মর্ত্যে যেমন ভাগীরথী, স্বর্গে তেমনি স্বর্গঙ্গা৷ স্বর্গঙ্গা হচ্ছে ছায়াপথ৷ ছায়া মানে দীপ্তি৷ কথিত আছে, সূর্যবংশীয় রাজা সগরের এক পত্নীর গর্ভে ষাটহাজার পুত্র ও অপর পত্নীর গর্ভে অসমন্ধ নামে একটি পুত্র জন্মে৷ পুত্রেরা উৎশৃঙ্খল হয়ে ওঠে৷ অশ্বমেধ যজ্ঞে অশ্বরক্ষার জন্য পুত্রদের নিয়োগ করলে ইন্দ্র তাদের অশ্ব অপহরণ করে পাতালে কপিলমুনির কাছে রাখেন৷ তারা পৃথিবী খনন করে পাতালে প্রবেশ করে কপিলমুনিকে মারতে উদ্যত হলে তাঁর শাপে ভস্মীভূত হন৷ পুরানে বর্ণিত আছে পরে তাদের বংশের ভগীরথ স্বর্গ থেকে গঙ্গা দেবীকে আনয়ন করলে তার স্পর্শে তারা স্বর্গে গিয়ে তারকা হয়ে যান৷ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষার্ধে সন্ধ্যার পর আকাশের পূর্বদিকে স্বর্গঙ্গার উদয় ঘটে৷ প্রায় উত্তর হতে দক্ষিণ বিন্দু পর্যন্ত দুগ্দ শুভ্রা দীপ্তিময়ী বলয়ার্ধের আবির্ভাব ঘটে৷ এর নাম বিষ্ণু গঙ্গা৷ এই বলয়ের উত্তরপ্রান্তে ধ্রুবমৎস্য নক্ষত্র বেষ্টন করে বিষ্ণুলোক অবস্থিত৷ গঙ্গাকে তাই মনে করা হয় বিষ্ণুপাদোদ্ভবা৷ জ্যৈষ্ঠপূর্ণিমায় জগন্নাথদেব স্বর্গঙ্গা বা মন্দাকিনীতে স্নান করছেন এই কল্পনা থেকেই স্নানযাত্রার উদ্ভব৷
- Log in to post comments