February 2018

পরাজ্ঞানের তিনটি প্রধান শর্ত

শাস্ত্রে বলা হয়েছে---

‘‘শ্রবণায়াপি বহুভির্র্যে ন লভ্যঃ শৃন্বন্তোহপি বহবো যং ন বিদূ্যঃ৷

আশ্চর্র্যে বক্তা কুশলোহস্য লব্ধা আশ্চর্র্যে জ্ঞাতা কুশলানুশিষ্টঃ৷’’

মানুষের সমাজে  কত লোকেরই না বাস৷ তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় মানুষই অধ্যাত্মজ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ আবার তাদের মধ্যে খুব  কম শতাংশ মানুষই হাতে কলমে  আধ্যাত্মিক  শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ এর মূল কারণটা কী? কারণ  হ’ল  সাধনা  বিজ্ঞান জিনিসটাই দুলর্ভ, আবার প্রকৃত অধ্যাত্মজিজ্ঞাসুর  সংখ্যা আরও দুর্লভ আবার প্রকৃত গুরুর সংখ্যা আরও  বেশী দুর্লভ৷

ভাষার ক্ষেত্রে অবদমন চলবে না

ভাষা মানুষের অন্তরের ভাব প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম৷ এই ভাষা মানুষের প্রাণীন সম্পদ–যা তার প্রাণধর্ম অর্থাৎ সত্তাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ নিজস্ব মাতৃভাষায় একজন যেমন স্বচ্ছন্দে ও সাবলীল ভাবে নিজের ভাবকে প্রকাশ করতে পারে তেমনটি অন্য কোন ভাষায় পারে না৷ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে সে অসুবিধা বোধ করে৷ প্রতিনিয়তই যদি অন্য ভাষায় কথা বলিয়ে এরূপ অস্বচ্ছন্দ বোধ করতে তাকে বাধ্য করান হয়, তবে তার প্রাণশক্তি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে–ক্রমশ প্রাণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে৷ এই রকম পরিস্থিতিতে সেই ব্যষ্টি বা ব্যষ্টি সমূহের মধ্যে এক মনস্তাত্ত্বিক সংকট দেখা দেবে৷ প্রথমেই তার মধ্যে দেখা দেবে এক ধরণের হীন

ব্যাঙ্ক জালিয়াতি প্রসঙ্গে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

ব্যাঙ্কে জনসাধারণের জমা করা টাকা  পুঁজিপতিরা  ঋণ নেয়, ব্যবসা করে, কলকারখানা খোলে, সেই থেকে তারা কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুন্ঠন করে৷  তারপর নানান অজুহাত দেখিয়ে ব্যাঙ্কের ঋণ আর তারা শোধ করে না৷ এর ফলে ব্যাঙ্ক ধীরে ধীরে  লাটে ওঠে৷  তাই দীর্ঘদিন থেকে জনসাধারণকে  দেয় তাদের  জমা টাকার ওপর সুদের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে দিয়ে আসছে৷  আর ওই টাকা লুঠ করছে  ধড়িবাজ পুঁজিপতিরা৷

প্রাউটের ক্রয়ক্ষমতা ভিত্তিক অর্থনীতি

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

বিশ্বের পরিস্থিতি যে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে পেরিফেরিয়াল চেঞ্জ বা ছোটখাট পরিবর্তনে আর চলবে না, মানুষ চাইছে সর্বব্যাপক এক বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন৷ মানুষ চাইছে নোতুন আদর্শ, নোতুন জীবনবোধ বা মূল্যবোধ, নোতুন তত্ত্ব, মানুষের দুঃখ–দুদর্শার সত্যিকারের অবসান ঘটাতে পারবে এমন নোতুন অর্থনীতি৷ কী সেই নবতর অর্থনীতি? এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাউটের অর্থনীতির কথা সামনে আসছে৷

ভারতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের শনির দশা

প্রভাত খাঁ

ভারতের স্বাধীনতার  ৭১ বছর পরে  ও সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর  পরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাকসফ্যামে’র এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০১৭ সালের ভারতের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ কুক্ষিগত আছে ১ শতাংশ ধনকুবেরের হাতে৷ এঁদের সম্পদ বেড়েছে কয়েক লক্ষ কোটি  টাকা যা ২০১৭-১৮ সালের অর্থবর্ষের  মোট বাজেটের  প্রায় সমান৷ এতেই প্রমাণিত হয় কেন্দ্রের বিজেপি  সরকার দেশের  ধনকুবেরদেরই পৃষ্ঠপোষক৷ তারা জনসাধারণের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ও বেকার সমস্যা দুরীকরণে তিলমাত্র চিন্তা করে না৷

আনন্দমার্গীয়  বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

আনন্দমার্গীয় বিধিতে এক বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই বিবাহে পাত্র---কলকাতা নিবাসী প্রবীণ আনন্দমার্গী আশিস রায়চউধুরীর একমাত্র পু শ্রীমান বিপ্লব রায়চউধুরী৷ পাত্রী---ঝাড়গ্রাম নিবাসী শ্রী স্বরূপ খানের একমাত্র কন্যা কুমারী মনিকা খান৷ শ্রীমান বিপ্লব আনন্দনগরের প্রাক্তন ছাত্র৷

আনন্দমার্গের সর্বাত্মক রেণেশাঁ কর্মসূচী

শ্রীরবীন্দ্রনাথ সেন

বহু লক্ষ বছরের শ্রমসাধনা ও কর্মপ্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে মানুষের আজকের এই সভ্যতা৷ মানব সভ্যতার এই ইতিহাস কেবল যে ধারাবাহিক ভাবে উন্নতির পথে এগিয়েছে তা নয়, সভ্যতা এগিয়েছে নানান উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে৷ এগিয়ে চলতে গিয়ে নূতনকে বরণ করেছে–বিদায় দিয়েছে বহু পুরাতনকে৷ এগিয়ে চলতে চলতে সে হয়ে যায় ক্লান্ত, শ্রান্ত তখন তার গতি শ্লথ, অগ্রগতি রুদ্ধ৷ আবার সে যেন জেগে ওঠে, নূতন উদ্যমে এগিয়ে চলে, নূতন ভঙ্গীতে নূতন পথে৷ এই যে পরিবর্তন একে বলা যায়, পুনর্জাগরণ বা ‘রেণেশাঁ’৷ এই পুনর্জাগরণ আনতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে৷ আনন্দমার্গের প্রবক্তা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই সর্বাত্মক রেণেশাঁর কথা বলে গেছেন তাঁর বিভিন্ন প

শ্রীরামপুর আনন্দমার্গস্কুলে বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান

শ্রীরামপুরের আনন্দমার্গ স্কুলটি সংঘটনের  একটি পুরাতন স্কুল৷ গত ৯ই ফেব্রুয়ারী অন্য বছরের ন্যায় এ বছরেও এই স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয়৷ প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে৷ অভিভাবক ও অভিভাবিকাগণও ক্রীড়ায়  অংশ নেন৷ প্রবীণ আনন্দমার্গী  প্রভাত খাঁ সভাপতির আসন গ্রহণ করেন৷ আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত (ডি.এস হুগলী) ও ডাঃ দিলীপ ঘোষ সভায় উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সাহায্য করেন৷ অনুষ্ঠানে আরও যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে আছেন স্থানীয় কমিশনার শ্রী গোরাচাঁদ শেঠ, শ্রী পশুপতি ঘোষ, শ্রী অশোক চক্রবর্ত্তী (প্রবীণ মার্গী), ডঃ দিলীপ ঘোষ প্রমুখ৷ কৃতী ছাত্রছাত্রাদের  হাতে তাঁরা

যুদ্ধ বিমান মিগ-২১ ওড়ালেন ভারতের প্রথম মহিলা বায়ুসেনা অফিসার অবনী চতুর্বেদী

মহিলা হিসেবে তো বেেটই পুরুষদের কাছেও বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান চালানো এFirst Lady Pilot of Mig planeকটা স্বপ্ণের৷ প্রতিভা, সাহস আর প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে ভারতের প্রথম মহিলা বায়ুসেনা অফিসার অবনী চতুর্বেদী সেই স্বপ্ণ পূরণ করলেন৷ একাই মিগ-২১ যুদ্ধবিমান নিয়ে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে আকাশে উড়ে গেলেন৷ আর সফলভাবে  ফিরেও এলেন৷ অবনীর এই সাফল্যে প্রত্যেক ভারতবাসী গর্বিত৷ তাঁর এই সাফল্য প্রতিটি মহিলাকে অনুপ্রাণিত করবে৷

গান্ধারীর নৈতিক বল

গান্ধারী ছিলেন আফগান মহিলা৷ কান্দাহার৷ (ক্ষসৃক্তে ‘গান্ধার’) নামে এক দেশ ছিল ও গান্ধারী ছিলেন সেই দেশের কন্যা৷ তৎকালীন ভারতীয়রা কান্দাহারকে বলতেন ‘প্রত্যন্ত দেশ’ – সুদূর সীমান্তবর্তী দেশ৷ খাঁটি ভারতবর্র্ষ বলতে যা’ বোঝায়  তা’ নয়৷