শ্রাবণী পূর্ণিমা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

লেখক
আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য–বহন করে চলেছে৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছিলেন, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতেই সদাশিব তাঁর ধর্মোপদেশ দান শুরু করেছিলেন৷ এই কারণেই শিবভক্তদের মধ্যে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ মার্গগুরুদেব তাঁর আদর্শ তথা দর্শনের ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণও এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে করেছিলেন৷

এছাড়া, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথির সঙ্গে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷

১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথি৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তখন গুরুরূপে আত্মপ্রকাশ করেন নি৷ তাঁর লৌকিক নাম ছিল শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ সেই সময় তাঁর বয়স ১৮ বছর৷ তখন তিনি বিহারের জামালপুরে স্কুলের পড়া শেষ করে কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আইএসসি পড়ছেন৷

এখানে বলে রাখি, শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের জন্ম বিহারের জামালপুরে৷ কিন্তু পিতৃভূমি বর্ধমান জেলার শক্তিগড় ষ্টেশনের নিকটে বামুনপাড়া গ্রামে৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের পিতা শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতা শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ জামালপুর তখন পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানার জন্যে বিখ্যাত৷ এখানে রেলবিভাগে চাকুরী পেয়ে শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার জামালপুরে এসেছিলেন ও এখানে রামপুর রেলওয়ে কলোনীতে থাকতেন৷ এখানেই ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমাতে শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের জন্ম৷ তারপর স্কুলের পড়াশুনাও জামালপুরে৷ জামালপুরে থাকাকালীন শ্রীপ্রভাতরঞ্জন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় যেতেন ও অনেকক্ষণ এখানে থাকতেন৷ এখানকার অনেক অদ্ভূত অলৌকিক ঘটনা শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের বাল্যকালের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত রয়েছে৷ এই সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর বিরাট ঐশী শক্তির পরিচয় দিয়েছেন৷

সে যাই হোক, জামালপুরে হাইস্কুলের পড়া শেষ করে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন এলেন কলকাতায়৷ কলকাতায় বাগবাজারে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মামা শ্রীশরৎচন্দ্র বসু থাকতেন৷ সেখানেই শ্রীপ্রভাতরঞ্জন থাকতেন৷ আর এখানেও প্রতিদিন  সন্ধ্যাবেলা একাকী নির্জন গঙ্গার তীরে বেড়াতেন৷

তখনকার কলকাতা এখনকার মহানগরী কলকাতার মত ছিল না৷ কলকাতার কয়েকটি বিশেষ জায়গাতেই কেবল  লোকবসতি ছিল, সব জায়গায় নয়৷ গঙ্গার তীরটা বেশির ভাগই ছিল নির্জন ও ঝোপ–ঝাড় জঙ্গলে পরিপূর্ণ৷

সেদিন শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যায়ও তিনি গঙ্গার তীরে বেড়াতে বেড়াতে কাশীমিত্র ঘাটের কাছে এক নির্জন বটবৃক্ষতলে উপবেশন করে গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আছেন৷ সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে৷ আকাশের পূর্ণচন্দ্র ও মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে৷ এক মায়াবী পরিবেশ এমন সময় এক ভয়ঙ্কর কুখ্যাত ডাকাত–কালীডাকাত নামেই যার পরিচিতি–ঘুরতে ঘুরতে ওই বটবৃক্ষতলের নিকটে এসে দেখতে পেল সৌম্যদর্শন এক বালক বসে রয়েছে৷ স্বভাবতই সে উন্মুক্ত ছোরা হাতে ওই বালকের পেছনে এসে দাঁড়াল৷ বালকটি পেছনে না তাকিয়েই বলল, সামনে এস৷ কালীডাকাত এই কথা শুনে বিস্মিত হল৷ তবু গর্জন করে বলে উঠল, তোমার কাছে যা কিছু আছে আমাকে দিয়ে দাও৷

প্রভাতরঞ্জন অবিচলিত ভাবে বল্লেন, আমি তো ছাত্র মাত্র, আমার কাছে তুমি কী মূল্যবান্ বস্তু পেতে পার? তারপর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বল্লেন, কালীচরণ তুমি এককালে পকেটমার ছিলে, তারপর চোর হলে, এখন তুমি ডাকাতি করছ৷ কেন তুমি তোমার জীবনকে এভাবে নষ্ট করছ? তুমি কি মনে কর, এভাবে তোমার জীবন সার্থক হয়ে উঠবে?

কালীচরণ বিস্ময়–বিহ্বল হয়ে গেল এই অঞ্চলে তার নাম শুনলেই সকলে কাঁপতে থাকে আর এই ছোট্ট বালক, অভিভাবকের মত তার নাম ধরে এমনি ঘনিষ্ট ভাবে সম্বোধন করছে–বিস্ময়ের ঘোর কেটে কিছু বলার আগেই প্রভাতরঞ্জন আবার বললেন, কালীচরণ তুমি যে এই ঘৃণিত জীবন বেছে নিয়েছ, এসব কেন করছ?

বিস্মিত বিমূঢ় কালীচরণ অকস্মাৎ যেন অন্য মানুষ হয়ে গেল৷ যন্ত্রচালিতের মত সে উত্তর দিল–বেঁচে থাকার জন্যে৷

প্রভাতরঞ্জন – অর্থই কি তোমার জীবনের লক্ষ্য? এর জন্যে কি যে কোনো ধরণের পাপ কাজ করতে পার?

কালীডাকাতের মুখে কোনো উত্তর নেই৷ প্রভাতরঞ্জন বললেন–তোমার জাগতিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা হয়ে গেলে তুমি কী এসব ছেড়ে দেবে? আমি তোমাকে এর থেকেও মূল্যবান জিনিস দিতে চাই৷

কালীডাকাত–আমি জানি, আমি যা করছি পাপ৷ এখন এটা আমার স্বভাবে পরিণত হয়েছে৷ আমি এ পথ এখন ছাড়তে চাইলেও পারব না৷ এর পর শ্রীপ্রভাতরঞ্জন তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, পারবে৷ তুমি যদি আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হও, তাহলে তুমি তোমার অভ্যাস বদলাতে পারবে৷ আর, আমি তোমাকে এব্যাপারে সাহায্য করতে পারি৷ আমি তোমার ভেতরের মহৎ গুণগুলিকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারি৷

এইভাবে, প্রভাতরঞ্জনের সঙ্গে সেই নির্জন গঙ্গার তীরে অনেক কথা হয়৷ প্রভাতরঞ্জন তাকে মানব জীবনের উদ্দেশ্য, করণীয়, ধর্মসাধনার প্রয়োজনীয়তা–এসব সম্পর্কে অনেক কথা বললেন৷

কালীডাকাত বুঝল, এ বালক সাধারণ বালক নয়৷ এঁর কাছেই জীবনকে চরিতার্থ করার পথ সে পাবে৷

প্রভাতরঞ্জন বললেন, তুমি আমার কাছে যা পেতে এসেছিলে, তা থেকেও অনেক মূল্যবান জিনিস আমার কাছে আছে৷ আমি যদি দিতে চাই, তুমি কী নিতে রাজী?

কালীচরণ রাজী হ’ল৷ সে তার উন্মার্গগামী জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়ে আধ্যাত্মিক পথে চলবার জন্যে ব্যগ্র হয়ে উঠল৷ তারপর সে তার হাতের ছোরা গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে দিল৷

প্রভাতরঞ্জন বললেন–আমি তোমায় দীক্ষা দেব৷ যাও, স্নান করে এস৷

কালীডাকাত এখন আর কালীডাকাত নেই, সে এখন এক মুমুক্ষু মানুষ৷ গঙ্গায় স্নান করে এসে সে প্রভাতরঞ্জনের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করল৷

কালীডাকাতের জীবনে আমূল পরিবর্তন এল৷ সে পরিণত হ’ল সাধক কালীচরণে৷ কিছুদিন পরে আরও উন্নত তান্ত্রিক সাধনায় দীক্ষিত হয়ে সে হ’ল কালিকানন্দ অবধূত৷

এইভাবে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন গুরুরূপে আত্মপ্রকাশ করলেন৷ ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে কলকাতার এই কাশীমিত্র ঘাটে একজন বিপথগামী ডাকাতকে আদর্শ মানুষ তথা সাধকে পরিণত করে যে আদর্শের বীজ তিনি বপন করলেন, সেই আদর্শই উত্তর কালে বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বে শাখা প্রশাখা বিস্তার করল৷ এর নামই আনন্দমার্গ৷

আনন্দমার্গ আজ বিশ্বধর্ম

কলকাতায় কালিচরণকে দীক্ষা দান করে গুরুরূপে আত্মপ্রকাশ করার কিছুদিন পরেই প্রভাতরঞ্জন সংসারের আর্থিক সমস্যার কারণে জামালপুরে ফিরে গিয়ে রেলবিভাগে চাকুরীতে যোগ দেন৷ বলা বাহুল্য, ইতোপূর্বে প্রভাতরঞ্জনের পিতৃদেব পরলোকগমন করেছেন৷ ফলে কলকাতায় আই এস সি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করার পরই তাঁকে চাকুরীতে যোগদান করতে হয়৷

জামালপুরে আসার পর প্রভাতরঞ্জনের ঐশী ক্ষমতায় আকৃষ্ট হয়ে একে একে অনেকে তাঁর কাছে দীক্ষা নিতে শুরু করলেন৷ রেল বিভাগের বিভিন্ন কর্মচারী ও অফিসার, পুলিশ ও সেন্ড্রাল কাষ্টমস্ বিভাগেরও বহু অফিসার তাঁর কাছে সাধনা শিখলেন৷ এমনি ভাবে তাঁর শিষ্য সংখ্যা বেড়ে চলল৷ তাঁর প্রবর্তিত আধ্যাত্মিক সাধনাক্রম, জীবনধারা ও দর্শনের নাম দিলেন আনন্দমার্গ৷ ‘আনন্দ’ অর্থাৎ ‘ব্রহ্ম’ ৷ ‘আনন্দং ব্রহ্ম ইত্যাহুঃ’–ব্রহ্ম আনন্দস্বরূপ৷ তারপরে ১৯৫৫ সালের ১লা জানুয়ারী তিনি সংঘ স্থাপন করলেন৷ নাম দিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ জামালপুরে আশ্রমও প্রতিষ্ঠিত হ’ল৷ তখন থেকেই তিনি তাঁর শিষ্যদের কাছে ‘শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি’ রূপে পরিচিত হলেন৷ ধীরে ধীরে তাঁর নবপ্রবর্তিত দর্শন ও আদর্শ বিহার, বাঙ্লা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল৷

১৯৬২ সালে তিনি তাঁর নূতন দর্শন ও আদর্শের প্রচারের জন্যে সর্বক্ষণের কর্মী–সন্ন্যাসী তৈরী করলেন–যাঁরা অবধূত নামে পরিচিত হলেন৷ এরপর ১৯৬৩ সালে পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্তে গড়জয়পুর থানায় ওই গড়জয়পুরের রাণীর দান করা ৫০০ বিঘা জমিতে গড়ে তুললেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থায়ী কার্যালয়৷ তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্টে’ও স্বীকৃতিও লাভ করল৷ সেখানে তিনি আনন্দমার্গের সাধনাকেন্দ্র ছাড়াও, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শিশুসদন (অনাথ আশ্রম), নিউলাইফ এ্যাসাইলাম (কুষ্ঠাশ্রম), আনন্দমার্গ এ্যাকাডেমী অফ্ লাইট (অন্ধ, মূক বধির) বিদ্যালয় প্রভৃতি নানান ধরনের সমাজসেবা মূলক কর্মযজ্ঞ শুরু করলেন৷

ধীরে ধীরে আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক ও সেবামূলক আদর্শ ও কর্মধারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ও বহির্ভারতেও ছড়িয়ে পড়তে থাকল৷

ভারতে যেমন তিনি তাঁর প্রধান কর্মকেন্দ্র হিসেবে বেছে নিলেন সব চেয়ে অনুন্নত পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলকে৷  তেমনি বহির্ভারতে তিনি প্রথম প্রচারক পাঠালেন পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে পরিচিত আফ্রিকার কেনিয়াতে৷ ১৯৬৬ সালে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী  আচার্য আত্মানন্দ অবধূতকে কেনিয়াতে পাঠালেন৷ এরপর পৃথিবীকে ৯টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটি সেক্টরে পৃথক পৃথক ভাবে প্রচারক পাঠালেন৷ এই নয়টি সেক্টর হ’ল–         

                (১) ম্যানিলা সেক্টর (ফিলিপাইনস্, মালয়েশিয়া, থাইল্যাণ্ড,মায়ানবার প্রভৃতি এলাকা),

                (২) হংকং সেক্টর (জাপান, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েৎনাম, কম্পোডিয়া প্রভৃতি অঞ্চল),

                (৩) কাহিরা সেক্টর (উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য প্রভৃতি)

                (৪) সুবা সেক্টর (অষ্ট্রেলিয়া, ফিজি প্রভৃতি),

                (৫) নাইরোবি সেক্টর (আফ্রিকার দক্ষিণাংশ),

                (৬) বার্লিন সেক্টর (ইয়ূরোপ)

                (৭) নিউইয়র্ক সেক্টর (উত্তর আমেরিকা),

                (৮) আর্জেটিনা সেক্টর (দক্ষিণ আমেরিকা)–এই আটটি সেক্টর৷ আর ভারত বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা  নিয়ে হ’ল (৯) দিল্লি সেক্টর৷

বিভিন্ন সেক্টরে আনন্দমার্গের ধর্ম ও সাধনাক্রমের প্রচার ছাড়াও আনন্দমার্গের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠল৷ এখন পৃথিবীর প্রায় ১৮২টি দেশ ও দীপপুঞ্জে আনন্দমার্গের শাখা রয়েছে৷

এইভাবেই ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমায় আনন্দমার্গের যে বীজ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বপন করেছিলেন তাই বিরাট মহীরুহ হয়ে সারা বিশ্বে শাখা–প্রশাখা বিস্তার করেছে৷

আনন্দমার্গের কিছু বিশেষত্ব

আজ বিশ্বজুড়ে আনন্দমার্গের বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিস্তারের পেছনে যে বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে তার মধ্যে প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হ’ল–

                (১)  আনন্দমার্গ কোনো রকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, ডগ্মা (ভাবজড়তা)–কে প্রশ্রয় দেয় না৷

                (২)  আনন্দমার্গ বলে, এক অনাদি অনন্ত পরমব্রহ্মই মানুষের    একমাত্র আরাধ্য৷

                (৩)  আনন্দমার্গ বলে, সকল মানুষের ধর্ম এক, তা হ’ল মানবধর্ম৷

                (৪)  মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্যে আনন্দমার্গ অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনার ভিত্তিতে সাধারণ যোগ, সহজযোগ, বিশেষ যোগ ও বিদ্যাতন্ত্র শিক্ষা দেয়৷

                (৫)  আনন্দমার্গ বিশ্বাস করে, মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ কোন প্রকার জাত–পাত–সম্প্রদায়ে বিভেদ আনন্দমার্গ মানে না৷ আনন্দমার্গ বলে, ‘মানুষ মানুষ ভাই ভাই, উঁচু কিংবা নীচু নেই৷’