শারদোৎসবের আলোকে

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির বুকেও আসে পরিবর্তন৷ আর তার প্রভাব মানুষের মনে প্রত্যক্ষ ভাবেই অনুভূত হয়৷ গ্রীষ্মের দাবদাহের পর বর্ষার একঘেয়েমি মানুষের মনকে করে তোলে বিষণ্ণ্৷ এরপর শরতের ফুরফুরে শীতল বাতাস, ঝকঝকে রোদ্দুর, মাঝে মাঝে এক পশলা বৃষ্টির ছঁোয়া আর নীল আকাশে ফালি ফালি মেঘের ভেসে যাওয়া মানুষের মনকে ভারমুক্ত, হালকা করে দেয়৷ প্রকৃতির কোলে কাশফুলের হিন্দোল সূর্যকিরণে ঘাসের পাতায়  শিশিরের ঝিকিমিকি, হাওয়ায় শিউলির সুবাস মানুষের মনে আনন্দের আবেশ ছড়িয়ে দেয়৷ এই শরতের আনন্দময় পরিবেশ বাঙালীর জীবনে নিয়ে আসে বাঙলা তথা ভারতের সর্ববৃহৎ উৎসব---শারদোৎসব৷ বাঙালী ও ভারতীয় সমাজে শারদোৎসবের প্রভাব সুদূরপ্রসারী৷ শারদোৎসব মূলত বাঙলার দুর্গোৎসব ও সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে শ্যামাপূজা তথা দীপাবলী আর এই দুয়ের মধ্যবর্তী ধনদেবী শ্রী লক্ষ্মীর আরাধনা ও সবশেষে সীমিত কিছু জায়গায় জগদ্ধাত্রী পূজা পর্যন্ত বিস্তৃত৷ বাঙলা ছাড়াও কয়েকজন বাঙালী পৃথিবীর যেখানেই বসবাস করুক সেখানেই দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়৷ বাহারে-আকারে-উপচারে দুর্গোৎসবের ব্যবস্থাপনাই সর্বাপেক্ষা ব্যাপক, সর্বজনগ্রাহ্য ও সার্বজনীন৷ মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত দুর্গোৎসবের বিস্তৃতি৷ বড় বড় পূজা কমিটি গুলির প্রস্তুতি প্রায় সারা বছর ধরেই চলে৷ প্রতি বছরের প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কিছু দিনের মধ্যে পরবর্তী বছরের জন্য ভাবনা চিন্তা ও বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়৷ ইদানিং কিছু বিখ্যাত পূজার ব্যয় বরাদ্দ দশ বিশ লক্ষ টাকা তো বটেই অনেক সময় কোটি টাকাকেও  ছাড়িয়ে যায়৷ সুদৃশ্য মণ্ডপ সজ্জার বিষয়বস্তু বা থিম নির্ধারণ, তার জন্য উপর্যুক্ত শিল্পী নির্বাচন, মানানসই প্রতিমা তৈরী ও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার ব্যবস্থাপনা অনেক আগে থেকে না করলে সময়মত সবদিক সামাল দেওয়া সত্যিই খুব কঠিন হয়ে পড়ে৷ সম্প্রতি বহু বড় বড় কর্পোরেট হাউজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সংস্থার প্রচার ও উৎপাদিত পণ্যের বিপণনের জন্য বড় বড় বিখ্যাত পূজোগুলিকে স্পন্সর করে, আর সেই পূজা কমিটিগুলোর হাতে প্রচুর অর্থ তুলে দেয়৷ এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক পূজা কমিটির অর্থাগমের পথ সহজ হয়৷ ফলে অধিক ব্যয় বরাদ্দ সামলাতে অর্থের যোগানের অভাব হয় না৷ সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ফ্লেক্স, ব্যানার ইত্যাদির রমরমা৷ এই ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই নিজ নিজ উদ্দেশ্য সাধিত হয়৷

সঠিক ভাবে অনুধাবন করলে দেখা যায় যে এই শারদোৎসব উদ্যাপনের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক দিক রয়েছে তেমনই আছে সামাজিক তথা ধার্মিক দিকও৷ শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন হয়৷ পূজা মণ্ডপগুলোর বিশাল আকার, কারুকার্য, প্রতিমা-নির্মাণ ও আনুসঙ্গিক অপরিহার্য উপকরণগুলো সংগ্রহ প্রভৃতি কাজে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়৷ প্রতিমা, আলোকসজ্জা ও মণ্ডপসজ্জার বিভিন্ন সামগ্রী ব্যাপক উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলো সমগ্র ভারতে পরিব্যাপ্ত৷ তাই এই বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রভাব সারা দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের ওপর পরে৷ দীর্ঘদিন ধরে চলা শারদোৎসবের সময় মানুষজন সাধ্যমত নতুন বস্ত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ, চর্মজাত দ্রব্য, রূপচর্চার সামগ্রী ক্রয় করে৷ এর ফলে বস্ত্র শিল্প, চর্ম শিল্প ও প্রসাধনীর ক্ষেত্রে বিপুল চাহিদা হয়৷ এই সব দ্রব্যাদি যোগানের জন্য সারা দেশের শিল্প ও অর্থনীতিতে উন্নতি পরিলক্ষিত হয়৷ এই সময় মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ, ঘরবাড়ী রং ও অন্যান্য রকমারী সামগ্রী দ্বারা সুসজ্জিত করার চেষ্টা করে৷ তাই সেই সব জিনিসের চাহিদাও বাড়ে৷ এই সকল কারণে সারা দেশের অর্থনীতিতে শারদোৎসবের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে৷ বহু মানুষ সংবৎসরের উপার্জন এই সময়ে করতে সচেষ্ট থাকে কারণ এই উপার্জনই তার সারা বছর ভরণপোষণ, সংসারপ্রতিপালন, সন্তান সন্ততির লেখাপড়া ইত্যাদি অধিকাংশ ব্যয়ভার বহন করে৷ শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শারদোৎসবের প্রভাব রয়েছে যথেষ্ট৷  প্রথিতযশা শিল্পী গণের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমা ও সুদৃশ্য অসাধারণ মণ্ডপগুলির শিল্পসুষমা সত্যিই মনোমুগ্ধকর আর অপূর্ব শৈল্পিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ৷ শুধু তাই নয়, শারদোৎসব উপলক্ষ্যে সাহিত্য, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও এক নতুন প্লাবন পরিলক্ষিত হয়,৷ বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থার শারদীয়া সংখ্যা,  সাহিত্যিকগণের নতুন সাহিত্য কর্ম, সঙ্গীত জগতেও নব নব সৃষ্টির বিচ্ছুরণ দেখা যায়৷  এ সব কিছুই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট অর্থবহ৷

সামাজিক ক্ষেত্রে শারদোৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, সহাবস্থানের মানসিকতা গড়ে ওঠে৷ সারা বছর ধরে রেষারেষি, মন কষাকষি থাকলেও এই সময়ে মানুষ মনের সব ভেদ-বিভেদ ভুলে মিলেমিশে শারদোৎসব উদ্যাপনে ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসব অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সচেষ্ট হয়৷ ছোটখাট  হীন ভাবনা মিলনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না৷ এছাড়া যাঁরা চাকুরী অথবা অন্য কোন জীবিকার সন্ধানে প্রবাসে বসবাস করতে বাধ্য হন তাঁরাও এই উৎসবের সময়ে কয়েক দিনের জন্য স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করেন ও পরিবারোর অন্যদের সঙ্গে আনন্দযজ্ঞে সামিল হন৷ সারা বছরের গ্লানি ভুলে সাধারণ মানুষ শারদোৎসবের দিনগুলোকে আনন্দমুখর করে রাখে ও সম্প্রীতির শুভবন্ধনে আবদ্ধ হয়৷ উৎসবের এই মিলন মেলার পরিমণ্ডলে সময় অতিবাহিত করার পরে সকলে নতুন উদ্যমে আগামী দিনগুলোকে আরও সুন্দর করতে প্রয়াসী হন৷

শারদোৎসবের অঙ্গ হিসেবে পুরাণ বর্ণিত অসুরদলনী দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা, ধনদেবী লক্ষ্মীমাতা, শক্তিস্বরূপিনী শ্যামা তথা দেবী কালিকা, জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী পূজোর মাধ্যমে ক্ষণিকের জন্য হলেও মানুষের মনে কিছুটা ধর্মভাবের উন্মেষ তথা ভক্তিরসের সঞ্চার হয়৷ যদিও এই ভক্তিভাব বা ধর্মভাব শুধুমাত্র চাওয়া-পাওয়ার প্রার্থনায় সীমাবদ্ধ থাকায় প্রকৃতপক্ষে মানুষের মনের গভীরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে না৷ তাই সত্যিকারের ধর্মাচরণের বা প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে এর কোনও সাযুজ্য তথা সামঞ্জস্য থাকে না৷ গ্রীষ্মের প্রখর তাপে যখন ধরিত্রী শুষ্ক ও তৃষিত থাকে তখন এক পশলা বর্ষণ সেই তৃষিত ধরণীর বিশেষ কোনও উপকারে লাগে না৷ কারণ তার স্বল্প বারিধারা খুব বেশী গভীরে প্রবেশ করার আগেই প্রচণ্ড উত্তাপের প্রভাবে বাষ্প হয়ে উঠে যায়৷ সেই কারণে অধ্যাত্ম চেতনা বিহীন মানুষের শুষ্ক মনে সামান্য ভক্তিভাব জাগ্রত হয়ে অচিরেই বিদায় নেয়৷ বিভিন্ন কুবৃত্তির তাড়নায় ও পরিস্থিতি- পরিবেশের চাপে সুকুমার বৃত্তিগুলো তথা বিবেকবুদ্ধি সঠিক ভাবে ডানা মেলতে পারে না৷ আজকের সমাজে যখন হিংসা, দ্বেষ, জাতিভেদ, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস ও অধর্ম-অন্যায়ের শিকড় ক্রমশঃই মানুষের জীবনী শক্তিকে নিঃশ্বেসিত করে চলছে লাঞ্ছনা-বঞ্চনার আতিশয্যে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মত হাতে দশ প্রহরণ সজ্জিত হয়ে অশুভ শক্তির বিনাশে মানুষের শুভবুদ্ধিকে জাগ্রত করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতেই হবে৷ প্রকৃত অধ্যাত্ম সাধনায় বলীয়ান হয়ে, যম-নিয়মে প্রতিষ্ঠিত  হয়ে তার জীবনের প্রতিটি কাজের সুুষ্ঠু প্রতিপালনের মাধ্যমে মানুষের কুবৃত্তিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে৷ চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সার্ির্বক শুভ চেতনাযুক্ত নব্যমানবতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আপোষহীন মহারণে দুর্বৃত্ত ও দুষৃকতীদের পরাস্ত, পর্যুদস্ত করে সত্যিকারের শোষণহীন মানব সমাজ গড়ে তুলবে৷ তবেই এই দুর্গোৎসব পালন সার্থক হবে৷ দুর্গোৎসবের অপর উৎসব দীপাবলী৷ অমাবস্যার ঘন অন্ধকার দূর করার জন্যে দীপাবলীর আয়োজন৷ এই অন্ধকার শুধুমাত্র অমারাত্রির মধ্যেই নেই৷ রয়েছে মানুষের মনের গোপন গহনে, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে৷ আধ্যাত্ম সাধনার নিরলস অনুশীলন ও সম্যক চেতনার দীপালোকে অন্তরের সমস্ত কুসংস্কার, ভাবজড়তা তথা ডগমার অন্ধকার দূর করে সমাজ দেহের পুতিগন্ধময় আবর্জনাকেবিসর্জন দিতে হবে৷ সমস্ত অপরিচ্ছন্ন, অপরিষ্কারকে করতে হবে নির্মল,  ভুল ও অশুদ্ধকে বিশুদ্ধ৷ নইলে ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত উভয় ক্ষেত্রেই অমানিশার অন্ধকারের ঘনত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাবে, দীপাবলী তার প্রকৃত আলোয় উদ্ভাসিত হবে না৷

শারদোৎসবের বিভিন্ন পূজা বিশেষতঃ শ্যামাপূজা/কালীপূজা ও দীপাবলী উপলক্ষ্যে শব্দবাজি, আতসবাজি পোড়ানোর ফলে পরিবেশে যে দূষণ ছড়ানো হয় তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে মানুষ ও সমগ্র প্রকৃতির ওপর৷ শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা করা, চর্মরোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালীর ক্ষতিকারক মারাত্মক ব্যাধির দ্বারা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী হয় আক্রান্ত৷ শব্দবাজী, মাইক ও ডিজে-র মাত্রাতিরিক্ত ভয়ঙ্কর শব্দে পশু, পাখী, শিশু, বৃদ্ধদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে৷ শব্দবাজি ও ডিজে-র বীভৎস শব্দে অনেকে কর্ণ, স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সম্পর্কিত রোগ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন, এমনকি অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়৷ এছাড়াও যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়৷ বায়ূদূষণ ও শব্দাসুর নিয়ন্ত্রণে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালালেও তা যথেষ্ট কার্যকরী হয়ে উঠছে না৷ তাই প্রতিটি নাগরিককে এ বিষয়ে সম্যকরূপে সচেতন হতে হবে ও প্রশাসনকে আরও সতর্ক তথা সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে---প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন-বিধি চালু ক’রে কঠোরভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে৷

পরিশেষে প্রসঙ্গক্রমে একথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই বিশাল ব্যয়বহুল শারদোৎসবের যৎসামান্য ভাল দিককে বাদ দিলে যে পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়,বাজীর মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলা হয় তার পাঁচ ভাগের এক ভাগও যদি কোনও সুসংহত শিল্পে লগ্ণী করা হ’ত তাহলে হয়তো বহু মানুষের  স্থায়ী কর্মসংস্থান সম্ভব হত৷ এছাড়া প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রার সময় মায়ের প্রসাদ হিসেবে যে মাদক দ্রব্যের ব্যবহার, উচ্ছৃঙ্খল-আচরণ, অসংস্কৃতির কদর্যতা ও শব্দদৈত্যের সন্ত্রাস প্রদর্শিত হয় তা সর্বতোভাবে নিন্দনীয় ও বর্জনীয়৷ কতিপয় উন্মত্ত, উন্মার্গগামী বিকৃতমানসিকতা সম্পন্ন মানুষের (মানবরূপী পশুর) বর্বরতা জনসাধারণের অশান্তি, অসুস্থতা  ও ক্লেশের কারণ হোক তা কোনভাবেই কাম্য নয়৷ এই সকল কু-প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারলেই শারদোৎসবের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় মানুষের মিলনমেলা উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে ও এই উৎসব সার্থকতায় পরিপূর্ণ হবে৷