে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকেও দুর‌্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের ভয়াল রূপকেই ‘মেগাকোয়েক’ বলা হয়৷ যার তীব্রতা সাধারণ ভূমিকম্পের থেকে অনেক বেশি হয়৷ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতি ৯০-২০০ বছরে একবার এই ধরনের ভূমিকম্প হয়৷ শেষবার ১৯৪৬ সালে মেগাকোয়েকে কেঁপে উঠেছিল জাপান৷ ২০১১ সালেও ভূমিকম্প ও সুনামি জাপানকে লন্ডভন্ড করে দেয়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯.০৷

২০২৫-এর আগে সুনীতা ও বোয়িং-কে ফেরানো সম্ভব নয় ---জানাল নাসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস৷ সঙ্গে রয়েছেন সহকর্মী বুচ উইলমোর৷ এ বার নাসা জানাল, তাঁদের ফেরাতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও সময় লেগে যেতে পারে৷ সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই স্পেস এক্সের ক্রু ড্রাগনে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা৷

নাসার কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন, ইঞ্জিনিয়ারেরা সুনীতাদের বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধানের জন্য দিনরাত কাজ করছেন৷ প্রয়োজনে বোয়িং-এর পরিবর্তে সাহায্য নিতে হতে পারে স্পেস-এক্স মহাকাশযানেরও৷ মহাকাশচারীদের বোয়িংয়ে ফেরানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে, না কি স্পেস এক্সের সাহায্য নেওয়া হবে সে নিয়েও নাসার বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছিল মতবিরোধ৷ শেষমেশ নাসা জানিয়েছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকে স্পেস এক্সেই ফিরতে পারেন তাঁরা৷

মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়ে গত ৫ জুন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ওই দুই নভশ্চর পাড়ি দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে৷ অভিযান নিয়ে উত্তেজনাও ছিল তুঙ্গে৷ কারণ, প্রথমত দীর্ঘ অপেক্ষা এবং প্রস্তুতির পর এটিই ছিল বোয়িং-এর প্রথম মহাকাশচারী নিয়ে যাত্রা৷ দ্বিতীয়ত, এই ‘ক্রু ফ্লাইট টেস্ট’ অভিযানের উদ্দেশ্য বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশ সফরের রাস্তা সুগম করা৷ শুরুতে কথা ছিল, ২১ দিন পরেই ফিরছেন সুনীতারা৷ কিন্তু হঠাৎই মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷ স্টারলাইনার ওড়ার আগেও রকেটে হিলিয়াম লিকেজের সমস্যা ধরা পড়েছিল৷ যাত্রাপথে আরও নানা যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়৷ রকেটের পাঁচটি ‘ম্যানুভরিং থ্রাস্টার’ খারাপ হয়ে যায়, সমস্যা দেখা দেয় একটি ধীর গতির ‘প্রপেল্যান্ট ভালভ-এও৷ সব মিলিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সুনীতাদের ফেরা৷

ইতিমধ্যেই ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথ ভাবে নতুন একটি মহাকাশযান মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রু-৯’৷ আগামী সেপ্ঢেম্বর মাসে ওই মহাকাশযান দু’জন বিজ্ঞানীকে নিয়ে রওনা দেবে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে৷ এই যানে মাত্র দু’জনেরই স্থান সঙ্কুলানের মতো ব্যবস্থা রয়েছে৷ মহাকাশ স্টেশন থেকে সুনীতাদের নিয়ে ফের পৃথিবীর দিকে পাড়ি দেবে যানটি৷ আপাতত তাঁদের সুস্থভাবে ফেরানোই বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য৷ নাসা জানাচ্ছে, সব ঠিকঠাক চললে ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরতে পারেন সুনীতারা৷