হে সপ্তদশ দধিচীগণ লহ প্রণাম, লহ প্রণাম৷
চির নমস্য তোমরা করিলে আত্ম বলিদান৷
১৯৮২র৩০শে এপ্রিলে কলিকাতায় দিবালোকে,
নৃশংসভাবে হত্যা করিল তোমাদের তাজা প্রাণকে
কম্যুনিষ্ট সরকারের জল্লাদী হার্মাদ বাহিনী
ছিনিয়ে নিল তোমাদের প্রাণ,
বিজন সেতু ও বন্ডেল গেট এলাকায় লিখে দিলে
চির দধীচীর মৃত্যুঞ্জয়ী অবদান৷
সাক্ষী রইলো কলিকাতা বাসী,
আজও কেন স্তব্ধ ও নীরব মানবতা?
বিবেকহীন নেতা নেত্রীরা
আর কত দিন রবে দীর্ঘ বিচারহীনতা?
কত আর্তনাদ, দিন রাত বাড়ে, শোষণের শেষ কবে?
গদীর লোভ সামলানো ও মিথ্যা
আস্ফালন কবেই বা বন্ধ হবে?
নীতিবাদীগণ একত্রিত হও আজি, বাঁচাও সমাজ দেশ,
নহিলে বর্বরতার অষ্টপাশে একদিন তোমরাই হবে শেষ৷
আনন্দমার্গ নূতন দর্শন আনন্দের ধবজা ধারী,
ত্যাগী সদস্য সর্বত্রই দৃঢ় ব্রতে ব্রতী, তারাই কাণ্ডারী, প্রহরী৷
হত্যা করিয়া কিছু ত্যাগী প্রাণ, করিতে পারিবে না এর শেষ,
মানবধর্মে দীক্ষিত তারা,
ধর্ম রাজ্য গড়িবে সুস্থ্য পরিবেশ৷
প্রাউট দর্শন ও নব্যমানবতাবাদকে জানতে যারা আগ্রহী,
উদাত্ত কন্ঠে আহ্বান জানাই তাদের, আর কোরোনা দেরী৷
মহান সপ্তদশ দধীচিদের রক্ত নিয়ে শপথ গ্রহণ করেছে যারা,
তারাই গড়িবে নূতন বিশ্ব,
আনন্দমূর্ত্তিজীর শিষ্য তারা৷
বজ্র হুংকারে জানাই সবারে, আজ বাঁচাও মানবতা৷
পশুত্বের রাজ অবসান হোক, হও মানবরূপী দেবতা৷
- Log in to post comments