December 2017

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের কর্মস্থান এরাজ্যেই করতে হবে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বাঁকুড়ার  হেমন্ত  রায় কেরলে কাজ করতে গিয়েছিল৷ সম্প্রতি সেখানে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ এই মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন-পুলিশ তদন্ত  করছে৷ সপ্তাহ খানিক আগে মালদা জেলার আর এক যুবক কাজ করতে রাজস্থানে গিয়েছিল ৷ ওখানে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ এই কারণে তাঁকে  নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবাঙলা থেকে ভিন রাজ্যে যাঁরা কাজের জন্যে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের রাজ্যে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, ‘এ রাজ্যে কাজের অভাব নেই৷ তাঁরা জেলা শাসকের  কাছে  নাম লেখান৷  তাহলে তাদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে৷  এই টাকায় আর  কিছু না হোক চায়ের দোকান  তো

শোষণের ছলাকলা ও ভোগসর্বস্ব জীবনচর্যা

মানব সভ্যতা আজ এক চরম সংকট মুহূর্ত্তে এসে উপনীত হয়েছে৷ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,  সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত  অমনোবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতির নামে বেলেল্লাপনা, ধর্মীয় মৌলবাদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য,  অসহ্য দারিদ্র্য,  লাগাতার অনাহার,--- এককথায সার্বিক অবক্ষয় মানব সমাজের গতিকে রুদ্ধ করেছে ৷ অজগরের মতো সমগ্র মানব সমাজকে  আষ্টে -পিষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে৷ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী,  সারা বিশ্বজুড়ে তাই যুদ্ধের এত রণহুঙ্কার, স্বার্থের  এত সংঘাত, মানবরূপী দানবদের  এত আস্ফালন !

ফুলাড়ী আনন্দমার্গ হাই সুকলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

 বালেশ্বর ঃ গত ১০ই ডিসেম্বর বালেশ্বরের নিকটে ফুলাড়ী আনন্দমার্গ হাই সুকলে  এখানকার  বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  শ্রী নারায়ণ পাণ্ডা মহাশয়৷

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বালেশ্বর  সদরের বিধায়ক জীবনপ্রদীপ দাস৷ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রী ভাগবত পাণিগ্রাহী ছিলেন প্রধান বক্তা৷ এছাড়াও  ছিলেন  উৎকল সমাজের সেক্রেটারী শ্রী ভাস্কর জেনা, সুকলের প্রিন্সিপ্যাল আচার্য সত্যসুধানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের প্রধান সন্ন্যাসী-আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত, সুকলের প্রধান শিক্ষক হেমন্ত কুমার জেনা, প্রমুখ৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

 দুর্র্গনগর (উত্তর ২৪ পরগণার) গত ১০ই ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগণার  আনন্দমার্গের  ভুক্তিপ্রধান  শ্রী সন্তোষ বিশ্বাসের বাসভবনে ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের ৬ ঘন্টাব্যাপী অখন্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অখন্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত হরলাল হাজারি, শুভদীপ হাজারি প্রমুখ৷ এই অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের  বহু সন্ন্যাসী ও  সন্ন্যাসিনী ও ২৪ পরগণার  বহু আনন্দমার্গী যোগদান করেন৷  কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের পর আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর  প্রবচন থেকে ‘কীর্ত্তন মহিমা’ বিষয়ক প্রবচন পাঠ করে শোনান৷  এরপর আনন্দমার্গের আদর্শ, সাধনা ভক্তিতত্ত্ব ও কীর্ত্তন মহিমার ওপ

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

১) আমরা বাঙালীর একনিষ্ঠ কর্মী ও সাধক প্রয়াত সরোজ মোহন দেবের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে গত ১০ই ডিসেম্বর তাঁর নিজ বাসভবন কাছাড় ধলছড়াতে অনুষ্ঠিত হয়৷ মৃত্যুকালে তাঁর ৮১ বছর বয়স হয়েছিল৷ তিনি ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত৷ তারপর সরোজ মোহন দেবের অমর আত্মার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে তাঁর স্মৃতিচারণ করেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত, সাধন পুরকায়স্থ ও বাপ্পাদিত্য কানুনগো৷

সেরাম থ্যালাসেমিয়ার উদ্যোগে পথ পরিক্রমা রক্তদান শিবির  ও বসে  আঁকো  প্রতিযোগিতা

বিশ্ব এইড্স দিবস (১লা ডিসেম্বর) কে সামনে রেখে  থ্যালাসেমিয়া প্রিভেন্টিভ ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে ৩রা ডিসেম্বর (বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস)-এ একটি বিশাল  বর্র্নঢ্য জনসভা ও মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল৷

মিছিলটি শ্যামবাজার  পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু হয়ে  বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শ্যামবাজারে শেষ হয়৷ অনুষ্ঠানের  উদ্বোধন করে প্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েরা৷  শতাধিক ক্লাব ও সামাজিক সংঘটক এই পথক্রমায় অংশ গ্রহন করে৷

পথ পরিক্রমার পরে এক রক্তদান শিবির এর আয়োজন করা হয়- প্রায় ২০০ জন রক্তদান করেন৷ থ্যালাসেমিয়া  আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে  বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়৷

আগামী ১৬ থেকে ২২ শে ডিসেম্বর মধ্যমগ্রামে নজরুল শতবার্ষিকী সদনে নাট্যানুষ্ঠান, ‘সবারে করি আহ্বান’

কোলকাতা ক্রিয়েটিভ আর্ট পারফরমার্স-এর উদ্যোগে সপ্তম বঙ্গনাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে নজরুল শতবার্ষিকী সদন (মধ্যমগ্রাম)-এ আগামী ১৬ থেকে ২২ শে ডিসেম্বর৷ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধে ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে

১) ১৬ই ডিসেম্বর চার্র্বক নাট্যগোষ্ঠী প্রয়োজিত ও শ্রীমতী খেয়ালী দস্তিদার নির্দেশিত নাটক ‘‘শিরোনাম’’৷

২) ১৭ই ডিসেম্বর ‘‘বেহালা বাতায়ন’’ প্রয়োজিত ও শ্রী নবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত নাটক ‘‘অবয়ব’’৷

৩) ১৮ই ডিসেম্বর ‘‘শিল্পী সংঘ’’ প্রয়োজিত ও শ্রীমতী সীমা মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত নাটক  ‘‘গভীর অসুখ’’৷

হায় সভ্যতা !

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

এ কোন সভ্যতার বিকাশ------

চতুর্দিকে সর্বদাই  মানবতার দেখি সর্বনাশ৷

নরপিশাচের ঘৃণ্য লালসার আস্ফালন

বিদ্যার অঙ্গনে চালায় চরম শিশু নির্র্যতন৷

প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রাঘাতে নরহত্যা

ক্যামেরার সামনে পেট্রোল সহযোগে জ্বলন্ত চিতা৷

বঙ্গের আফরাজুল জীবন্ত দগ্দ রাজস্থানে

হায় সভ্যতা ! এ কার পাপে,  কোন বিধানে?

*     *      *

মনে পড়ে, ১৯৮২-র তিরিশে এপ্রিলের কথা৷

সুন্দরী তিলোত্তমা কল্লোলিনী কলকাতা---   

বিজন সেতু, বন্ডেল গেটের আশে পাশে,

কেঁপেছিল মানুষ পশু-পক্ষী

অসহায়ের আর্তনাদে, ত্রাসে