‘দংশ্’‘অনট’–এর দু’টি রূপ,–‘দংশন’, ‘দশন’৷ ‘দংশন’ মানে কামড়ানো৷ ‘দশন’ মানে দাঁত কারণ দাঁতের সাহায্যে মানুষ কামড়ায়৷ তোমরা দাঁত বলতে দন্ত, দত, দশন প্রত্যেকটি শব্দই ব্যবহার করতে পারো৷ যে মানুষটির দাঁত কুন্দফুলের মত শুভ্র সে কুন্দদন্ত/কুন্দদশন/কুন্দদত এই তিন শব্দেই পরিচিত হতে পারে৷ স্ত্রীলিঙ্গে কুন্দদন্তী/কুন্দদশনা চলতে পারে৷ তবে ‘কুন্দদতী’ ব্যবহারটাই ৰেশী প্রচলিত৷
আমরা ছোটৰেলায় পেত্নীর গল্পে শুনেছিলুম দুই পেত্নীতে সব সময় দারুণ ঝগড়া করত৷ একে অন্যের ২৪ ঘণ্টা খোয়ার করত৷ সম্পর্কে তারা ছিল ননদ–ভাজ৷ একজনের নাম ছিল মিসেস কুলোকর্ণী–তার ছিল কুলোর মত কাণ, অন্য জনের নাম ছিল মিসেস মূলদন্তী (বৈয়াকরণিক বিচারে ‘মূলদতী’ হলে সেটাই ৰেশী শোভন হত)–তার মূলোর মত দাঁত৷ একজনের হাতে থাকত কাঁকড়া ৰিছের (বিচ্ছু–Scorpion) চামড়ার ব্যানিটি ব্যাগ৷ অন্যের হাতে থাকত ডেঞো পিঁপড়ের হাড়ের ব্যানিটি ব্যাগ৷ দু’জনেই হাতে ব্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যখন আকাশ পানে চেয়ে ঝগড়া করত তখন কী খোলতাইটাই যে হত তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না৷
ফুরফুরার জনৈক ফটোগ্রাফার আমাকে বলেছিল–সে ওই দৃশ্য টেকনিকালার মুবি ক্যামেরায় তুলবার জন্যে কড় গুণে গুণে ১১১১ বার চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু প্রতিবারই সে ৰড়তাজপুরে গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে এসেছিল৷ কারণ প্রতিবারই দু’জন পেত্নীই মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তার দিকে তেড়ে এসেছিল৷ কুলোকর্ণীর* স্বামী শ্রীযুক্ত ৰাৰু পিণ্ডিগেলা ভূত (সংক্ষেপে পি. জি. ৰি.) ঝগড়ার চ্যাঁ ভ্যাঁ এড়াবার জন্যে অধিকাংশ সময় মাঠে–ভাগাড়ে, বনে–ৰাদাড়ে, ঝোপে–বাঁশঝাড়ে–শ্যাওড়্ গাছে ঘুরে ৰেড়াত৷ অন্য ভূতেরা যখন তাকে শুধোত–হ্যাঁ গাঁ, তুঁমি সঁব সঁময় ৰাঁড়ীর বাঁইরে বাঁইরে কেঁন থাঁক গাঁ সে বলত–আঁমাঁর হাঁর্টের ব্যাঁমোঁ আঁছে কিঁ নাঁ৷ তাঁই ডাঁত্তঁণার বঁলেঁছেঁ খোঁলাঁ হাঁওয়াঁয় থাঁকতেঁ৷
ভাগাড়ীস্তান রাষ্ট্রের মহিলা কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রিণী হবার জন্যে তারা ৫০০ বছর ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসেছে কিন্তু একবারও কেউ জিততে পারেনি–জিতেছে সাধারণ মানবীরা৷